ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তন জরুরি: স্পিকার

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তন জরুরি: স্পিকার
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অসংক্রামক ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পেতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। হৃদরোগের কারণে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলে কীভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা যায়, আক্রান্ত ব্যাক্তির প্রাণ বাঁচানো যায়- সেসব বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান সবার থাকা প্রয়োজন। একই সঙ্গে জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে সব অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

সোমবার (২৪ জুন) সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে আইপিডিআই ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ পার্লামেন্টারি স্টাডিজ (বিআইপিএস) দ্বারা আয়োজিত  'ওয়ার্কশপ অন এনসিডি অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড সিপিআর ট্রেনিং প্রোগ্রাম' শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বে হৃদরোগের মতো অসংক্রামক ব্যাধির প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, হৃদরোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাপক গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এই কর্মশালা সিপিআর শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে সক্ষম করবে। ধরনের আয়োজনের জন্য তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। 

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা এমপি বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ও আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের উপর এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজেস এর প্রফেসর ও আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন আহমেদ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর নিয়ে লেকচার প্রদান করেন। 

এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ডা. মো. আব্দুল আজিজ, মো. তৌহিদুজ্জামান, রেজিয়া ইসলাম, কোহেলী কুদ্দুস, দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা, মোছা. আশিকা সুলতানা, রুনু রেজা, জাতীয় সংসদ সদস্যদের ব্যক্তিগত সহকারী, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের ব্যক্তিগত সহকারীসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

স্পিকার/এলিস

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক এমপি হিরু’র স্মরণে দোয়া মাহফিল শনিবার

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক এমপি হিরু’র স্মরণে দোয়া মাহফিল শনিবার
অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হিরু। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, দক্ষিণাঞ্চলের মুজিব বাহিনীর কমান্ডার, জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হিরু’র স্মরণে নাগরিক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল আগামীকাল শনিবার (২৯ জুন)। 

এদিন বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে জাতীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও বরিশাল বিভাগের বিশিষ্টজনরা আলোচনা অংশ নেবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন বরিশাল বিভাগ সমিতির অন্যতম উপদেষ্টা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।

মুজিব বাহিনীর কমান্ডার হুমায়ুন কবির হিরু বরগুনা-১ (বেতাগী-বরগুনা) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকায় মডার্ন কলেজের অধ্যক্ষ, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের অধ্যাপক, জাতিসংঘের শিশু অধিকার ফোরামের সাবেক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সমাজসংস্কারক হিসেবেও তিনি বিভিন্ন ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ১৯৪৮ সালের ৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ৭৬ বছর বয়সে ২০২৪ সালের ১৭মে মারা যান তিনি। 

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় দুই ভাই, খিলক্ষেত এলাকায় মো. আলফাজ (২৫) ও পল্লবীর কালশী এলাকার মোহাম্মদ রাহুলের (২০) মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৭ জুন) ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় সুমাত্রা ফিলিং স্টেশনের সামনে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা সিফাতুর রহমান সাফিন ওরফে রাহুল মারা যান। সঙ্গে থাকা তার ভাই রাফি আহত হন। পরে রাফিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান। তাদের বাসা মিরপুরের পল্লবী কালশী বাউনিয়া বাঁধ এলাকায়।

অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খিলক্ষেত এলাকায় ট্রাক উল্টে মো. আলফাজ নিহত হন। তিনি পেশায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কর্মী ছিলেন বলে জানান স্বজনরা। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কান্দাছিয়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। তিনি মিরপুর ১২ নম্বর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পল্লবীর কালশী এলাকায় মোটরসাইকেল চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গুরুতর আহত হন রাহুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাহুল পল্লবী কালশী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন।

রেশনিংসহ সামাজিক সুরক্ষাখাতে বরাদ্দের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
রেশনিংসহ সামাজিক সুরক্ষাখাতে বরাদ্দের দাবিতে বিক্ষোভ
ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পাচারকারী-অপ্রদর্শিত-অবৈধ সম্পদ মালিকদের কর ছাড় বাতিল এবং পোশাক শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের জনগণের জন্য রেশনিং ও সামাজিক সুরক্ষাখাতে বরাদ্দের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি। 

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক এফ এম নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর সাহা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা শামীম হোসন, হযরত বিল্লাল, আকলিমা বেগম, আসলাম শিকদার প্রমুখ। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার প্রস্তাবিত দেশের ৫৩তম প্রস্তাবিত বাজেটে রপ্তানি আয়ের শীর্ষখাতের কারিগর পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবীদের জীবনে স্বস্তির সুবাতাস আনতে পারেনি। এনেছে দুর্ভোগ আর অনিশ্চয়তার শঙ্কা। বাজেটে দ্রব্যমূল্যের কষাঘাত থেকে রক্ষা করতে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ প্রস্তাবিত দেখা যায়নি। পোশাক শ্রমিক ও শ্রমজীবীদের জন্য রেশনিং, আবাসনসহ শ্রমখাতে বাজেটে বরাদ্দর দাবি দীর্ঘদিন থেকে উঠলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তার ছাপ নেই। নেই দেশের জনগণ ও সৎ করদাতার স্বস্তি বা মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার উদ্যোগ। উল্টো অপ্রদর্শিত আয়, সম্পদের মালিক ও পাচারকারীদের জন্য আছে প্রশ্নাতীত কর ছাড়। বৈধ ও প্রদর্শিত আয়কারিদের সর্বোচ্চ কর ৩০ শতাংশ, অন্যদিকে অবৈধ-অপ্রদর্শিত সম্পদ মালিকদেও কর মাত্র ১৫ শতাংশ। ফলে নিয়মিত বৈধ সৎ করদাতা উপর চাপ বাড়বে। 

তারা বলেন, এই বিশেষ ছাড় ক্ষমতাবান বিশেষ ব্যক্তি-গোষ্ঠী-প্রতিষ্ঠানকে সরকারের ছত্রছায়ায় রক্ষা পাবার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। সরকারের জবাবদিহিতাহীন, অস্বচ্ছ অগণতান্ত্রিক সকল তৎপরতাকে টিকিয়ে রাখতেই দুর্নীতিগ্রস্থদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে- যা বাজেটে আরেকবার সামনে এসেছে। অথচ শ্রমজীবীরা বর্তমান বাজারে বেঁচে থাকাই দায় হয়েছে। অবিলম্বে পাচারকারী-অপ্রদর্শিত-অবৈধ সম্পদ মালিকদের তোষণ বন্ধ করে প্রস্তাবিত বাজেটে কর ছাড় বাতিলের দাবি জানান। 

পোশাক শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে এবং শ্রমখাতে যথাযথ নির্দিষ্ট বরাদ্দের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, পোশাক শ্রমিকরা যে ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি পান তা তাদের মৌলিক চাহিদা পুরণে ব্যর্থ। বর্তমানে বাজারে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওভারটাইম করেও তারা জীবন নির্বাহ করতে পারছে না। সুচিকিৎসারও ব্যবস্থা নাই। দেশে কোন জাতীয় ন্যুনতম মজুরি নেই। এই পরিস্থিতিতে পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবীদের জীবন রক্ষায় বাজেটে বরাদ্দ এখন সময়ের দাবি বলেও অভিহিত করেন।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এই সংকট থেকে মুক্ত হতে সামাজিক সুরক্ষাখাতে বৈদেশিক  মুদ্রা উপার্জনকারী পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবীদের রেশনিং, ফ্যামিলি কার্ড ও শ্রমখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ছাড়া পথ খোলা নেই। টাকার অঙ্কে সামাজিক সুরাক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়লেও তা সাধারণ মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে না। বর্তমান বাজেটে সামাজিক সুরক্ষাখাত থেকে পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবীর জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিও জানান নেতৃবৃন্দ।

শফিক/এমএ/

হঠাৎ অসুস্থ ডেপুটি স্পিকার, হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:২০ পিএম
হঠাৎ অসুস্থ ডেপুটি স্পিকার, হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়
ছবি : খবরের কাগজ

