ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

জনবান্ধব স্মার্ট মন্ত্রণালয় গড়ে তুলতে চাই : গণপূর্তমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:২১ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:২২ পিএম
জনবান্ধব স্মার্ট মন্ত্রণালয় গড়ে তুলতে চাই : গণপূর্তমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর/সংস্থার কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ ছাড়া যথাযথ নিয়ম মেনে দ্রুততম সময়ে সব কাজ শেষ করার মাধ্যমে আমি একটি জনবান্ধব ও স্মার্ট মন্ত্রণালয় গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজউক, ইউডিডি ও এইচবিআরআইয়ের প্রধানদের সঙ্গে পৃথক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসব সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের (ইউডিডি) কর্মকর্তারা জানান, ইউডিডি ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার ও পরিকল্পিত নগরায়নের লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ করছে। এ ছাড়া ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানে জনবলসংকট, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এ সময় মন্ত্রী দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। সেই সঙ্গে অধিদপ্তরের কাজে গতিশীলতা বাড়াতে যা কিছু করা দরকার, তা দ্রুত করার তাগিদ দেন।

এদিকে সভায় পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী উদ্ভাবন ও তৎসংশ্লিষ্ট শিল্পকারখানা স্থাপনে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এইচবিআরআই) মহাপরিচালক। 

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইটের বিকল্প হিসেবে স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লক তৈরির আড়াইশর বেশি কারখানা স্থাপন করা হয়েছে।’ 

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এসব নির্মাণসামগ্রী বিশেষ করে স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লক ব্যবহারে সর্বস্তরে আরও সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিবেশবান্ধব এসব নির্মাণসামগ্রী ডিকার্বানাইজেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম। জাতীয় স্বার্থে এসব নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’ 

একই দিন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় রাজউকের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পে পর্যাপ্ত বনায়ন, পার্ক, খেলার মাঠ, শিশুপার্ক ও জলাধার সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। 

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর/সংস্থার কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ ছাড়া যথাযথ নিয়ম মেনে দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ করার মাধ্যমে আমি একটি জনবান্ধব ও স্মার্ট মন্ত্রণালয় গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ও তিন দপ্তরের প্রধানরা। 

মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অনন্য অবদান রয়েছে: আইজিপি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৪ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৪ এএম
মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অনন্য অবদান রয়েছে: আইজিপি
ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অনন্য অবদান রয়েছে। শুধু মুক্তিযুদ্ধেই নয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণেও পুলিশের রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন।’

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক আর্ট গ্যালারি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎপরতায় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। তারই একটি অনন্য প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্থাপন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য বিভিন্ন স্মারক সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। যে কেউ এ সংগ্রহশালায় স্বাধীনতা যুদ্ধের নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারবেন।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ইমেরিটাস অধ্যাপক হাশেম খান। তিনি বলেন, শুধু ‘থ্রি নট থ্রি’ রাইফেল দিয়ে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা, আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তান বাহিনীকে রুখে দিয়েছিলেন। মর্টার, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনী ভাবতে পারেনি ‘থ্রি নট থ্রি’ রাইফেল দিয়ে তাদের মোকাবিলা করা হবে।’

আসকের প্রতিবেদন ৬ মাসে মামলা-নির্যাতন ও হয়রানির শিকার ১৪৫ সাংবাদিক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৭ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৮ পিএম
৬ মাসে মামলা-নির্যাতন ও হয়রানির শিকার ১৪৫ সাংবাদিক
ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতির পরিসংখ্যানগত প্রতিবেদনে জানা যায়, বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন ১৪৫ জন সাংবাদিক। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে গত ৬ মাসে অন্তত ২ জন নারীসহ ৮ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠন- আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৬ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু, সীমান্তে হত্যা, সাংবাদিক নিপীড়নসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা প্রদানের মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটে চলেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রকাশিত আসকের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নার সই করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত এই প্রতিবেদনটি ১০টি জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও আসকের নিজস্ব সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।  

গত ৬ মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা, সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে মোট ৪৪০টি। এতে নিহত হয়েছেন ৪১ জন এবং আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৬ জন। এ সময় কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৪৬ জন। এর মধ্যে কয়েদি ২০ জন এবং হাজতি ২৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১৩ জন হাজতি এবং ১০ জন কয়েদির মৃত্যু হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-জুন মাসে সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১০ জন, আহত ১৪ জন। চলতি বছরের ৬ মাসে সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১১ জন নাগরিক। অন্যদিকে মায়ানমার সীমান্তে মর্টার শেলের আঘাতে ১ জন বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে আশ্রিত মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ১ জন নিহত হন। 

বছরের প্রথম ৬ মাসে ২৭টি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০টি বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর, ৫টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ২১টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ১টি মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। 

