ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

অর্থ আত্মসাৎ : ইস্টার্ন ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তার ১০ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৫ এএম
অর্থ আত্মসাৎ : ইস্টার্ন ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তার ১০ বছর কারাদণ্ড

চট্টগ্রামে গ্রাহকের ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের করা মামলায় ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক কর্মকর্তা ইফতেখারুল কবিরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। 

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এ রায় দেন। 

রায় ঘোষণার সময় আসামি ইফতেখারুল কবির আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত তাকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি ইস্টার্ন ব্যাংকের চান্দগাঁও শাখার বরখাস্ত হওয়া প্রায়োরিটি অফিসার ও নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ীর দারোগারহাট রোডের আলমগীরের ছেলে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মুজিবুর রহমান চৌধুরী। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ফজিলাতুন্নেছা নামে এক গ্রাহক ২০১৯ সালে ইফতেখারুল কবিরের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেন। এরপর ওই বছরের ১৪ অক্টোবর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যলয়-১-এর উপসহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ আদালতে মামলা করেন। মামলায় ৯০ লাখ টাকার ভুয়া এফডিআর দেখিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয় ইফতেখারুল কবিরের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম। ২০২২ সালের ১৭ মে তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন করা হয়। এ মামলায় ১৯ জনের মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। 

বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এ মামলার রায়ে উল্লেখ করেছেন, আসামির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা, জাল সিল, প্যাড ইত্যাদি তৈরি করে গ্রাহক ও ব্যাংককে মিথ্যা হিসাব বিবরণী দিয়ে মিথ্যা নথিপত্র তৈরির অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। 

এর আগে গত বছরের ২৫ জুলাই জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে এক গ্রাহকের এফডিআর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইস্টার্ন ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত। তার মধ্যে প্রধান আসামি ওই ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ইখতেখারুল কবিরকে ৩১ বছরের সাজা এবং ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন একই আদালতের বিচারক। এ ছাড়া অর্থ আত্মসাতের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে তিনি সাজাপ্রাপ্ত।

দুদকের আইনজীবী মুজিবুর রহমান চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘সাক্ষ্য-প্রমাণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। বাদী-বিবাদী পক্ষে দীর্ঘ শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে আদালত সাজা ও অর্থদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।’ 

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বরখাস্ত গাড়িচালক মহসীনের শাশুড়ির বাড়ি ক্রোক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বরখাস্ত গাড়িচালক মহসীনের শাশুড়ির বাড়ি ক্রোক
ছবি: খবরের কাগজ

দুর্নীতির মামলায় আদালতের নির্দেশে যশোর শহরের রাজা বরদাকান্ত রোডের রেলগেট এলাকার জমিসহ পাঁচতলা আলিশান বাড়ি ‘রাশিদা মহল’ ক্রোক করেছে জেলা প্রশাসন। বাড়ির সামনে প্রশাসনের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাগজে-কলমে আলোচিত বাড়িটির মালিক ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বরখাস্ত গাড়িচালক মহসীন আলীর শাশুড়ি ফিরোজা বেগম। ফিরোজা বেগম যশোরের মণিরামপুর উপজেলার গালদা গ্রামের মৃত রফিক উল্লাহর স্ত্রী। তার মেয়ের জামাই একই উপজেলার খেদাপাড়া গ্রামের আবদুল ওহাবের ছেলে মহসীন আলী। তারা দুজনই দুদকের মামলার আসামি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন সরকার বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় আদালতের নির্দেশে জমিসহ রাশিদা মহল বাড়িটি গত বৃহস্পতিবার ক্রোক করা হয়েছে। আদালতের আদেশে ওই ভবনের রিসিভার হিসেবে জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক প্রতি ছয় মাস পরপর ওই ভবনের আয়-ব্যয়ের হিসাব আদালতে দাখিল করবেন। ভবনটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তর করে শাশুড়ি মোছা. ফিরোজা বেগমকে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার ৯৬২ টাকা ৮৫ পয়সা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সহযোগিতা করেছেন তার মেয়ের জামাই মহসীন আলী। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর ফিরোজা বেগম ও মহসীন আলীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ সহকারী পরিচালক খন্দকার নিলুফা জাহান। 

ওই মামলায়  চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর স্পেশাল জজ আদালত ঢাকার এক আদেশে ফিরোজা বেগমের নামে ক্রয় করা যশোর পৌরসভার রাজা বরদাকান্ত রোডে অবস্থিত ৭৭ নম্বর চাঁচড়া মৌজার এসএ দাগ নম্বর ৮১৭ , আরএস দাগ নম্বর ২১৯১ (সাব রেজিস্ট্রি অফিস যশোরের দলিল নম্বর ১৮৬০, তারিখ ২৭/০২/২০০৮)-এর ৭.৭৪ শতাংশ জমিসহ বিল্ডিং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ধারা ২১ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭ এর ১৮ গ মোতাবেক ক্রোক করে জেলা প্রশাসক যশোরকে রিসিভার নিয়োগ দিয়েছেন। গত ৩ জুলাই জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ-সংক্রান্ত একটি সাইনবোর্ড ওই ভবনের সামনে টাঙিয়ে দিয়েছে। 

গতকাল স্থানীয়রা বলেন, ওই ভবনে নিতলতা থেকে তৃতীয়তলা পর্যন্ত ভাড়া দেওয়া আছে। এখানে খেলাধুলার পুরস্কার (ক্রেস্ট, ট্রফি) তৈরির কারখানা রয়েছে। সেখানেই তারা কাজ করেন। কর্মরত শ্রমিকরা ভবনের মালিককে চিনেন না। বাড়ির মালিকরা তেমন কেউ আসেনও না। ভবনের নিচতলার আরেকটি ইউনিটে মোটরযান মেরামতের গ্যারেজ রয়েছে। গ্যারেজ মালিক বলেন, ভবন মালিকের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই। মাঝে মাঝে তাদের প্রতিনিধি এসে ভাড়া নিয়ে যায়। জেলা প্রশাসনের লোকজন এসে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছেন। শুনছি দুর্নীতির মামলায় ভবনটি ক্রোক করেছে আদালত।’  

স্ত্রী-সন্তানসহ মতিউরের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
স্ত্রী-সন্তানসহ মতিউরের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ
মতিউর রহমান

ছাগলকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার দুই স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ের নামে ঢাকায় দুটি বহুতল বাড়ি, দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, নরসিংদীর রায়পুরা ও বরিশালের মুলাদীতে ১০ একর ৩৬ শতাংশ (১০৩৬ শতাংশ বা ৬২৮ কাঠা বা ৩১ বিঘা) জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ ক্রোকের নির্দেশ দেন।  

ক্রোকের আদেশ দেওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে, মতিউর রহমানের নামে বরিশালের মুলাদীতে কমিশনারের চর মৌজায় ১১৪ শতাংশ বা ৬৯ কাঠা জমি। প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের ৭/এ রোডে ২ হাজার ৫৪০ স্কয়ার ফুটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও নরসিংদীর রায়পুরায় ৫২২ শতাংশ বা ৩১৭ কাঠা জমি। 

প্রথম স্ত্রীর ছেলে তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে নরসিংদীর রায়পুরায় ২৭৫ শতাংশ বা ১৬৭ কাঠা জমি, মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতার নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের ১ নম্বর রোডে ৫ কাঠা জমিতে বহুতল ভবন ও নরসিংসীর রায়পুরায় ১০৬ শতাংশ বা ৬৫ কাঠা জমি এবং দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতারের নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এন ব্লকে ৫ কাঠা জমিতে একটি বাড়ি ও ধানমন্ডির জিগাতলায় একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে।    

দুদকের প্যানেল আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তারা এসব সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এটা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া গ্রহণের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে স্থাবর সব সম্পদ ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।’

এদিকে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মতিউর ও তার দুই স্ত্রী- লায়লা কানিজ ও শাম্মী আখতার, প্রথম পক্ষের বড় ছেলে তৌফিকুর রহমান অর্ণব ও মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতার সম্পদের হিসাব চেয়ে গত ২ জুলাই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 
নোটিশে সম্পদবিবরণী দাখিলের জন্য তাদের ২১ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এতে তাদের নিজ নিজ ও তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে থাকা যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে গত ৪ জুন সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরে ২৩ জুন দুদকের উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু হলে তাদের নামে থাকা অর্থ-সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ, বিএসইসি, দেশের সব সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

দুদকের চিঠি পেয়ে বিএফআইইউ ও বিএসইসি স্বউদ্যোগে মতিউর ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি অন্তত ২০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ১৬টি বিও অ্যাকাউন্টের তথ্য দুদকে পাঠিয়েছে। এদিকে ঢাকার তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স, নরসিংদীর রায়পুরা, বরিশালের মুলাদীসহ বিভিন্ন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে অন্তত ৪৫টি দলিলের তথ্য-উপাত্ত দুদকে আসে।

মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল এবং ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলোবাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির তথ্য বেরিয়ে এলে বিষয়টি দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। 

ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ গরু আমদানি ও বিক্রির বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সাভারে গো-প্রজজনকেন্দ্র এবং সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান চালিয়েছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযান শেষে কোটি টাকা মূল্যের অন্তত ৬টি গরু জব্দ করা হয়েছে।  

এনামুলের ৯ তলা বাড়িসহ শতকোটি টাকার সম্পদ ক্রোক

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
এনামুলের ৯ তলা বাড়িসহ শতকোটি টাকার সম্পদ ক্রোক
মোহাম্মদ এনামুল হক

সিলেটের কাস্টমস কমিশনার হিসেবে কর্মরত মোহাম্মদ এনামুল হকের ঢাকার বসুন্ধরায় দুটি প্লটের ওপর নির্মিত একটি ৯ তলা বাড়ি, রাজধানীর কাকরাইল ও মোহাম্মদপুরে সাতটি বাণিজ্যিক ফ্লোর, কাকরাইল ও বনানীতে চারটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, ১০টি কার পার্কিং, খিলক্ষেতে এক বিঘার (৩৩ শতাংশ) একটি প্লট, ঢাকার বাড্ডা ও গাজীপুর সদরে পাঁচ কাঠা করে আরও দুটি প্লট ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

একটি মামলার ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরের বিশেষ জজ মোহাম্মদ আস্সামছ জগলুল হোসেন এ নির্দেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

দলিলে এসব সম্পদের মূল্য ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকা দেখানো হলেও বাস্তবে এ সম্পদের মূল্য শতকোটি টাকার কম নয়। কারণ দলিলে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তিন কাঠার দুটি প্লট অর্থাৎ ছয় কাঠার মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র ৬১ হাজার টাকা। দুদক কর্মকর্তাদের তদন্তকালে এসব সম্পদের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করা হবে। সে ক্ষেত্রে এসব সম্পদের মূল্য শতকোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানান দুদক কর্মকর্তারা। 

গতকাল এনামুলের ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি-ব্লকের ১৩ নম্বর রোডের ৯৫৪ ও ৯৫৫ নম্বর প্লটের ওপর নির্মিত ৯ তলা ভবন, কাকরাইল মোড়সংলগ্ন আইরিশ নূরজাহান ভবনে ১ হাজার ১৭০ বর্গফুটের বাণিজ্যক ফ্লোর, একটি কার পার্কিংসহ ১ হাজার ৮৩৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, এর পাশেই বহুতল ভবন ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে কার পার্কিংসহ ১ হাজার ৯০০ ও ৩ হাজার ৮০০ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট, বনানীতে কার পার্কিংসহ ২ হাজার ৪২৮ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। 

এ ছাড়া মোহাম্মদপুরে সাড়া সন্ধানী লাইফ টাওয়ারে চারটি কার পার্কিংসহ ১০ হাজার ৯৬৫ বর্গফুটের তিনটি বাণিজ্যিক ফ্লোর, পার্শ্ববর্তী সাড়া আফতাব টাওয়ারে তিনটি কার পার্কিংসহ ১২ হাজার বর্গফুটের তিনটি বাণিজ্যিক ফ্লোর, রাজধানীর খিলক্ষেতে ৩৩ শতাংশ বা এক বিঘার একটি প্লট, বাড্ডায় চার কাঠার একটি ও গাজীপুর সদরে পাঁচ কাঠার আরেকটি প্লট ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, অবৈধ উপায়ে ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩১ জুলাই মামলা করে দুদক। মামলার তদন্ত চলাকালে সম্প্রতি এসব সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন এনামুল। ফলে এই হস্তান্তর ঠেকাতে ক্রোকের আদেশ চাইল দুদক। শিগগিরই এসব সম্পদ তদারকির জন্য রিসিভার (তত্ত্বাবধায়ক) নিয়োগের আবেদন জানানো হবে বলে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আপিল বিভাগের প্রশ্ন আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি রায় পরিবর্তন করবেন?

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:২৩ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি রায় পরিবর্তন করবেন?
হাইকোর্ট

সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

শুনানিতে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে বলেন, ‘আপাতত হাইকোর্টের রায় যেভাবে আছে, সেভাবে থাকুক। রায় প্রকাশ হলে আপনারা নিয়মিত আপিল দায়ের করেন। আমরা শুনব। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এত আন্দোলন কিসের, আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?’

