ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৩ এএম
নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদদের প্রতি অনুরোধ করছি, আপনাদের রাজনৈতিক মতানৈক্যের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিবেশের জন্য এই সময় সারা দেশে অনুষ্ঠিত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিশু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও লেখাপড়ায় যেন বিঘ্ন না ঘটে। সেদিকে দৃষ্টি রাখার অনুরোধ রইলো।

মখলেস বাহাদুর
নটর ডেম কলেজ, ঢাকা

প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংস্কৃতিকেন্দ্র গড়ে উঠুক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংস্কৃতিকেন্দ্র গড়ে উঠুক

সংস্কৃতির বড়ই অভাব। সংস্কৃতি মানুষের মনের খোরাক। সংস্কৃতি বলতে আমরা বুঝি একটি অঞ্চলের দীর্ঘদিনের আচার, ব্যবহার, রীতিনীতি, চালচলন; যা ওই সমাজ কর্তৃক নির্ধারিত ও পরিচালিত। অর্থাৎ মানুষ যা কিছুই করে তাই সংস্কৃতি। অন্যদিকে অপসংস্কৃতি হলো এমন কিছু যা ওই সমাজের লোকদের চোখে দৃষ্টিকটু ও সমাজের রীতিনীতির পরিপন্থি ও হানিকর এমন কিছু আচার আচরণ। আমাদের সমাজে এই অপসংস্কৃতি দিন দিন বেড়েই চলেছে।  

দেশে সংস্কৃতির অভাবেই যত অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। এমনিতেই বিশ্বায়নের যুগে সারা বিশ্বে জাতীয় সংস্কৃতি টিকে থাকার সংকটের মুখে পড়েছে। বাঙালি সংস্কৃতিও তার স্বকীয়তা টিকিয়ে রাখতে পারছে না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার যে ধারা, তা পুরোপুরি পালটে ফেলে স্কুল-কলেজ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পৃক্ত করে সামগ্রিক সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। 

সাংস্কৃতিক জোট, দল ও  নাট্য ফেডারেশনের মতো সংগঠনগুলোও বছরের পর বছর ধরে রুটিন ওয়ার্কের মতো একই ধারায় একই নাটক পরিবেশন করে যাচ্ছে। এখন মানুষ আর এসব গ্রহণ করছে না। নতুনত্ব আর পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষের মনের মধ্যেও সংস্কৃতি আর কাজ করে না। এটাও সত্যি, অসংখ্য সাংস্কৃতিক সংগঠন থাকলেও তাদের অনুষ্ঠান করার মতো জায়গা নেই। নেই কোনো মঞ্চশালা, পাঠাগার বা ক্লাব। বিনোদনের কোনো জায়গা নেই। ফলে মানুষ নেশার জগতে ঢুকে গেছে। মাদকে আসক্ত হচ্ছে। তরুণ সমাজকে বাঁচাতে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সংস্কৃতিকেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। 

নিপাতন সন্ধি
হাতিরপুল, ঢাকা

রাস্তা দখল করায় যানজটের সৃষ্টি

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
রাস্তা দখল করায় যানজটের সৃষ্টি

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী হলেও রাস্তা খুবই সংকীর্ণ ও সরু। অতিরিক্ত বাস, প্রাইভেট কার, রিকশা ও অন্যান্য যানবাহনের কারণে রাস্তায় চলাচল করাই বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তার পরও কিছু কিছু রাস্তায় দেখা যায় রাস্তা দখল করে ভ্যান, রিকশা দাঁড়িয়ে আছে। প্রশস্ত রাস্তা থাকলেও এক পাশ দিয়ে কিছু গাড়ি চলাচল করছে। নিত্যদিনের এ রকম ঘটনা দেখা যাচ্ছে ঢাকার বাংলামোটর থেকে হাতিরপুল পর্যন্ত প্রধান সড়কে। এই সড়কের দুই পাশে অনেক টাইলসের দোকান গড়ে ওঠায় রাস্তার দুই পাশে অনেক ভ্যান, পিকআপ ও রিকশা দাঁড়িয়ে থাকে। এদের ড্রাইভারও খুঁজে পাওয়া কঠিন। রাস্তা দখল করে এসব যানবাহন প্রতিনিয়ত জায়গা দখল করে রেখেছে।  এই সড়কের রাস্তা দখলের চিত্র সিটি করপোরেশন বা পুলিশ কি দেখে না? দেখেও তারা না দেখার ভান করে। কারণ চারদিকে টাইলস ও অন্য ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে এই সুবিধাগুলো পুলিশ দিয়ে থাকে। এর কি কোনো পরিত্রাণ নেই। এভাবে রাস্তা দখল করে থাকায় যানজটসহ মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এর থেকে জনগণ মুক্তি চায়। তাই সিটি করপোরেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ঢাকার রাস্তা দখল করে থাকা যানবাহনগুলো অপসারণসহ যানজটমুক্ত রাস্তা বজায় রাখুন। 