এ সময়ে যৌন হয়রানি ও সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যা, পারিবারিক নির্যাতন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, গৃহকর্মী নির্যাতনসহ নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত ৬ মাসে যৌন হয়রানিকেন্দ্রিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৪৬ জন নারী-পুরুষ, যাদের মধ্যে হামলার শিকার হয়েছেন ১১৩ জন নারী ও ৩৩ জন পুরুষ। এর মধ্যে বখাটেরা লাঞ্ছিত করেছে ১০১ জন নারীকে, বখাটেদের উৎপাতকে কেন্দ্র করে সংঘাতে আহত হয়েছেন ৩৬ জন। যৌন হয়রানির কারণে ১ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটেদের দ্বারা ৪ জন পুরুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। 

ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ২৫০ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৪ জন নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৩ জন। এ ছাড়া ৫৮ জন নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২৬৯ জন নারী। এর মধ্যে ৮৪ জন নারীকে তার স্বামী হত্যা করেছেন।  পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা হয়েছেন ৯৪ জন নারী। 

এ সময়ে যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৩৩ জন নারী। যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে ১২ জনকে এবং যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৪ জন নারী। এ সময়কালে মোট ১০ জন গৃহকর্মী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।  

দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ৬ মাসে হত্যার শিকার হয়েছে ২৩৯ শিশু এবং ৩ জন শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ৫০ শিশু, বিভিন্ন সময়ে মোট ৭৭ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া গত ৬ মাসে গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হন মোট ৩২ জন। এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা অত্যাবশ্যকীয় বলে মনে করে আসক। অন্যথায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

তিথি/এমএ/

এক মাসের মধ্যে মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়ছে না

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
এক মাসের মধ্যে মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়ছে না
ছবি : সংগৃহীত

মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানো নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে জানাবে কীভাবে মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর ভ্যাট বসানো হবে। এতে করে আগামী এক মাসের মধ্যে ভাড়া বাড়ছে না মেট্রোরেলের। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বেলা আড়াইটায় সভা হয় এনবিআর ও ডিএমটিসিএলের মাঝে। জানা যায়, মূলত এই সভা ছিল মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর ভ্যাট আরোপ কীভাবে করা হবে- তা নিয়ে। 

এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা আজ এনবিআরের সঙ্গে যে বৈঠক করেছি, তাতে মেট্রোরেলের ভাড়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এনবিআর ও মেট্রোরেল সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এক মাসের মধ্যে জানাবে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট কীভাবে ইনক্লুড করা যায়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সড়ক বিভাগ বা ডিএমটিসিএল কিন্তু কখনো বলিনি এনবিআরকে ভ্যাট দেব না। আমরা ভ্যাট দিতে চাই, তবে এ ভ্যাট ইনক্লুড করার পর যাত্রীসাধারণের ওপর যেন চাপ না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব বিষয় নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে আজ।’ 

এর আগে সোমবার থেকেই মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট যুক্ত হয়েছে। সেই অনুযায়ী সেদিন থেকেই মেট্রোরেলের টিকিটের মূল্যের সঙ্গে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ অর্থ দেওয়ার কথা যাত্রীদের। তবে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল এনবিআর চিঠি দিয়ে ডিএমটিসিএলকে জানায়, জুলাই থেকে মেট্রোরেলের সেবা ও টিকিটে মূসক পরিশোধ করতে হবে। এরপর ডিএমটিসিএলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন মেট্রোরেলে ভ্যাট না বসানোর অনুরোধ করে। মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট মওকুফের সময়সীমা ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ওই সুবিধা দিচ্ছে এনবিআর। 

মূলত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) ট্রেনের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ আছে। একইভাবে মেট্রোরেলের ভাড়া থেকেও ভ্যাট আদায় করতে কঠোর অবস্থানে আছে এনবিআর। যাত্রীদের বিদ্যমান ভাড়া থেকেই ভ্যাট পরিশোধ করতে বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। ভ্যাট পরিশোধের পর বাকি টাকা পাবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে বর্তমান ভাড়ার সঙ্গে ভ্যাট যোগ করে এখনই ভাড়া বাড়াতে রাজি না ডিএমটিসিএল। এ ক্ষেত্রে তারা ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ আরও বাড়িয়ে যা ভাড়া আছে তাই রাখতে আগ্রহী। 

এদিকে মেট্রোরেলের টিকিটের বর্তমান ভাড়া থেকে ভ্যাট হিসেবে টাকা কেটে সেটা এনবিআরকে দিলে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের আয় কমে যাবে বলে এ সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের একাধিক কর্মকর্তা। হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান ভাড়ার সঙ্গে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট যোগ করা হলে যাত্রীদের ১০০ টাকার টিকিটের দাম বেড়ে হবে ১১৫ টাকা। অন্যদিকে ভ্যাটের টাকা যাত্রীর বর্তমান ভাড়া থেকে কেটে নেওয়ারও আইনি সুযোগ আছে। ১০০ টাকার টিকিট থেকে ১৫ টাকা এনবিআরকে দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে ভাড়া না বাড়লেও মেট্রোরেলের আয় কমবে।

