![কালো টাকার মালিকদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি বাম গণতান্ত্রিক জোটের](uploads/2024/05/29/bam-jut-1716981646.jpg)
টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত, ঋণ খেলাপি ও কালো টাকার তালিকা ও শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বুধবার (২৯ মে) সকাল ১১টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায়, আজিজ-বেনজীর-আনারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে দুর্বৃত্তায়িত অর্থনীতি ও রাজনীতির চেহারা যতটুকু ফুটে উঠেছে তা ভয়াবহ। বর্তমান সরকারের নীতি ও উপরের মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছাড়া এ ধরনের ঘটনা একেবারেই অসম্ভব।
সভায় এসব ব্যক্তিসহ এ পর্যন্ত যাদের নামে দুর্বৃত্তায়নের অভিযোগ উঠেছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানানো হয়।
সভায়, পাচারের টাকা ও খেলাপি ঋণ উদ্ধারে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এর সঙ্গে জড়িত এবং এসব ঘটনার প্রশ্রয়দাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানানো হয়।
বাম জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদের (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, কমিউনিস্ট লীগের আব্দুস সাত্তার, মোশারফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাসদের (মার্কসবাদী) তসলিমা আক্তার বিউটি উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের জন্য শোক ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তাসহ পুনর্বাসনের দাবিও জানানো হয় সভা থেকে।
সভায় আগামী বাজেটকে সামনে রেখে আইএমএফ’র সিদ্ধান্ত মেনে, লুটেরাদের স্বার্থে জনগণের কাঁধে আরও করের বোঝা চাপানোর যেসব খবর বেরিয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সভায় চলমান কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের অবসান, পাচারের টাকা, খেলাপি ঋণ, কালো টাকা উদ্ধার, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সারাদেশে রেশন ব্যবস্থা চালুসহ মানুষের চিকিৎসা-শিক্ষা-অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের নিশ্চয়তা বিধানের দাবিতে গণআন্দোলন-গণসংগ্রাম গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় প্যালেস্টাইনে গণহত্যা বন্ধ, জাতিসংঘ থেকে ইসরাইলকে বহিষ্কার ও গণহত্যার দায়ে বিচার এবং সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আগামী ১ জুন সারাদেশে যার যার অবস্থান থেকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ ও প্যালেস্টাইনে জনগণের প্রতি সংহতি জানানোর আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া দুঃশাসনের অবসান ও জনমনের সংকট মোচনের দাবিতে আগামী ৮ জুন দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের আহ্বান জানানো হয়।
অমিয়/