
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করে হাসিনা সরকার দেশে যে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘায়িত করে চলেছে তাকে সমর্থন করে ও মদদ যুগিয়ে সাম্রাজ্যবাদী ভারত নিজেদের আসল চেহারা উন্মোচন করেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নয়, ভারতের তাবেদার আর পদলেহীদের ক্ষমতায় দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম।
ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সকল অসম ও অধীনতামূলক চুক্তি বাতিলের দাবীতে ও সাম্রাজ্যবাদী ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে তিনি দেশপ্রেমিক সকল গণতান্ত্রিক শক্তি ও সংগঠনের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল উত্তরাঞ্চল-৩ এর এক কর্মীসভায় শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় পাবনায় নিজ কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলওয়ে শ্রমিক নেতা ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ) সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল ( মা-লে-মা) সাধারণ সম্পাদক ডা আবদুল হাকিম, বাংলাদেশ কৃষক ও গ্রামীণ মজুর ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের শাহজাদপুর অঞ্চলের সংগঠক রাশেদুল হক রাশু, বাংলাদেশ লেখক শিবির পাবনা শাখা সম্পাদক মোমিনুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন ঈশ্বরদী শাখার সংগঠক মনোয়ার হোসেন, ঈশ্বরদী অঞ্চল কৃষক ও গ্রামীণ মজুর ফেডারেশনের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, চাতাল শ্রমিক সংগঠক গিয়াসউদ্দিন, গণসঙ্গীত শিল্পী শাহরিয়ার হিমেল প্রমুখ।
কর্মীসভায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, গত ৭ জানুয়ারি এক জালিয়াতির নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ ও সরকার গঠনে সক্ষম হলেও, এই সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জনগণ জালিয়াতির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার উচ্ছেদের লক্ষ্যে নতুন করে সংগ্রাম জোরদার করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হচ্ছে।
কর্মীসভায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল উত্তর অঞ্চলের-৩ এ শ্রমিক, কৃষক ও নিপীড়িত জাতিসত্তার জনগণের মধ্যে ১৮ দফা কর্মসূচীর ভিত্তিতে সর্বত্র কমিটি গঠন ও আঞ্চলিক সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি