ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

কিংসই রাজা

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩০ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৯ পিএম
কিংসই রাজা
ছবি : সংগৃহীত

একদিকে উৎসব, অন্যদিকে বিষাদের ছায়া। কোনো ফুটবল ম্যাচের ফাইনাল শেষে ডাগ আউটে এমন দৃশ্য চিরায়ত। তবে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে গতকাল সোমবার ব্যতিক্রম দৃশ্যেরই দেখা মিলল।

দশজন নিয়েও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের শিরোপা জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। শিরোপা বঞ্চিত হলেও মোহামেডান শিবিরে ছিল না খুব একটা হা-হুতাশ। দলটির প্রধান কোচ আলফাজ আহমেদ যেমন বললেন, ‘বেটার টিম হিসেবে বসুন্ধরা জিতেছে। তবে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব খুবই ভালো ফুটবল খেলেছে।’ গোলকিপার কোচ সাঈদ হাসান কাননের মনেও সন্তুষ্টি,  ‘ওদের দল আসলে অনেক বেটার টিম। দশজন নিয়েও ওরা খুব ভালো খেলেছে। ইন্ডিভিজ্যুয়ালি অনেক ভালো ওরা। ওদের সঙ্গে ২-১ এ হার অনেক ভালো রেজাল্ট বলে আমি মনে করি।’

বাস্তবতা বিচারে আলফাজ-কাননদের কথার সঙ্গে একমত না হওয়ার উপায়ও নেই আসলে। মোহামেডানের তো আর সেই দিন নেই। ঐতিহ্যের ধারক-বাহকরা অনেকদিন ধরেই ঢাকার ফুটবলে আর সেরাটি নেই। গত মৌসুমের শেষে ফেডারেশন কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সমর্থকদের মনে দীর্ঘ খরার পর এক পশলা বৃষ্টির অনুভূতি দিতে পেরেছিল, এই যা। ৯ বছর পর সে যতই শিরোপা ঘরে তুলুক দলটা, তবু নতুন মৌসুমে দলটার স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠে আসাটা একরকম চমকই। কিংসের বিপক্ষেও তাই তাদের ফেভারিট দাবি করার উপায় ছিল না। স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের এটি টানা দ্বিতীয় ও সবমিলিয়ে তৃতীয় শিরোপা। যা মোহামেডানের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।

তবে এটাও ঠিক, মোহামেডানের মতো কোনো দল ফাইনালে উঠে গেল তাদের হিসেবের বাইরে রাখার উপায় থাকে না। গতকালের ফাইনালে দলটা এ কথাটারই সত্যতার প্রমাণ দিয়েছে আরেকবার। কিংসকে রীতিমতো কাঁপিয়েই দিয়েছিল দলটা। তবে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরাও সেই চাপ সামলে নিজেদের মানের প্রমাণ দিয়েছে। দলটির আক্রমণভাগের তিন প্রধান সেনানী রবসন রবিনিয়ো, মিগেল দামাসেনো ও দোরিয়েলতন গোমেজ ছিলেন উজ্জ্বল। তাদের পারফরম্যান্সই আসলে দিন শেষে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে ম্যাচের। অন্যদিকে একেবারেই বিবর্ণ ছিলেন মোহামেডানের মালির ফরোয়ার্ড সোলেমান দিয়াবাতে। এ ধরনের বড় ম্যাচে যিনিই সাদাকালোদের বড় ভরসার জায়গা। এছাড়া মোজাফ্ফরভও নিজের ঝলক দেখাতে পারেননি। কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে যার নৈপুণ্যেই মূলত ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল মোহামেডান।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে এগিয়ে ছিল কিংস। ১৪তম মিনিটে বক্সের অনেক বাইরে থেকে দূরপাল্টার বুলেট গতির এক শট নিয়েছিলেন রবসন। মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেন অবশ্য সেটা রুখে দেন। ২১তম মিনিটে ইমানুয়েল সানডের ব্যাক পাস থেকে বক্সের বাইরে থেকে মোজাফফরভ বেশ জোরের সঙ্গে শট নেন। তবে দূরের পোস্টে রাখতে পারেননি, শট লক্ষ্যভ্রষ্ট।  প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় কিংস। আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রফিকুলকে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়। বলের নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে মোহামেডানের ওমর ফারুক বাবুর বুক অবধি বুট তুলে চার্জ করে লাল কার্ড দেখেন তিনি।

কিংসের ওই ধাক্কার মাঝেই এগিয়ে যায় মোহামেডান। ম্যাচের বয়স তখন ৫১ মিনিট। মোজাফফরভের কর্নার কিক থেকে হেডে গোলটা করেন ইমানুয়েল সানডে। পুরো ম্যাচে যিনি একাধিকবার নজর কেড়েছেন।

তবে কিংস ম্যাচে ফিরতে সময় নেয়নি। এক মিনিটের মধ্যে রাকিব বক্সের ভেতর বা পায়ের শটে দারুণ এক গোল করে ম্যাচে সমতা এনে দেন। গোলটায় কৃতিত্ব পাবেন রবসন ও মিগেল। এই দুই ব্রাজিলিয়ানের দারুণ বোঝাপড়া থেকে মোহামেডানের রক্ষণ কাঁপিয়ে দেয় কিংস। তবে রবসনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ফিরতি বলটা নিজের তৎপরতার কারণেই পেয়ে যান রাকিব। সেই কৃতিত্ব তাই তাকে দিতেই হবে। দশজনের দলে পরিণত হওয়ার পর গোল হজম করাটা কিংসের জন্য ছিল বড় ধাক্কা। সেখান থেকে এই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই ফেলতে পারত দলটি। কিন্তু রাকিবের গোলটাই সেটা হতে দেয়নি।

৮৬তম মিনিটে দোরিয়েলতন গোমেজ গোল আদায় করলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় কিংস। বক্সের ভেতর মিগেলের বাড়ানো বল থেকে গোলটা করেন তিনি। অর্থাৎ কিংসের দুই গোল তিন ব্রাজিলিয়ান- রবসন, মিগেল ও দোরিয়েলতনের সরাসরি অবদান।

ফাইনালের সেরা হয়েছেন দোরিয়েলতন। শেখ জামালের হিগোর লেইতো ও আবাহনীর জোনাথন ফার্নান্দেজের সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছেন। টুর্নামেন্টসেরা হয়েছেন রাকিব হোসেন। ম্যাচ শেষে যিনি বলেন, ‘প্রথম থেকেই ম্যাচ জয়ের বিষয়ে আশাবাদী ছিলাম। একজন কমে গেলেও মনে হয়নি যে আমরা দশজন।’

হারের কারণ হিসেবে মোহামেডান কোচ আলফাজের ব্যাখ্যা, ‘খেলোয়াড়রা এক গোল দেওয়ার পরই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিল। অর্গানাইজ হতে পারেনি। যার কারণে গোলটা হয়েছে। খেলাটা অতিরিক্ত সময়ে গেলে অন্য পরিকল্পনা নিতাম। কিন্তু এমন সময়ে গোল হয়েছে, নতুন পরিকল্পনা আর কাজে লাগানো যায়নি।’

দেশে ফিরেছেন রোহিত শর্মারা, অপেক্ষা উৎসবের

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:২৬ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:২৬ পিএম
দেশে ফিরেছেন রোহিত শর্মারা, অপেক্ষা উৎসবের
ছবি- সংগ্রহীত

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বৈরি আবহাওয়ার কারণে বার্বাডোজে আটকা পড়েছিল ভারতীয় দল। পরিবেশ ঠান্ডা হলে বিশেষ এক ফ্লাইটে ১৬ ঘণ্টার বিমান যাত্রার পর নিজ দেশে ফিরেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছায় তারা।

সকালে নয়াদিল্লিতে পৌঁছানো ভারতীয় দল আপাতত অবস্থান করছে সেখানকার আইটিসি হোটেলে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাদের। সেখানে মুম্বাইয়ে যাবে ভারতীয় দল। সেখানে হবে রোড শো।

ভারতীয় দলের দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে সকাল দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করে সমর্থকরা। সবাই ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয় পুরো দলকে।

দিল্লির আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুম্বাইয়ে ভারতীয় দল। সেখানে মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভে ছাদখোলা বাসে হবে শিরোপা উৎসবের রোড শো। এর আগে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর মুম্বাইয়ে হয়েছিল রোড শো।

বিসিবিতে বাড়ল দেশি কোচ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:১১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:১১ পিএম
বিসিবিতে বাড়ল দেশি কোচ
ছবি- সংগ্রহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনে দেশি কোচের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিসিবিতে চুক্তিবদ্ধ কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক তিন ক্রিকেটার রাজিন সালেহ, তুষার ইমরান ও তারেক আজিজ। রাজিন সালেহ ও তুষার ইমরান নিয়োগ পেয়েছেন ব্যাটিং কোচ হিসেবে। তারেক আজিজকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বোলিং কোচ হিসেবে।

রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে হচ্ছে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ক্যাম্প। ইতোমধ্যে সেখানে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রাজিন। পাশাপাশি আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে দলের সঙ্গে থাকবেন তিনি। তিন মাসের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ব্যাটিং কোচ তুষার ইমরান ও বোলিং কোচ তারেক আজিজকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিন বছরের জন্য। তারেক আজিজ বাংলাদেশ টাইগার্সের সঙ্গে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কাজ শুরু করেছেন।

এছাড়া সাবেক ক্রিকেটার নাদিফ চৌধুরীকে বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ঘুমকাণ্ডের ব্যাখ্যা দিলেন তাসকিন

