সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা তিনটি দাবি নিয়ে মোট ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের দাবিগুলো হলো: ১. প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, ২. সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি ও ৩. শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একমাত্র দাবি হলো প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতদিন তাদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এসব দাবির প্রতি সরকারের অবহেলা এবং শিক্ষকদের অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তার কারণে তারা এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি এবং শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট প্রবাসী, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা- এই চারটি প্রকল্প নিয়ে সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প যাত্রা শুরু করে। পরে সব স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে একটি নতুন স্কিম চালু করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৩ মার্চ প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
স্কিমটি প্রত্যাহারের দাবিতে বেশ কিছু কর্মসূচি পালনের পর গত ৪ জুন প্রথম অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এর পরও দাবির বিষয়ে সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত সপ্তাহে টানা তিন দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। একই দাবিতে গত সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটেও শিক্ষকনেতারা জোরালো বক্তব্য দেন। ১ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক
শিক্ষা কার্যক্রম।
গত ২০ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে ‘প্রত্যয়’ স্কিম চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ১ জুলাই বা তার পরে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ সংস্থার নতুন যোগদানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের আওতায় আসবেন।
‘প্রত্যয়’ স্কিমে অংশ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হবে এবং প্রতিষ্ঠানও সমপরিমাণ অর্থ দেবে। এই অর্থ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ করা হবে এবং পেনশন ফান্ড গঠিত হবে। ১৭ আগস্ট ২০২৩ সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন, প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা স্কিম চালু। ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখে এসআরও নম্বর ৪৭-আইন/২০২৪-এর মাধ্যমে ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রণয়ন।
‘প্রত্যয়’ স্কিমের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ
১. কর রেয়াত: মাসিক জমার বিপরীতে কর রেয়াত ও পেনশন আয়করমুক্ত।
২. নমিনির পেনশন: ৭৫ বছরের আগে পেনশনারের মৃত্যু হলে নমিনি অবশিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত মাসিক পেনশন পাবেন।
৩. মাসিক চাঁদা: কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের মাসিক চাঁদা পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
৪. ইএফটি (EFT): পেনশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেনশনারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
৫. মৃত্যুকালীন ফেরত: পেনশনযোগ্য বয়সের আগে মৃত্যু হলে জমাকৃত অর্থ নমিনি বা নমিনিদের এককালীন ফেরত।
৬. বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ: ১ জুলাই ২০২৪ থেকে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ।
৭. বর্তমান কর্মচারীর অংশগ্রহণ: ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ১০ বছরের বেশি চাকরির মেয়াদ থাকা বর্তমান কর্মচারীদের স্বেচ্ছা অংশগ্রহণ।
৮. চাঁদার পরিমাণ: মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা কর্তন ও সমপরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদান।
৯. আজীবন পেনশন: পেনশনার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন।
‘প্রত্যয়’ স্কিমের আওতায় রয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, আইডিআরএ, আইসিবি, সব রাষ্ট্রমালিকানাধীন ও সরকারি ব্যাংক, সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ বিমা করপোরেশনসহ সব করপোরেশন, পেট্রোবাংলা, ইপিবি, বিএসটিআইসহ প্রায় ৪০০ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান। পদ্মা অয়েল, যমুনা অয়েলসহ সরকারের হাতে ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিকানা থাকা কোম্পানিগুলোর নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আর বিদ্যমান নিয়মে পেনশন পাবেন না।
‘প্রত্যয়’ স্কিম নিয়ে সংশয়
বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একই নিয়মে পেনশন প্রাপ্য হলেও তাদের সেই সুবিধা থেকে বের করে ‘প্রত্যয়’ স্কিমে যুক্ত করাকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর ষড়যন্ত্র মনে করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অনেকেই বলছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা স্কিম এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোসহ অন্যদের জন্য আলাদা কেন হবে? এতদিন তো একই ধারায় চলে আসছিল, তাহলে এখন হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এই আলাদা স্কিমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ‘ষড়যন্ত্র’ মনে করছেন। অশান্ত হলে সরকারবিরোধীদের জন্য সুযোগ তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
২০১৫ সালে শিক্ষকদের প্রতি বৈষম্যমূলক পে-স্কেল কার্যকর করার পর এবার ‘প্রত্যয়’ নামক আরেকটি বৈষম্যমূলক পেনশনব্যবস্থার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেখিয়েছেন, কীভাবে নতুন পেনশনব্যবস্থা আর্থিক বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং শিক্ষকদের সুবিধা কমিয়ে দেয়।