আদালতের কার্যতালিকার ক্রমানুসারে বিষয়টি শুনানিতে এলে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী (অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড) জহিরুল ইসলাম এক দিনের (নট টুডে) সময়ের আবেদন জানান। 

তিনি বলেন, ‘সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক দেশের বাইরে আছেন।’ শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিনউদ্দিন বলেন, ‘আগে কোটা ছিল। ২০১৮ সালে কোটাপদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করা হয়। এটা বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।’ 

আদালত বলেন, ‘চেম্বার আদালত কি আদেশ দিয়েছিলেন?’ এ সময় অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন।’ 

আদালত বলেন, ‘নট টুডে (আজ নয়)। আপনারা সিপি (লিভ টু আপিল) ফাইল করেন। আমরা এখন ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করব না।’ 

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিনউদ্দিন বলেন, ‘রায়টা (হাইকোর্টের) পাইনি।’ আদালত বলেন, ‘পাবেন।’ 

একপর্যায়ে আদালত বলেন, ‘এত আন্দোলন কিসের, রাস্তায় শুরু হয়েছে? আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?’ এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিনউদ্দিন বলেন, ‘নো, নো’।

সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ। এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। 

৯ জুন এক আদেশে আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ আদালত। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে।

কোটা পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরদিন ৪ অক্টোবর কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, ‘সরকার সকল সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৭/০৩/১৯৯৭ তারিখের সম (বিধি-১)এস-৮/৯৫ (অংশ-২)-৫৬ (৫০০) নং স্মারকে উল্লিখিত কোটা পদ্ধতি নিম্নরূপভাবে সংশোধন করিল: (ক) ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হইবে; এবং (খ) ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হইল। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হইবে।’

পরে এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

এমপি আনার হত্যা ৮ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:০৬ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:০৬ এএম
৮ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীমকে (আনার) খুনের উদ্দেশ্য অপহরণের অভিযোগে করা মামলার প্রতিবেদন আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এ আদেশ দেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে দায়িত্বরত শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন আদালত। এমপি আনারকে খুন করার উদ্দেশে অপহরণের অভিযোগে গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। মামলায় কয়েকজন আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। 

তারা হলেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ ও তানভীর ভুঁইয়া।

বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আসামিদের জবানবন্দি প্রত্যাহারের ওপর শুনানি হয়। আসামি পক্ষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীসহ কয়েকজন আইনজীবী শুনানি করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনগুলো নথিভুক্ত রাখার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আসামিরা রিমান্ডে নির্যাতনের কারণে অসুস্থ জানিয়ে চিকিৎসার আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।

এদিকে আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেপ্তার দুই আসামি ফয়সালকে হৃদরোগের রোগী ও মোস্তাফিজকে কিডনি রোগীর ভুয়া কাগজপত্র, ভুয়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ভারতের ভিসা করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। বৃহস্পতিবার তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ভিসা হওয়ার পরে আক্তারুজ্জামান শাহীন ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে রেলযোগে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য। ভারতে গিয়ে তারা ১০ এপ্রিল কলকাতার সঞ্জিবা গার্ডেনসে প্রবেশ করেন। ১৩ মে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসা থেকে বেরিয়ে লাল গাড়িতে করে এমপি আনারকে সঞ্জিবা গার্ডেনসে নিয়ে আসেন ফয়সাল। এরপর শাহীনের পিএস পিন্টুর কাছে থেকে অচেতন করার জন্য ক্লোরোফর্ম ও চাপাতি নিয়ে আসার দায়িত্ব পালন করেন মোস্তাফিজ, ফয়সাল ও জিহাদ। এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মোট সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছে।’ 

ডিবি প্রধান বলেন, ‘সাতজনের মধ্যে ছয়জনই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া আরও যাদের নাম এসেছে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। শিগগিরই তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সর্বশেষ দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আদালত তাদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই রিমান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল জানান, আক্তারুজ্জামান শাহীন তাদেরকে ভারতে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের ব্যবস্থা করে দেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ড শেষে যখন সবাই চলে যান তখন সর্বশেষ মোস্তাফিজ ও ফয়সাল সঞ্জিবা গার্ডেনসের ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন। সেখানেও শাহীনের সঙ্গে কথা হয় তাদের। শাহীন তাদের নির্দেশ দেন, ফ্ল্যাটটিতে যেন কোনো চুল এবং রক্তের দাগ না থাকে, সবকিছু গুছিয়ে ঠিকঠাকভাবে রাখতে বলা হয় তাদের।’ 

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আনার হত্যাকাণ্ডের ঘাতক আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া যখন ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হন তখন শাহীনের দেওয়া ৩০ হাজার টাকা নিয়ে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল বিভিন্ন জায়গা আত্মগোপন করেন। এরপর তারা পরিকল্পনা করেন দুর্গম পাহাড়ে কোনো মন্দিরে গিয়ে হিন্দু সেজে সেখানে লুকিয়ে থাকবেন।’