
আটক অবস্থায় নির্যাতন বন্ধ, বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ ও গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এক প্লাকার্ড বিক্ষোভ করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে এ প্লাকার্ড বিক্ষোভ করে দলটি।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্লাকার্ড বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ) কেন্দ্রীয় সদস্য দেলোয়ার হোসেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সহ-সভাপতি দীপা মল্লিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ঢাকা অঞ্চলের সংগঠক হেমন্ত দাষ।
সভার সভাপতি ফয়জুল হাকিম বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে বাংলাদেশে আজ মানবাধিকার ভূলুন্ঠিত। সভা সমাবেশ মিছিল মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে সরকার দেশকে এক পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের অবাধ লুণ্ঠনের কারণে আজ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ঘটে সাধারণ জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা বিপন্ন করে চলেছে। সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় এই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা এই লুণ্ঠন কাজ করতে পারছে।
গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা মানবতাবিরোধী অপরাধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দল ও মত দমনে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, আটক অবস্থায় নির্যাতন, গণগ্রেফতারের যে পথ বেছে নিয়েছে তা দিয়ে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাজারি শোষণের হাত থেকে বাঁচতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন করেছিলেন। সরকারের পুলিশ গুলি চালিয়ে ৪ জন শ্রমিককে হত্যা করে, শত শত শ্রমিককে আহত করে এই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমন করেছে। শ্রমিক হত্যার বিচারের দাবিতে তাই মাঠে নামতে হবে।
অমল ত্রিপুরা বলেন, ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমা ২০১৯ সালে গুমের শিকার হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কল্পনা চাকমাকে লেফটেন্যান্ট ফেরদৌস অপহরণ করেছে। এসব ঘটনার আজও বিচার হয়নি। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা বাতিল করার দাবি জানান।
দীপা মল্লিক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস সাধারণ ছাত্রদের অধিকার কেড়ে নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস করেছে। একে ঐক্যবদ্ধভাবে ছাত্র সমাজকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
হেমন্ত দাষ বলেন, একতরফা নির্বাচন জনগণ মানে না। হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে রাস্তায় নামতে হবে।