![কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৩৯, আহত ৩৬১](uploads/2024/07/02/kenia-1719908401.jpg)
কেনিয়ায় গত এক সপ্তাহে কর (ট্যাক্স) বাড়ানোর প্রতিবাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ৩৬১ জন।
সোমবার (১ জুলাই) দেশটির মানবাধিকার সংস্থা কেনিয়া ন্যাশনাল কমিশন অন হিউম্যান রাইটস (কেএনসিএইচআর) এ তথ্য জানায়।
কেএনসিএইচআর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের রেকর্ড থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ১৮ জুন থেকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে বিক্ষোভে অন্তত ৩৯ জন নিহত এবং ৩৬১ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২টি মামলা হয়েছে এবং ৬২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে বিক্ষোভকারী, চিকিৎসাকর্মী, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বলপ্রয়োগ, হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সের মতো নিরাপদ স্থানগুলোতে সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কেএনসিএইচআর।
পার্লামেন্ট ভবন এবং অন্যান্য সরকারি ভবনে কিছু বিক্ষোভকারীর ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের মতো সহিংতামূলক কাজের তীব্র নিন্দাও করেছে সংস্থাটি।
গেল মঙ্গলবার (২৫ জুন) কেনিয়ার পার্লামেন্টে প্রায় সব ধরনের পণ্যে কর বাড়ানোর একটি প্রস্তাব পাস হয়। প্রস্তাবটি পাসের সঙ্গে সঙ্গেই পার্লামেন্ট চত্বরসহ পুরো নাইরোবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।
আন্দোলনকারীরা পার্লামেন্ট চত্বরের একটি পুলিশবক্সে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় পুলিশ।
আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি, প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগ।
উইলিয়াম রুটো ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন। সেই নির্বাচনের পর থেকেই কেনিয়ায় দিন দিন রাজনৈতিক বিভক্তি তীব্র হয়ে ওঠছে।
রবিবার (৩০ জুন) উইলিয়াম রুটো কেনিয়ার সরকারি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছিলেন, ‘আন্দোলনে এ পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন।’
তবে তাদের মৃত্যুর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়ী নয় বলে মৃত্যুর তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।
ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার কর বৃদ্ধি সম্বলিত বিলটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট রুটো।
কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা নতুন দফায় কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেন।
কেনিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ‘সব জায়গা দখল কর’, ‘বাজেট দুর্নীতিবাজদের বাতিল কর’, ‘রুটোর বিদায় চাই’ প্রভৃতি হ্যাশট্যাগে ভরে ওঠেছে। সূত্র: এনডিটিভি
পপি/অমিয়/