![কারো হাতে আলাদিনের চেরাগ, কারো হাতে রংচটা থালা : বাম গণতান্ত্রিক জোট](uploads/2024/02/06/1707233265.bgjkk.jpg)
লুটপাট বন্ধের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করতে হবে বলে বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতারা জানান। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে অথচ কিছু মানুষ অর্থের পাহাড় গড়ছে। ক্ষমতা আর ক্ষমতাসীনদের আনুকূল্য ছাড়া সৎ আয়ে এভাবে টাকার পাহাড় গড়া সম্ভব না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কারো কারোর হাতে আলাদিনের চেরাগ আবার উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত শ্রমজীবী কারো কারোর হাতে রংচটা খালি থালা। নেতৃবৃন্দ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের বাফার স্টক গড়ে তোলা ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চক্র ভেঙে মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
প্রকৃত উৎপাদক কৃষকের পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ও উৎপাদন ব্যয় কমাতে কম মূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহের দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, উৎপাদন ও ক্রেতার স্বার্থ-সংরক্ষণ করতে সারাদেশে ‘উৎপাদক ও ক্রেতা’ সমবায় চালু, সহজ ও চাঁদাবাজমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে বলে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন।
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ, সিন্ডিকেট চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সারাদেশে সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা চালু, জাতীয় ন্যূনতম মজুরিসহ সবার কাজের নিশ্চয়তা, দুর্নীতি-লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, খেলাপি ঋণ-পাচারের টাকা আদায়সহ ফ্যাসিবাদি দুঃশাসনের অবসানের দাবিতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র খালেকুজ্জামান লিপন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই দুঃশাসনের হটানো ছাড়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থনীতির ধারার দেশ চালাতে হবে। বামপন্থীরা ক্ষমতায় গেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অর্থনৈতিক ধারায় দেশ চালাবে, যা সংবিধানে এখনো লিপিবদ্ধ আছে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, পল্টন, দৈনিক বাংলা, বক্স কালভার্ট রোড, বিজয়নগর হয়ে পুরানো পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।