ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

যশোরে প্রার্থীরা মাঠ দাপালেও ভোটারদের আগ্রহ কম

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ০৯:৫৩ এএম
যশোরে প্রার্থীরা মাঠ দাপালেও ভোটারদের আগ্রহ কম
যশোর শহরের দড়াটানায় নির্বাচনি প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করেছেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুল

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এ ধাপে যশোরের দুটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আর দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে ও তৃতীয় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে আরও ছয়টি উপজেলায়। কিন্তু ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ নেই বললেই চলে। তার প্রমাণ পাওয়া গেছে অনুষ্ঠিত দুই উপজেলার ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে। প্রার্থী ও তার কর্মীরা ভোটের দিন বাড়ি বাড়ি গিয়েও ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে পারেননি। ওই দুই উপজেলায় ৩০ ভাগ ভোটও পড়েনি।

তবে পিছিয়ে নেই প্রার্থীরা। উপজেলাগুলো পোস্টারে ছেয়ে গেছে। প্রতীক বরাদ্দের পর চলছে সুর ও ছন্দে মাইকে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কর্মীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। দিচ্ছেন লিফলেট, চাচ্ছেন ভোট। প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসছেন প্রচারে। প্রায় প্রতিদিন সকাল, বিকেলে ও সন্ধ্যায় ইউনিয়ন অথবা পৌরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বৈঠক করছেন। আবার কোথাও কোথাও প্রার্থীরা নির্বাচনি পথসভা করছেন। ভোটারদের আস্থা অর্জনে দিচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। প্রার্থীরা সাধারণ ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি মেলাচ্ছেন রাজনৈতিক নানা সমীকরণ।

সব মিলিয়ে যশোরের ছয় উপজেলায় অর্ধশতাধিক প্রার্থী মাঠ দাপিয়ে বেড়ালেও ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। তারা বলছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় পরিচয় ও নৌকা প্রতীক না থাকলেও মূলত আওয়ামী লীগের গ্রুপ ও উপ-গ্রুপের নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। বড় দল বিএনপি সরাসরি এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। যশোরে দলীয় সিদ্ধান্ত কেউ অমান্যও করেনি। আবার এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলো কোনো প্রার্থী দেয়নি। ফলে নির্বাচনে একদলের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। এসব কারণে সাধারণ মানুষের আগ্রহ নেই বলে জানান তারা।

কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেখা গেছে, এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে মাত্র ৬২ হাজার ৮১টি। শতকরা মাত্র ২৮ দশমিক ১০ ভাগ। ভোটাররা উপস্থিত না হওয়ায় তিনজন চেয়ারম্যানসহ ছয় প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। অন্য তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনটি পদে মোট ১৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

একই অবস্থা অন্য ছয় উপজেলাতেও হবে বলে জানান যশোর সদর উপজেলার ভোটার বামনেতা জিল্লুর রহমান ভিটু। তিনি বলেন, ‘‘ঘরের মধ্যে ভোট হচ্ছে। তাও আবার ওই দলের অনুসারীদের মধ্যে ত্যাগী আদর্শবান নেতা-কর্মীরা বিমুখ হয়ে আছেন। আর সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূলের লাগাম ছাড়া ঘোড়ার কারণে জীবনই চালাতে পারছেন না। ভোট নিয়ে তাদের ভাবার সময় কোথায়? ‘নিজেরা করির’ মধ্যে লড়াই হয় না। মহাজোটের শরিক দলের প্রার্থীরাও অংশ নিলে ভোটার উপস্থিতি হয়তো একটু বাড়ত।’’

ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েমকোলা গ্রামের চা দোকানি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দোকান না খুললে সংসার চলে না। ভোটের ব্যাপারে আমার কোনো আগ্রহ নেই। প্রার্থীরা আসেন-যান। আর তাদের সঙ্গে থাকেন দলের সুবিধাভোগীরা। আমাদের ভোট দিয়েই বা কি, আর না দিয়েই বা কি। আমার সংসার আমাকেই চালাতে হবে।’

বাঘারপাড়া উপজেলার নারকেলবাড়িয়া গ্রামের ভোটার দীপংকর বিশ্বাস বলেন, ‘যিনি জনপ্রতিনিধি হন তিনিসহ তার কিছু সাগরেত লাভবান হন। সাধারণ মানুষ ও সমাজের উন্নয়ন কতটুকু হয়? তাহলে ভোট দিয়ে লাভ কি, আপনিই বলেন। কাজ বাদ দিয়ে ভোট দেওয়ার কোনো আগ্রহ নেই।’

এদিকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা বিএনপি ভোট বর্জনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় সভা করছে। এরই মধ্যে মণিরামপুর এবং কেশবপুরে সাধারণ মানুষের মাঝে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিলি করা হয়েছিল হ্যান্ডবিল। জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও সাধারণ মানুষ ভোটের ময়দানে যাবেন না। পাশাপাশি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যশোরের যেসকল নেতা-কর্মী কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন বয়কটের বিষয়ে দল যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে আমরা মাঠ পর্যায়ে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছি। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে বিএনপি এই নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দেয়নি, এমনকি দলের নেতা-কর্মীরাও নির্বাচনের মাঠে নেই। এক দলের প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে। জনগণ এসব নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নির্বাচনে কোনো আমেজ নেই, নেই কোনো উৎসব।’

ওলামা দলের ১৩৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:১৯ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:১৯ এএম
ওলামা দলের ১৩৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি

আলহাজ্ব মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজাকে আহ্বায়ক এবং অ্যাডভোকেট মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেনকে সদস্য সচিব করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ১৩৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য।  

কমিটির অন্যরা হলেন- সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন (চাঁদপুর), যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, মাও. মো. দেলোয়ার হোসেন (মাদারীপুর)।

কমিটির ১৩২ জন সদস্যরা হলেন-  প্রিন্সিপাল মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার (চাঁদপুর), মাওলান কাজী মো. মশিউর রহমান (জামালপুর), ক্বারী মো. সিরাজুল ইসলাম    (গাজীপুর), মাওলানা ইনামুল হক মাজেদী (রংপুর), হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান শামীম (ময়মনসিংহ), মাওলানা ক্বারী এখলাস উদ্দিন বাবুল (ময়মনসিংহ), মাওলানা কাজী মোস্তফা জামাল খোকন (গাজীপুর), ড. মুহাম্মদ সলিমউল্লাহ (চাঁদপুর), মাওলানা এবিএম রুহুল আমীন (ঢাকা), মাও. শামীম আহমেদ (বরগুনা), মাও. মো. মফিজুর রহমান (ময়মনসিংহ), মাও. আবু বকর চাখারী (বরিশাল), আলহাজ্ব মাওলানা আলমগীর হোসেন খলিলী (চাঁদপুর), মাওলানা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), আলহাজ্ব মাও. রফিকুল ইসলাম আসলামী (ভোলা), ড. খলিলুর রহমান (নীলফামারী), মাও. মো. রফিকুল ইসলাম আরমানী (গাজীপুর), হাফেজ মাও. মো. মিসবাহ উদ্দিন (নেত্রকোনা), মাও. মো. নুরুল হক (সিলেট), হাফেজ মাওলানা মো. জসিম উদ্দিন (চাঁদপুর), মাও. জাবের হোসেন চৌধুরী (চট্টগ্রাম), মাও. মো. রফিকুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ), মাও. শাহদাত হোসেন সবুজ (ভোলা), শরীফ মো. সফিউল্লাহ (ঢাকা), হাফেজ মাও. মো. মামুন  (নারায়ণগঞ্জ) হাফেজ মাও. মো. জাকারিয়া (নারায়ণগঞ্জ), অধ্যাপক খায়রুজ্জামান রঞ্জু (সাতক্ষীরা), প্রিন্সিপাল মাও. মোশাররফ হোসেন (যশোর), মাও. হাবিবুল্লাহ নোমানী (মানিকগঞ্জ), মাও. মো. জিয়াউর রহমান জিয়া (কুমিল্লা), মাও. শাখাওয়াত হোসেন মোমেন (ময়মনসিংহ), মাও. কাজী নাসির উদ্দিন (চাঁদপুর), আলহাজ্ব মাও. হান্নান জিলানী (চট্টগ্রাম), মাও. ক্বারী আশিকুর রহমান রাজু (মানিকগঞ্জ), হাফেজ মাও. মো. মাসুম বিল্লাহ (ফরিদপুর), আব্দুল্লাহ আল্ মামুন সিদ্দিকী (চেয়ারম্যান- টাঙ্গাইল), মাও. মো. তাজউদ্দিন আহমেদ (রাজশাহী),    ইঞ্জি. জামাল হোসেন (রংপুর), হাফেজ মাও. মো. মোখলেছুর রহমান (গাজীপুর), হাফেজ মাও. মো. হাসান (লক্ষীপুর), মাও. মো. সিদ্দিক হুসাইন (গাজীপুর), মাও. মো. এনামুল হক (সিরাজগঞ্জ), হাফেজ মাও. মো. ইব্রাহীম (গাজীপুর), মাও. মো. আব্দুল জব্বার সালেহী শাকিল (পটুয়াখালী), ক্বারী মো. রফিকুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), হাফেজ ক্বারী শহীদ ভূঁইয়া (কুমিল্লা), হাফেজ মাও. মো. নায়েব আলী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), হাফেজ মাও. কুতুব উদ্দীন (মাদারীপুর), কাজী মাও. মোখলেছুর রহমান (লালমনিরহাট), মাও. আল্ আমিন  (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মাও. মো. আবু সাফা (নোয়াখালী), মাও. ফজলে রাব্বী তোহা (বগুড়া), হাফেজ মো. মিজানুর রহমান (ফেনী), মাও. কাজী আব্দুর রহিম (মৌলভীবাজার), হাফেজ ফারুক আল—ফাহাদ (নোয়াখালী), মাও. মো. আইয়ূব আলী (বরগুনা), মাও. আনোয়ার হোসেন (চুয়াডাঙ্গা), মাও. ফজলুল করিম (দিনাজপুর), মাও. মো. আবুল কালাম আজাদ (ঢাকা), মাও. মো. শাহজাহান শিকদার (মুন্সিগঞ্জ), মাও. মো. ইউনুস (নারায়ণগঞ্জ), হাফেজ মাও. মো. খোকন বিশ্বাস (গাজীপুর), হাফেজ মাও. মাসুদ রানা (ঢাকা জেলা), হাফেজ মাও. মো. শহিদুল্লাহ চিশতী (চট্টগ্রাম), মাও. মো. মিম খিজির হায়াত (ঠাকুরগাঁও), মাও. মো. দেলোয়ার হোসেন জিল্লু (ফরিদপুর), মাও. মো. ইশহাক মিয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মাও. মো. আবুল কাশেম (রাঙামাটি), মাও. মো. লুৎফুল্লাহ (বরিশাল),  হাফেজ মো. ফারুক হোসাইন (খুলনা), হাফেজ মাও. মো. জিয়াউল হাসান (খুলনা), হাফেজ মাও. মো. নুরুল হক (বরিশাল), মাও. মাঈনুদ্দিন আহমেদ ফয়েজ (সিলেট), মাও. মো. মোস্তাকিম (বগুড়া), ক্বারী সাইফুল ইসলাম    (ভোলা), হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক (সিরাজগঞ্জ), মাও. মো. ওমর ফারুক (গোপালগঞ্জ), প্রফেসর মাও. মো. আবু নোমান    (কুমিল্লা), মাও. শাহ মো. শরিফ উল্লাহ (বান্দরবান), অ্যাড. মাও. মোতাহার হোসেন সোহেল (লক্ষীপুর), মাও. মো. মোমেন (গাজীপুর), লায়ন ক্বারী মো. কবির হোসেন (হবিগঞ্জ), মাও. মো. জসিম উদ্দিন (চাঁদপুর), মাও. মো. তাজুল ইসলাম খান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মুফতি মাও. রিয়াজুল ইসলাম (ঢাকা), মাও. আহমেদ তানভীর (রাজবাড়ী), অ্যাড. মাও. মো. কামরুদ্দিন (ঢাকা), অ্যাড. মাও. আবু হানিফ (নেত্রকোনা), আলহাজ্ব মাও. মো. ইউসুফ আলী তালুকদার (চাঁদপুর), মাও. মো. মোস্তাফিজুর রহমান (ঢাকা), মাও. মো. জিল্লুর রহমান (সিলেট), হাফেজ মাও. মো. জয়নাল আবেদীন (চট্টগ্রাম), হাফেজ মাও. মো. জামিল হোসেন (ঢাকা), আলহাজ্ব মাও. মো. আব্দুস সাত্তার (চাঁদপুর), মাও. মো. শহিদুল্লাহ  (ঢাকা—ধামরাই), হাফেজ মাও. মো. কাজী মাহমুদুল হাসান (কুমিল্লা), মাও. মো. মিজানুর রহমান (ঢাকা), মাও. মুফ্তি রিয়াজ উদ্দীন (গোপালগঞ্জ), মাও. কাউছার আলম মৃধা (কুমিল্লা), মাও. ক্বারী আমিরুল ইসলাম (ঢাকা), আআলহাজ্ব কাজী মাও. মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী (চট্টগ্রাম), মাও. মো. রাশেদুল হাই, মাও. অ্যাড. নুরুন্নবী চৌধুরী (ঢাকা), হাফেজ আবু বক্কর (ফেনী), মাও. মো. মোমিনুল ইসলাম (ঢাকা), হাফেজ মাও. মো. ইকবাল হোসাইন (কুমিল্লা), মাও. নূর মোহাম্মদ মোল্লা (ময়মনসিংহ), মাও. নাজিম উদ্দিন আল আজহারী (নারায়ণগঞ্জ), পীরজাদা আলহাজ্ব এশফাকুর রহমান (নরসিংদী), মাও. আব্দুল মতিন (পিরোজপুর), মাও. আশরাফ আলী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মাও. মো. মীর হোসে (ঢাকা), হাফেজ মাও. মো. তাওসীফ (ঢাকা), মাও. মো. তাইজুদ্দিন (বরিশাল), মাও. মো. ইলিয়াস আলী (সুনামগঞ্জ), হাফেজ মাও. মো. নুরে আলম (বরিশাল), মাও. ওলিউল্লাহ (ঢাকা), মাও. মো. আব্দুল হান্নান  (ময়মনসিংহ), মাও. মো. আতিকুর রহমান (হবিগঞ্জ), মাও. মো. নোমান আহমেদ (নরসিংদী), মাও. মো. হাবিবুর রহমান এহসানী (নারায়ণগঞ্জ), মাও. গাজী আবু বকর শিবলী (ফেনী), মুফতি এম এম আশরাফুল আলম (ময়মনসিংহ), মোৗলভী খায়রুল ইসলাম অরুন (ঢাকা), হাফেজ মো. আব্দুর রশিদ (ঠাকুরগাঁও), মাও. মো. আকরাম হোসাইন আরজু (মাগুরা), হাফেজ মাও. মো. আব্দুল্লাহ শরীফ (কিশোরগঞ্জ), মাও. মো. জিল্লুর রহমান (সিলেট), মাও. মো. ওয়াহিদুজ্জামান (নোয়াখালী), এইচ এম আলী আহমেদ মুকুল  (ঢাকা), মাও. সাইদুর রহমান (ঝালকাঠি), মাও. মো. রিয়াদুল ইসলাম (ঢাকা)।