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
ঘুমকাণ্ডের ব্যাখ্যা দিলেন তাসকিন
তাসকিন আহমেদ

ভারত ম্যাচের আগে তাসকিন আহমেদের ঘুমকাণ্ড নিয়ে হচ্ছে তুমুল সমালোচনা। সেই সমালোচনার মধ্যে এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খুলেছেন তাসকিন। দিয়েছেন নিজের ব্যাখ্যা।

বুধবার (৩ জুলাই) তাসকিনের দেওয়া সেই পোস্ট খবরের কাগজের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছি যে সম্প্রতি শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের একটি ঘটনা নিয়ে অনেক হৈচৈ করা হচ্ছে।

প্রথমত, আমি সবাইকে জানাতে চাই যে বেশিরভাগ সংবাদ অ তথ্য যা ছড়ানো হচ্ছে তা কেবল গুজব এবং আমি আশা করি ভক্তরা এটি সেইভাবে দেখবেন।

দ্বিতীয়ত, আমি ঘটনাটি সেদিন আসলে কী ঘটেছিল তা পরিষ্কার করতে চাই। আমি স্বীকার করি যে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে পরে উঠেছি এবং এজন্য ইতোমধ্যে পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।

আমি সকাল ৮:৩৭-এ উঠেছিলাম ও ৮:৪৩-এ লবিতে গিয়েছিলাম এবং আমার রাইড প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি সকাল ৯:০০-এ হোটেল ছেড়েছি। আমি সকাল ৯:৪০-এ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি, ম্যাচ টসের ২০ মিনিট আগে সকাল ১০:০০-এ। আমরা সকাল ১০:১৫-এ জাতীয় সংগীত গেয়েছিলাম এবং ম্যাচটি সকাল ১০:৩০-এ শুরু হয়েছিল।

এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই তথাকথিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার/মুদ্রণ করছে এবং যাচাই না করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে যা জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় হিসাবে।

যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন আমি আমাদের দেশকে কতটা ভালোবাসি এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কতটা নিবেদিত, উৎসাহী এবং গর্বিত। আমি জানি আমি সময়মতো টিমের বাসে না ওঠার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি, কিন্তু আমি টসের আগেই স্টেডিয়ামে ছিলাম। আমার চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত না হওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিল। যা সঠিক টিম কম্বিনেশন পাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এটি আমার টিম বাসে না ওঠার ব্যর্থতার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না। তাই, আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না।

এটি কেবল আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষতি করে না বরং আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্রকে ক্ষুণ্ন করে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই সৎ এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আশা করি যাতে জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি।

ভবিষ্যতে, আমি আইনিভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেব যাতে কেউ ক্রীড়াবিদ বা মানুষ হিসেবে আমার সুনাম বা অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা না করে। আমার ভক্তদের ধন্যবাদ তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য।’

পার্থ/সালমান/

মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি
ছবি- সংগ্রহীত

সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং পরামর্শকের দায়িত্বে ছিলেন মুশতাক আহমেদ। স্বল্প সময়ে তার হাত ধরে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এবার তার চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে যাচ্ছে বিসিবি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

আজ দুপুর তিনটায় বিসিবির বোর্ড সভায় মুশতাক আহমেদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স, পূর্বাচল শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে।

বিশ্বকাপসহ দুই মাস বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে কাজ করেছেন মুশতাক আহমেদ। তার অধীনে নিজেকে আরও বেশি শানিয়ে তুলেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার কাজে খুশি হয়ে আপাতত চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী বিসিবি।

বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স
ছবি: সংগৃহীত

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের অবস্থান পাশাপাশি। তবে মাঠের খেলায় সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার দেখা মেলেনি। অবশ্য সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে বেলজিয়ামের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল ফরাসিরা। তার প্রমাণ পুরো ম্যাচজুড়ে আধিপত্য কিলিয়ান এমবাপ্পে-অ্যান্তেনিও গ্রিজম্যানদের। মাঠের প্রভাব অবশ্য বোঝা যায়নি ফল দেখে। কারণ, গোল পেতে ফরাসিদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। নিজেদের জালে বল জড়িয়ে ফ্রান্সের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করে দেন জ্যান ভার্টোনেন।

ডুসেলডর্ফে ম্যাচের শুরু থেকে বেলজিয়ামের ওপর ছড়ি ঘোরায় ফরাসিরা। একের পর এক আক্রমণ করেও বলার মতো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ফরাসি স্ট্রাইকারদের একের পর এক ব্যর্থতায় মনে হচ্ছিল খেলা হয়তো গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে ডেডলক ভাঙেন কোলো মুয়ানি। বেলজিয়ামের জাল উদ্দেশ করে নেওয়া তার শট ভার্টোনেনের পায়ে লেগে জড়ায় জালে। তাতে ফরাসিদের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়।