নিপাতন সন্ধি
হাতিরপুল, ঢাকা

লাগাতার অবহেলায় পরিস্থিতি খারাপ

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৫ এএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৫ এএম
লাগাতার অবহেলায় পরিস্থিতি খারাপ

সম্প্রতি বাংলাদেশের কোনো এক জেলা শহরের জজ কোর্টে গিয়ে বেশ করুণ অভিজ্ঞতা হলো। উকিলবাবুর সঙ্গে বার লাইব্রেরিতে বসে প্রয়োজনীয় কিছু কথা বলা দরকার ছিল, কিন্তু বসার জায়গায় প্রস্রাবের এত ঝাঁঝালো গন্ধ নাকে আসছিল যে, থেকে থেকে গা গুলিয়ে উঠছিল। বার লাইব্রেরিসংলগ্ন উকিলবাবুদের জন্য চিহ্নিত শৌচাগার থেকে গন্ধটি বাতাসে ছড়াচ্ছিল। শুনলাম, শৌচাগারটি কালেভদ্রে পরিষ্কার করা হয়। লাগাতার অবহেলায় পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে। ভাবতে অবাক লাগে, উকিলবাবুরা এ ব্যাপারে এতটা উদাসীন কী করে থাকতে পারেন। তারা কি তাদের প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন? বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহরের এমন বার লাইব্রেরির সভাপতির উচিত বিষয়টির প্রতি নজর দেওয়া। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

গলায় ফাঁস লাগলে দায় নেবে কে?

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:০৯ এএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:০৯ এএম
গলায় ফাঁস লাগলে দায় নেবে কে?

ঘর থেকে বের হলেই রাস্তায় রাস্তায় ডিশ ও ইন্টারনেটের তারের জঞ্জাল। কখন তারের মধ্যে কার গলা ঢুকে পড়ে যে বলা যায় না। হঠাৎ গলা ঢুকে গেলে ফাঁস লেগে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। 

ফাঁস লেগে মানুষ মরলে দায় নেবে কে? সবই তো ডিশ ও ইন্টারনেটের তার। তারের এ জঞ্জাল যারা সৃষ্টি করে রেখেছে আর যাদের দায়িত্ব, তারের জঞ্জাল দূর করার উভয়ই কিন্তু তখন আসামি হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected] 

চারদিকে অবক্ষয় আর অস্থিরতা…

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:০৬ এএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:০৬ এএম
চারদিকে অবক্ষয় আর অস্থিরতা…

চারদিকে অবক্ষয়ের ধ্বনি কানে ভেসে আসছে। অবক্ষয় এবং অস্থিরতা যেন আমাদের অমাবস্যার অশনিসংকেত দিচ্ছে। নদী অবক্ষয় বর্ষার জলে। বেনজীর, মতিউর অবক্ষয় টাকায়। লোভের বিভীষণে আমাদের মননশীলতা অবক্ষয়ের কুরুক্ষেত্র তৈরি করছে। নীতি-নৈতিকতা থেকে আমরা অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে শুধু অবক্ষয় আর অবক্ষয়। মা লোভের অনলে পড়ে হত্যা করছে সাত রাজার ধন নিজের সন্তানকে। বাবা পিটিয়ে হত্যা করছে মাদকাসক্ত ছেলেকে। ছেলে হত্যা করছে মা-বাবাকে। সমাজবিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে কী বলে? 

মানসিক অস্থিরতা নাকি অন্য কিছু। সামাজিকতার বন্ধন, পারিবারিক মায়ামমতা, মায়ের নিবিড় স্নেহের বাঁধন সবকিছুই কি ঘুনে ধরেছে। রাষ্ট্র থেকে শুরু করে পারিবারিক প্রেক্ষাপট কেন যেন ঠুনকো হয়ে গেছে সব। সবার মাঝেই এক অলিখিত অস্থিরতা। কেউ টাকার পাহাড় বানিয়ে অস্থিরতায় ভুগছে। কেউবা রাজনৈতিক মদদে খুনখারাবি করে অস্থির হচ্ছে। দেশের ব্যাংক খাত অস্থির ঋণখেলাপিতে। ক্ষমতাশালী অস্থির ক্ষমতার মোহে। 

বিরোধী দল অস্থির ফিরে আসার জন্য। সব ক্ষেত্রেই অবক্ষয় আর অবক্ষয়। ডাক্তার অস্থির রোগী মেরে। শাহেদ অস্থির ভুয়া চিকিৎসায়। সাবরিনা অস্থির জেল থেকে বেরিয়ে। সাকলায়েন অস্থির পরীর অবক্ষয়ে। নদীর কূল ভাঙছে। দিশেহারা পাড়ের মানুষ। রাস্তার বুভুক্ষু মানুষ কাঁদছে ক্ষুধার যন্ত্রণায়। অসহায় গরিব দুঃখী কাঁদছে এক টুকরো গোশত না পেয়ে। জীবনের বহমানতা যেন এখন শেষ পর্যায়ে এসে পড়েছে। চারদিকে অবক্ষয় আর অস্থিরতা।

তাওহীদ হোসাইন নাঈম
শিক্ষার্থী, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]