![জিন থেরাপি চিকিৎসায় কানে শুনল জন্মবধির শিশু](uploads/2024/05/11/science-1715403274.jpg)
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো এক বধির শিশু জিন থেরাপির মাধ্যমে শুনতে সক্ষম হয়েছে। বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে। ওপাল স্যান্ডি নামের শিশুটি জিনগত উত্তরাধিকার সূত্রে বধির হয়ে জন্ম নিয়েছিল। পরে জিন থেরাপির মাধ্যমে তার কানের ত্রুটিপূর্ণ ডিএনএ প্রতিস্থাপন করা হয়। তার মা জো ও বাবা জেমস ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ার থেকে বলেছেন, চিকিৎসার ফলাফল তাদের মন ছুঁয়ে গেছে।
এই থেরাপিতে রোগীর জিনোম কাঠামো পরিবর্তনের জন্য একটি কার্যকরী অনুলিপি সরবরাহ করা হয়। আর এই অনুলিপিটি পাঠানো হয় নিরীহ ও মানবদেহে প্রভাব বিস্তার করতে অক্ষম ভাইরাসের মাধ্যমে।
ওপাল তার ডান কানে এই থেরাপি পেয়েছে। আর এর কয়েক সপ্তাহ পরেই সে ডান কানে স্বাভাবিক মানুষের মতোই উচ্চমাত্রার শব্দ শোনা শুরু করে। আর ছয় সপ্তাহের মধ্যে কেমব্রিজের অ্যাডেনব্রুক হাসপাতালের ডাক্তাররা নিশ্চিত করেছেন যে, সে এখন খুব নরম ও ফিসফিস হওয়া শব্দও শুনতে পাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও স্পেন থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে ওপালকে জিন থেরাপির চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে তার চিকিৎসা করাতে রাজি হওয়াটা খুব কঠিন একটা সিদ্ধান্ত ছিল বলেও জানিয়েছেন ওপালের বাবা-মা। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জো বলেন, ‘এটি সত্যিই ভীতিকর ছিল। তবে একই সঙ্গে আমি ভাবছিলাম, আমাদের জন্য এটি অনন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’
ওপালের বড় বোন পাঁচ বছর বয়সী নোরার একই ধরনের বধিরতা রয়েছে। তবে ইলেক্ট্রিক কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে সে এখন কথা শুনতে পায়। তবে শ্রবণযন্ত্রের মতো উচ্চমাত্রার শব্দ শোনার পরিবর্তে সে শুধু শব্দের সংবেদনশীলতা গ্রহণ করতে পারে। সূত্র: বিবিসি