![তীরে এসে ডুবল বাংলাদেশের তরি](uploads/2024/03/04/1709568131.Jaker_Ali.jpg)
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার ৮টিতেই পরে ব্যাট করা দল জিতেছে। যেখানে সর্বোচ্চ ১৮৯ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে নেদারল্যান্ডসের। ২০১৪ সালে আয়ারল্যান্ডের করা ৪ উইকেটে ১৮৯ রান তারা তাড়া করেছিল মাত্র ১৩.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে। এবার এই মাঠে বাংলাদেশের সামনে নতুন রেকর্ড করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তারা ৩ উইকেটে করে ২০৬ রান। যা এই মাঠে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ রান শ্রীলঙ্কারই ৪ উইকেটে ২১০। এই রান তারা করেছিল বাংলাদেশেরই বিপক্ষে ২০১৮ সালে। সেবার এই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল মাত্র ১৩৫ রানে।
সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামের পরিসংখ্যান বাংলাদেশের পক্ষে কথা না বললেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড অবশ্য বাংলাদেশের পক্ষেই। শ্রীলঙ্কার এর চেয়ে বেশি ২১৫ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। ২০১৫ সালে নিদাহাস ট্রফিতে এই কীর্তি গড়েছিল বাংলাদেশ।
সোমবার (৪ মার্চ) সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে রান তাড়ার নতুন রেকর্ড গড়ার পালা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু পারেনি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে হেরেছে ৩ রানে। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৫ রানের। কিন্তু শানাকার বলে তাসকিনের পক্ষে আর ছক্কা হাঁকানো সম্ভব হয়নি। ১ রান নিলে বাংলাদেশ থামে ৮ উইকেটে ২০৩ রানে। বৃথা যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৩১ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৫৪ রানের পর জাকের আলীর দৃষ্টিনন্দন ৩৪ বলে ৬ ছক্কা ও ৪ চারে মারমুখী ৬৮ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা যে এত বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করাবে তা কিন্তু তাদের সূচনায় ছিল না। দ্বিতীয় বলে উইকেট হারানোর পর সেই চাপ বেশ ভালোভাবেই পড়েছিল লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ের ওপর। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে রান আসে ২ উইকেটে ৪৫। ১০ ওভার শেষে রান ছিল ২ উইকেটে ৭৯। সেখানে পরের ১০ ওভারে রান আসে ১২। শেষ ৫ ওভারে ৭০। শেষ ২ ওভারে ৩৫। মোস্তাফিজের করা শেষ ওভারে ২৪।
শুরুতে বাংলাদেশের বোলাররা যে রকম আঁটসাঁট বোলিং করতে পেরেছিলেন, পরে তারা আর তা ধরে রাখতে পারেননি। এলোমেলো বোলিংয়ের পুরো ফায়দা তুলে নেন লঙ্কান ব্যাটাররা। বাংলাদেশের বোলারদের এলোমেলো করার কাজটি করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা ৪৮ বলে অপরাজিত ৬১, কুশল মেন্ডিস ৩৬ বলে ৫৯ ও অধিনায়ক চারিথ আশালাঙ্কা ২১ বলে ৬ ছক্কায় অপরাজিত ৪৪ রান করে। তিনি ও সাদিরা পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ৫.২ ওভারে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৭৩ রান যোগ করেন। শরিফুল ৪ ওভারে ৪৭ রানে, রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ৩২ রানে ও তাসকিন ৪ ওভারে ৪০ রানে নেন ১টি করে উইকেট। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন।
পলাশ/সালমান/