শফিক/এমএ/

সরকারের প্রশ্রয়ে দুর্নীতি : বাম জোট

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
সরকারের প্রশ্রয়ে দুর্নীতি : বাম জোট
ছবি : খবরের কাগজ

সরকার দুর্নীতির প্রশ্নে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করলেও সরকারের ‘ছত্রচ্ছায়ায়’ দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ঋণখেলাপির মাত্রা ‘অবিশ্বাস্য হারে বেড়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে পদযাত্রা করে বাম জোট। কিন্তু পুরানা পল্টন মোড়ে পুলিশের বাধায় এগোতে না পেরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বাম নেতারা। 

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন রহমান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা রাশেদ শাহরিয়ার ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।

বাম জোটের নেতারা জানান, দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারী ও তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার-বিচারের দাবিতে এবং ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকার উচ্ছেদের লক্ষ্যে তারা এই সমাবেশে করেছেন।

সমাবেশে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক ডিআইজি সামছুদ্দোহা, এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে নানা মন্তব্য করেন বাম নেতারা। 

বক্তারা বলেন, ‘সরকার দুর্নীতির প্রশ্নে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বললেও বাস্তবে সরকারের প্রশ্রয়েই এরা দুর্নীতি করছে। এর কারণ বর্তমান সরকার গত ৩টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমলা-প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় বসেছে। ফলে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না। এরা একে অপরের সহযোগী।’ 

তারা আরও বলেন, বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ঋণখেলাপির মাত্রা অবিশ্বাস্য হারে বেড়েছে। দুর্নীতির কথা উঠলেই মন্ত্রীরা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশে দুর্নীতি নেই।’ 

দুদক ‘লোক দেখানো’ তদন্ত ও মামলা করছে উল্লেখ করে বাম নেতারা বলেন, দুদক নিজেই খুঁজে দুর্নীতির হোতাদের বের করতে পারছে না। ইতোপূর্বে ইয়াবা বদিসহ বিভিন্ন দুর্নীতিবাজকে দুদক সার্টিফিকেট দিয়ে সাধু বানিয়েছে। এতে করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদকের পদক্ষেপের দুর্বলতা রয়েছে।