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। জরুরি চিকিৎসার জন্য তাকে হেলিকপ্টারযোগে রাজধানী ঢাকায় আনা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বেড়া আব্দুল খালেক স্টেডিয়াম থেকে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকায় আনা হয়।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বেড়া বিপিন বিহারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন শামসুল হক টুকু। উদ্বোধন শেষে নিজ বাড়ি সংলগ্ন নৌকা চত্বরে বৃক্ষরোপণের জন্য প্রস্তুত নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থবোধ করেন‌ এবং হেলে পড়েন।

তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কিছুটা সুস্থ বোধ করায় নিজ বাসায় নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরে একটি অনুষ্ঠান শেষে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন। কিন্তু উনার হার্টের অবস্থা তত ভালো নয়, এজন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।’

পার্থ হাসান/সালমান/

আগামী বছর চালু হবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম
আগামী বছর চালু হবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে
ছবি : সংগৃহীত

আগামী বছরের মধ্যে ঢাকা বাইপাস রোডের অবকাঠামোর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে সড়ক নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন পর্যন্ত সড়কটির ৬০ শতাংশের বেশি নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাইপাসটির কাজ শেষ হলে ঢাকায় প্রবেশ না করে জয়দেবপুর থেকে মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে যাওয়া যাবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) গাজীপুরের মিরের বাজার এলাকায় সিক্লাব রিসোর্টে মিডিয়া পাবলিক ডেতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে বাইপাসটির বিভিন্ন অংশের চলমান কার্যক্রম সরেজমিনে দেখানো হয় গণমাধ্যমকর্মীদের। ওই সময় প্রকল্পটির কে-১২ রেলওয়ে ওভারপাস (মিরের বাজার ফ্লাইওভার) ও ফুটপাত নির্মাণকাজ পরিদর্শন করানো হয়। পরে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি) এবং চীন ও বাংলাদেশি মিডিয়ার আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রথম পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে এ এক্সপেসওয়ে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ (গ্রুপ) করপোরেশন লিমিটেড (এসআরবিজি), শামীম এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (এসইএল) এবং ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের (ইউডিসি) কনসোর্টিয়াম নামের তিন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এই প্রকল্পের আর্থিক পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক (ঢাকা বাইপাস) পিপিপি প্রকল্পটিতে আগের দুই লেনের সড়ক নতুন করে চার লেন করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাশে দুটি সার্ভিস লেন থাকবে ওইসব এলাকার যানবাহন চলাচলের জন্য। এ পুরো সড়কে আগে যেখানে দুই ঘণ্টা সময় লাগতো, সেটা আধাঘণ্টায় নেমে আসবে।  

প্রকল্পের ব্যয় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। ২০২৫ সালের জুলাইয়ের মধ্যে সড়কটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করেই বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন সহজেই দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে চলাচল করতে পারবে।

মিডিয়া ডেতে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) সিইও জিয়াও ঝিমিং বলেন, ‘এ এক্সপ্রেসওয়ে বাংলাদেশের মহাসড়কে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। এটি নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেবে। পাশাপাশি এ সড়ক ঢাকার ট্রাফিক নেটওয়ার্কের উন্নতি, যানজট নিরসন এবং প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার পরে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।’

জিয়াও বলেন, ‘প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য তৃতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে একটি বাস্তব সহযোগিতা প্রকল্প হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। যা চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চমানের সহযোগিতার উদাহরণ।’

অনুষ্ঠানে সিইএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াং জিয়ানশি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এবং চীন-বাংলাদেশ-ভারত-মায়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের আওতায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে এমন সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করতে থাকবে। দুই দেশের এই প্রচেষ্টার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে মনে করি।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিইএবির আরেক ভাইস প্রেসিডেন্ট উ কিডং, ডিপিডিসির সিওও মো. শফিকুল ইসলাম আকন্দ এবং প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার শি বো এবং ইয়াং জু।

সালমান/