এই পেনশনব্যবস্থা শুধু আর্থিক দিক থেকে বৈষম্যমূলক ও অন্যায্য নয়, এটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দিক থেকেও বৈষম্যমূলক। কারণ, একই স্কেলে একই রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন নিয়ে শিক্ষকদের আলাদাভাবে পেনশন দেওয়া উচিত নয়। বরং শিক্ষকদের বেতন হওয়া উচিত অন্যদের চেয়ে বেশি এবং আলাদা।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত সংস্থায় যারা ১ জুলাই থেকে নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ‘প্রত্যয়’ পেনশন কর্মসূচিতে যোগ দিতে হবে। এসব সংস্থার নতুন চাকরিজীবীরা অবসরে যাওয়ার পর প্রচলিত পদ্ধতিতে পেনশন পাবেন না। এই নিয়মের সঙ্গে একমত হতে না পেরে শিক্ষকরা কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন।
তাদের দাবি আদায় না হওয়ায় ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী গত সোমবার থেকে শিক্ষকরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন এবং সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে। কারণ, এটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলছেন, এই নিয়মের ফলে ভালো শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবেন না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে নতুন নিয়োগের ফলে আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এই স্কিমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ‘বৈষম্যমূলক’ বলে উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি করেছেন।
অভিভাবকদের শিক্ষকদের কাছ থেকে আকাশসম প্রত্যাশা থাকে এবং একজন আদর্শ শিক্ষক তার সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেন। আদর্শ শিক্ষক মানবসৃষ্টির শৈল্পিক কারিগর, যার দৃষ্টিভঙ্গি ও আদর্শ মানবতার কল্যাণে নিবেদিত। তার মান, মর্যাদা ও সম্মান সর্বব্যাপী এবং সবার শীর্ষে থাকার কথা। উল্টো তাকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়ে আপনি কীভাবে আশা করছেন আপনার সন্তান সঠিকভাবে মানুষ হবে। আজকে কী কারণে জাতি গড়ার কারিগররা রাস্তায় মিটিং-মিছিল করছেন। একজন শিক্ষক হিসেবে আমার জন্য এটি লজ্জার ও অপমানের।
তাই বলব, শিক্ষকরা আমাদের সমাজ ও জাতির মূল স্তম্ভ, তাদের সঠিক মর্যাদা ও সম্মান নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। শিক্ষকরা যে ধোয়া তুলসী পাতা, তা দাবি করছি না। আমাদের ভুল থাকলে রাষ্ট্রের উচিত তা শুধরে নেওয়া, আমাদের রুটি-রুজির ওপর আঘাত করা নয়।
প্রত্যয় স্কিম নিয়ে অচলাবস্থার সমাধানে কিছু কার্যকর পরামর্শ হতে পারে-
১. সংলাপ ও পরামর্শ সভা: শিক্ষক ও প্রশাসনের মধ্যে সংলাপ: শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত বৈঠক করা উচিত, যাতে তাদের উদ্বেগ ও প্রস্তাবনা সরাসরি শোনা ও সমাধান করা যায়।
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ: পেনশন এবং আর্থিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে শিক্ষকদের জন্য একটি সুষম ও ন্যায্য স্কিম প্রণয়ন করা উচিত।
২. সমন্বিত পেনশনব্যবস্থা: মিশ্র পেনশনব্যবস্থা: শিক্ষকদের জন্য একটি মিশ্র পেনশনব্যবস্থা প্রণয়ন করা যেতে পারে, যা সরকারি কর্মকর্তাদের মতোই সুবিধা দেয় এবং একই সঙ্গে প্রত্যয় স্কিমের কিছু ইতিবাচক দিকও অন্তর্ভুক্ত করে।
স্বতন্ত্র পেনশন স্কিম: শিক্ষকদের জন্য আলাদা একটি পেনশন স্কিম তৈরি করা যেতে পারে, যা তাদের কাজের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী বিশেষ সুবিধা প্রদান করে।
৩. প্রয়োজনীয় সমন্বয়: নিয়ম ও শর্তাবলি পর্যালোচনা: শিক্ষকদের জন্য প্রণীত পেনশন স্কিমের নিয়ম ও শর্তাবলি পর্যালোচনা করে তার মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা উচিত, যাতে তারা সুবিধাবঞ্চিত না হন।
সুবিধা বৃদ্ধি: নতুন পেনশন স্কিমে শিক্ষকদের জন্য আর্থিক সুবিধা এবং অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধি করা উচিত।
৪. শিক্ষকদের ভূমিকা ও মর্যাদার স্বীকৃতি: শিক্ষকদের গুরুত্ব: শিক্ষকদের গুরুত্ব ও মর্যাদা বুঝে তাদের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
উৎসাহ ও প্রণোদনা: শিক্ষকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে তারা তাদের পেশায় আরও উৎসাহিত হন।
৫. সময়সূচি নির্ধারণ: সময়সীমা: সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত, যাতে দ্রুত সমাধান সম্ভব হয় এবং শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে যেতে পারেন খুব দ্রুত সময়ে।
কার্যকর পর্যবেক্ষণ: প্রক্রিয়ার কার্যকর পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করার জন্য একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেনশন নীতি শুধু আর্থিক দিক থেকে নয়, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দিক থেকেও সমতামূলক হওয়া উচিত। এক রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে একই স্কেলে কাজ করা ব্যক্তিদের পেনশন অসম হওয়া অযৌক্তিক ও অসম্মানজনক।
বরং শিক্ষকদের বেতন ও পেনশন হতে হবে বিশেষ এবং যথাযথভাবে সম্মানজনক, কারণ তারা সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাদের অবদানের যথাযোগ্য মূল্যায়ন এবং সম্মান দেওয়া প্রয়োজন, যা প্রাপ্ত পেনশনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। শিক্ষকদের পেনশন পদ্ধতিতে একটি পরিবর্তন আনতে হবে এবং এই পরিবর্তনটি হওয়া উচিত একটি উন্নত এবং আপগ্রেডেড পদ্ধতির মাধ্যমে। যাতে করে শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রম এবং সমাজে তাদের অবদানের যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়।
সরকার এবং শিক্ষক উভয়ের মধ্যে সঠিক সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে ‘প্রত্যয়’ স্কিম নিয়ে অচলাবস্থা সমাধান করা সম্ভব হবে। মনে রাখবেন আগামী প্রজন্মকে সঠিকভাবে যুগোপযোগী মানুষ বানাতে হলে শিক্ষকদের রাষ্ট্রের মধ্যে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে হবে এবং তাদের সুপার গ্রেডে উন্নীত করা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত। মনে রাখবেন, মহান জাতি গঠনের কারিগর এই শিক্ষকরা রাষ্ট্রের কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। তার পরও এই শিক্ষকসমাজ কেন বৈষম্যের মূল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে বারবার?
লেখক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পিএইচডি গবেষক, আইআইইউএম, মালয়েশিয়া