দেশের টাকা পাচার প্রসঙ্গে বাম নেতারা আরও বলেন, দেশের ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে গেছে। প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকার ওপরে খেলাপি ঋণ রয়েছে। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো যৌক্তিক পদক্ষেপ না নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাদের সুবিধা দিয়ে আসছে। আগে যেখানে ৩০ পার্সেন্ট ডাউন পেমেন্ট দিয়ে খেলাপি ঋণ রিশিডিউল করার আইন ছিল। গত মেয়াদে সরকার সেটা পরিবর্তন করে ২ পার্সেন্ট দিলেই ঋণ রিশিডিউল করার সুযোগ দিয়েছে। তারপরও খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। সেটা এখন ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। দেশে কালোটাকা অর্থাৎ চুরি, ঘুষ, দুর্নীতির টাকা মোট অর্থনীতির ৮২ শতাংশ। 

এবারের বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দেওয়ার মাধ্যমে কালোটাকা সাদা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর সমালোচনায় বাম নেতারা বলেন, ‘এর মাধ্যমে দুর্নীতিকে জায়েজ ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হচ্ছে।’ 

ভারতকে রেল করিডর করে দেওয়া, তিস্তা চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না করায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন বাম নেতারা। 

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ থেকে একই দাবিতে আগামী ১৬ জুলাই ঢাকাসহ সারা দেশে দুদক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর গুলশানের ফিরোজা বাসভবনে পৌঁছেন তিনি। বাসায় তাকে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। 

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, পেসমেকার বসানোর পর এখন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল। সে কারণে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়। বাসায় সার্বক্ষণিক চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে তার নিয়মিত চিকিৎসা চলবে। 

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে হাসপাতাল ছাড়েন খালেদা জিয়া। এ সময় খালেদা জিয়াকে একনজর দেখতে হাসপাতাল ও গুলশানে বাসভনের সামনে ভিড় করেন নেতা-কর্মীরা। এভারকেয়ার থেকে ফিরোজা পর্যন্ত দলের নেতা-কর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে তাকে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেন। হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু,  যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ  রায় চৌধুরীসহ দলের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী।   

গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরদিন ২৩ জুন তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। এর আগে গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিনজন চিকিৎসক। তবে আবারও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২২ জুন তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।

শফিক/এমএ/

ভারতকে এক ইঞ্চি জমিও ব্যবহার করতে দেব না : ড. রিপন

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
ভারতকে এক ইঞ্চি জমিও ব্যবহার করতে দেব না : ড. রিপন
প্রতিবাদ সভায় কথা বলছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। ছবি : খবরের কাগজ

ভারতকে বাংলাদেশের এক ইঞ্জি জমিও ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। 

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শুধু অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে ভারতকে তোষণ করতে গিয়ে বাংলাদেশকে গোলামির জিঞ্জির পরিয়ে দিয়েছে।’

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’তে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি আয়োজন করে জিয়া শিশু কিশোর মেলা-কেন্দ্রীয় কমিটি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১০টি সমঝোতা ও চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে ড. রিপন বলেন, ‘ওরা (ভারত) যেহেতু বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে জনগণের সরকার নেই। বরং তাদের তাঁবেদার সরকার বসে আছে; তাই তারা রেল করিডোর, সড়ক করিডোর ও নৌ করিডোরের নামে বাংলাদেশকে আষ্টেপৃষ্টে বাধার ষড়যন্ত্র করছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে পারে।’

তিনি আরও বলেন, “খালেদা জিয়াকে শুধু নির্বাচন থেকে দূরে রাখার অসৎ অভিপ্রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দণ্ডিত করেছেন। আওয়ামী সরকারপ্রধান ও তাদের লোকজন প্রায়ই বলেন, ‘বেগম জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’ অথচ আদালতের ফরমায়েশি রায়ে পর্যন্ত কোথাও খালেদা জিয়া টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন কথা লেখা নেই। তারা এই অসত্য বয়ান দিয়েই যাচ্ছেন। যদি দেশে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা থাকত তাহলে শুধু এই বক্তব্যের জন্য তাদের ১০০ বছরের জেল হয়ে যেত।” 

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কে এস হোসেন টমাসের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিনসহ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। 

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
ফাইল ছবি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

জাহিদ হোসেন জানান, এরই মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। বিকেলেই এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নেওয়া হবে।

গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরদিন ২৩ জুন তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। 

এর আগে, গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিনজন চিকিৎসক। তবে আবারও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২২ জুন তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/