সপ্তাহে দুই দিন ঢাকায়, বাকি সময় সারা দেশ ঘুরবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
সপ্তাহে দুই দিন ঢাকায়, বাকি সময় সারা দেশ ঘুরবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন নিজের কাজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেছেন, ‘সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার ঢাকা থাকব আর বাকি দিনগুলো সারা দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা পরিদর্শন করব। জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে উন্নত করতে পারলে এবং সেখানে রোগীর যথাযথ চিকিৎসা হলে ঢাকা শহরে রোগীদের ভিড় হবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। শৈশব থেকেই যদি আমরা তাদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে পারি, নিঃসন্দেহে তারা ভবিষ্যতে দেশের কাণ্ডারি হবে।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সাসাকাওয়া অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ কর্মসূচি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. বেগম রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে আইসিডিডিআরবির কাজ প্রশংসনীয়। শিশুরা যে পরিবেশে বেড়ে উঠছে তা বিবেচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

আইসিডিডিআরবির মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের (এমসিএইচডি) ইমেরিটাস বিজ্ঞানী ড. জেনা দেরাখশানি হামাদানি বলেন, ‘সরকার আইসিডিডিআরবির সঙ্গে অংশীদারত্বে ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার অধীনে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে শৈশব বিকাশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর উদ্দেশ্য অভিভাবকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানো এবং শিশুর সামগ্রিক বিকাশ সম্পর্কে প্রচার করা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় আশা করি, আমরা দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিকে কার্যক্রমটি কার্যকরভাবে সম্প্রসারণ করতে পারব এবং একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করতে পারব।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিশেষ করে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের নিচের প্রায় ২৫ কোটি শিশু দারিদ্র্য, পুষ্টিহীনতা এবং অপর্যাপ্ত অভিভাবকত্ব দক্ষতার কারণে তাদের সম্পূর্ণ বিকাশের সম্ভাবনা অর্জনে ব্যর্থ হয়। শিশুদের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি প্রাথমিক শৈশব উদ্দীপনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রচার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ডিজিএইচএসের বিভিন্ন লাইন ডিরেক্টর, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং শিশু বিকাশ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিসহ অনেকে।

ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকরা দুদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকরা দুদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে: প্রধানমন্ত্রী
ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বুলুশি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, ‘তারা উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। উভয় দেশের অর্থনীতিই এই শ্রমশক্তির দ্বারা উপকৃত হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বুলুশি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আল-বুলুশি বলেন, ‘প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি জনশক্তি আমাদের শ্রমবাজারে কাজ করছে। আমরা শ্রমের চাহিদা পূরণের জন্য পর্যায়ক্রমে শ্রমবাজার পর্যালোচনা করি। সেই পর্যালোচনার ভিত্তিতে কখনো কখনো আমরা দেশগুলোতে স্থগিতাদেশ দিয়ে থাকি। বিধিনিষেধের উপায় দেখে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের ওপর ব্যাপক ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আসলে কিন্তু তেমন নয়। জনশক্তি ভিসা ছাড়া বাকি সব ভিসা যেমন ফ্যামিলি ও ট্যুরিস্ট ভিসা খোলা আছে। বাংলাদেশিদের জন্য ওমানের ১০টি ক্যাটাগরির ভিসা এখন উন্মুক্ত।’ 

সার আমদানির বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, তার সরকার ব্যবস্থাটি জি-টু-জি ভিত্তিতে করার প্রস্তাব করেছেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখবে।’

এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার সরকারের কাছে একটি অনুরোধপত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হবেন। এ সময় অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে ব্যবসা বাড়াতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিস্তিয়াগা ওচোয়া ডি চিনচেত্রু সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্প্যানিশ বিনিয়োগকারীদের সেখানে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে স্পেনের সমর্থন চান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান বলেন, বৈঠকে জানানো হয় যে, দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব চুক্তির জন্য আলোচনা হবে, যা আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হবে। স্পেনে বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করে। প্রধানমন্ত্রী স্পেনের প্রতি বিশেষ করে আইটি খাত থেকে আরও বেশি বাংলাদেশি নেওয়ার আহ্বান জানান।

স্পেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বর্তমানে তার দেশ বাংলাদেশ থেকে শুধু তৈরি পোশাক (আরএমজি) আমদানি করে এবং বাংলাদেশের সিমেন্ট খাতে স্পেনের বিনিয়োগ রয়েছে। তিনি চলতি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, সরকার শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীকে গুরুত্ব দিয়েছে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে আপনার বর্ধিত আগ্রহ ও বরাদ্দ আমাদের দেশের সঙ্গেও মিলেছে।’ 

রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে তাকে স্পেন সফরের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পেনের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বাসস