![স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী](uploads/2023/11/29/1701276068.hasan_mahmud.jpg)
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনে সব সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল এবং থাকে, অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিতও হয়। তবে আমাদের দলের যারা পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী, তাদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখছেন, সারা দেশে এখন নির্বাচনী আমেজ বইছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মনোনয়ন ঘোষণা করেছে এবং তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এর বাইরেও অনিবন্ধিত অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ৭ জানুয়ারি যথাসময়ে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে বিএনপি হতাশ হয়ে গেছে।’
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালী আংশিক) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
এরপর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। সারা দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন, এতে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া ও অঘটন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ ব্যাপারে দলের নির্দেশনা কী? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রার্থিতা ঘোষণা, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা ও জমা দেয়া- এগুলোর মাধ্যমে আসলে পুরো দেশ আজকে নির্বাচনী আমেজের মধ্যে আছে। এই ডামাডোলের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বর্জনের যে ডাক ছিল, সেটি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। মানুষ এখন নির্বাচনমুখী হয়ে গেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর সরকার পতনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল। এ বছর ২৮ অক্টোবরও দিনক্ষণ ঘোষণা করে। এভাবে ঘোষণাটাই একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা।’
‘বিদেশি থাবার’ বিষয়ে বিএনপির বক্তব্য নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের সময়েও বিদেশি থাবা ছিল, আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির সময়েও বিদেশি থাবা আছে। এখন যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তখনো বিভিন্ন দেশি-বিদেশি চক্র নানা ষড়যন্ত্র করছে। তবে আমাদের সঙ্গেই সবার সম্পর্ক চমৎকার। আমাদের সরকারের নীতি হচ্ছে, কারও সঙ্গেই বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে মিত্রতা। সেই নীতি নিয়েই আমরা কাজ করি।’
এ সময় সেখানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, মহানগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চিশতিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।