বীরেরা ফেরেন বীরের মতোই। যেমনটি ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এক ঢিলে দুই পাখি মারার প্রচলিত প্রবাদ আছে। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত এক ঢিলে মেরেছেন চার পাখি। ছক্কা মেরে জয়সূচক রান, যে ছক্কায় তিনি আবার মেরেছেন বিপিএলের ১২ ম্যাচ এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪ ম্যাচ পর। হাফ সেঞ্চুরি ছিল ১১ ম্যাচ পর। জয়টি পেয়েছেন অধিনায়কের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচেই। আবার হয়েছেন ম্যাচসেরা।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকার কারণে বিসিবি তাকে তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কের গুরুদায়িত্ব দেয়। কিন্তু যখন তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়, তার কিছু দিন আগে থেকে শুরু হয়েছে তার রানখরা। যে বিপিএলের নবম আসরে তিনি রানের ফুলজুরি ছিটিয়ে আসরের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন, সেই বিপিএলের দশম আসরে তিনি রানখরায় পড়ে যান। এমনই রানখরা যে বড় ইনিংস খেলতেই পারেননি। এমনকি নামের পাশে ছিল না কোনো হাফ সেঞ্চুরিও। ১২ ম্যাচে রান করেছিলেন মাত্র ১৭৫। সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৯। এ দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি সর্বশেষ হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২৩ সালের ৯ মার্চ চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে (৫১)। পরের ১০ ম্যাচের একটি পরিত্যক্ত হয়েছিল। দুটিতে তিনি হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে অপরাজিত ছিলেন ৪৬ ও ৪৭ রানে। এই দুটি ইনিংস ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, হাফ সেঞ্চুরি করার পর একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। কিন্তু তাকে বেশি পুড়িয়েছে আর সবাইকে হতাশ করেছে বিপিএলের ব্যর্থতা। সেই শান্ত ফিরেছেন রাজসিকভাবে। এমন ইনিংস খেলতে পেরে ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ম্যাচ জিতে ভালো লাগছে। আমরা দুটি ম্যাচেই ভালো ক্রিকেট খেলেছি। দুর্ভাগ্য ছিল শেষ ম্যাচটি জিততে পারিনি। কিন্তু দুটি ম্যাচেই টিম হিসেবে খেলতে পেরে খুবই খুশি। হ্যাঁ, বিপিএলটা ভালো যায়নি। ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছি। চেষ্টা করছি যে ঘাটতি ছিল সেটা নিয়ে কাজ করার। আজকে আলহামদুল্লিলাহ একটু ভালো হয়েছে। চেষ্টা করব সামনে আরও অব্যাহত করার।’
১১ ম্যাচ পর নিজের হাফ সেঞ্চুরি করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘পঞ্চাশ করাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, দলের জন্য যতটা প্রয়োজন ততটা করতে পেরে খুশি। ভালো লেগেছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে খেলাটা শেষ করে আসতে পেরেছি। চেষ্টা করব সামনে এটি অব্যহাত রাখার।’
সর্বশেষ ছক্কা মারার বিষয়টি মনে করিয়ে দিলে শান্ত জানান তার এটি মনে নেই। সৌম্য সরকারের রিভিউ নিয়ে সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি শান্ত। বিষয়টি টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।
