![জাকের আলীকে বোনের প্রশ্ন](uploads/2024/03/05/1709614294.Jaker-Ali-Anik.jpg)
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে সিলেটবাসীর মাঝে আগ্রহ কম থাকলেও জাকের আলীর পরিবারের ছিল অন্য রকম উৎসাহ-উদ্দীপনা। কারণ তিনি যে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। যদিও এশিয়ান গেমসে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি জাতীয় দলের জার্সি পরে খেলেছিলেন। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশের মূল জাতীয় দল ছিল না। তাই তার খেলা দেখার জন্য যেন তাদের অপেক্ষার প্রহর কাটছিল না।
জাকের আলীর খেলা দেখার জন্য তার বড় বোন শাকিলা ববি, তার ছোট্ট মেয়ে সাইয়ারা হোসেন মেহেক, ভগ্নিপতি মামুন হোসেন মাঠে এসেছিলেন। জাকের আলীর বাড়ি হবিগঞ্জ শহরে হওয়াতে পরিবারের আর কোনো সদস্য মাঠে আসতে পারেননি। তা ছাড়া মাসখানেক আগে তিনি পুত্রসন্তানের পিতা হয়েছেন। যে কারণে তার মা ও স্ত্রী তার শ্বশুরবাড়ি দিনাজপুরে অবস্থান করছেন। মাঠে এসে তারা খেলা দেখতে পারেননি বলে তাদের আফসোসের শেষ নেই বলে জানান শাকিলা ববি। এ দিক দিয়ে তিনি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছেন। খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই ভাগবতী যে, আমার ছোট ভাইয়ের খেলা মাঠে এসে দেখতে পারছি। আমি সিলেট থাকাতে এই সুযোগ হয়েছে। আজ যদি সে ঢাকায় খেলত, তাহলে আমার সে সুযোগ হতো না। পরিবারের সদস্যরা মাঠে আসতে না পারলেও তারা সবাই উদগ্রীব হয়ে টিভিতে বসে খেলা দেখছেন।’ শাকিলা ববি বলেন, ‘এই দিনটির জন্যই আমি অপেক্ষা করছিলাম। আমি নিজে তার হাত ধরে ছোট বেলা মাঠে নিয়ে গিয়েছি অনুশীলনের জন্য। অবশেষ সেই দিনটি আজ (গতকাল) এসেছে। আমাদের পরিবারের জন্য আনন্দের দিন।’
এই আনন্দের দিনে আরও পূর্ণতা পেত যদি জাকের আলীর ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ জিততে পারতে। তার পরও তার ৩৪ বলে ৬ ছক্কা ও ৪ চারে ৬৮ রান পরিবারের সদস্যদের অন্যরকম আনন্দ দিয়েছে। জাকেরের বোন শাকিলা ববি খবরের কাগজের সিলেট প্রতিনিধি হওয়াতে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা জাকের আলীকে প্রশ্নও করেন।
জাকেরও তার জবাব দেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে শাকিলকে নিয়ে মিডিয়াতে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়। তার ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শাকিলা জানান, তাদের পুরো পরিবারই খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত।