ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

‘চিত্রাঙ্গদা’ পরিবেশনায় শেষ হলো রবীন্দ্রজয়ন্তী

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
আপডেট: ১০ মে ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
‘চিত্রাঙ্গদা’ পরিবেশনায় শেষ হলো রবীন্দ্রজয়ন্তী
ছবি : সংগৃহীত

বাংলার খেটে খাওয়া মানুষ, বাউল দর্শন ও অধ্যাত্মবাদে ঋদ্ধ হয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশেই কবি যেন খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেকে। রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভাবনায় ছাপ ফেলেছিল পূর্ববঙ্গ। কবিগুরুর দর্শন, মানবতাবোধ আলোকিত করেছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলনে, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথে বারবার আশ্রয় খুঁজেছেন বঙ্গবন্ধু।

শুক্রবার (১০ মে) রবীন্দ্রজয়ন্তীর রাষ্ট্রীয় আয়োজনের শেষ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননাপ্রাপ্ত বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। গত বুধবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় তিন দিনের যে আয়োজন শুরু হয়েছিল, গতকাল সে আয়োজনের পর্দা নামে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা: রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিপাদ্যে আলোচনায় স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্‌ আজম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। সমাপনী সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় সমবেত সংগীত ‘সখা মোদের বেঁধে রাখো প্রেমডোরে’ এবং ‘আমি মারের সাগর পাড়ি দেব’ পরিবেশন করে সুরের ধারা। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশন করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’।

এদিকে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে চলছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব। ‘বিমল আনন্দে জাগো’ এই স্লোগানে আয়োজিত হয়েছে এ উৎসব। গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে সম্মাননা দেওয়া হয় বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ইফফাত আরা দেওয়ানকে। দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে তিনি নিজেও সংগীত পরিবেশন করেন। এ ছাড়া সালমা আকবর, শ্যামলী রায়, সুস্মিতা বর্ণা, মামুন জাহিদ খান, কংকন চৌধুরী, কান্তা দে, মুস্তাফিজুর রহমান তূর্য, ইন্দ্রানী কর্মকার, সত্যম দেবনাথ, ফারজানা তাবাসসুম টু্‌ম্পা, ঝুমা মিত্রসহ ২৬ জন শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন। সংস্থার সভাপতি সাজেদ আকবর জানান, মে মাসে দেশজুড়ে রবীন্দ্রসংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন তারা। আজ শনিবারের সমাপনী আয়োজনে তাদের ‘কলিম শরাফী স্মৃতি পুরস্কার-১৪৩১’ প্রদান করা হবে।

জয়ন্ত/এমএ

আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক
আনোয়ারা সৈয়দ হক

শিশু অধিকারবিষয়ক প্রতিষ্ঠান আনন ফাউন্ডেশন প্রবর্তিত ‘আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার-২০২৪’ পেতে যাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

আগামী ৬ সেপ্টেম্বর আনন ফাউন্ডেশনের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে আনোয়ারা সৈয়দ হকের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। 

আনন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, পুরস্কারের মূল্যমান হিসাবে আনোয়ারা সৈয়দ হক নগদ ১ লাখ টাকা, একটি ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র পাবেন। ‘শিশুর বিকাশে অবিচল আমরা’ এই স্লোগানটিকে সামনে রেখে আনন ফাউন্ডেশন ২০১২ সাল থেকে শিশুর বিকাশে ভূমিকা রেখে চলেছে।

গল্প, উপন্যাস ও ভ্রমণ কাহিনির পাশাপাশি আনোয়ারা সৈয়দ হক শিশুদের জন্যও নিয়মিত লিখছেন। তার শিশুসাহিত্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো ছানার নানাবাড়ি, বাবার সাথে ছানা, ছানা এবং মুক্তিযুদ্ধ, পথের মানুষ ছানা, একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা দাদাভাই, মন্টির বাবা, বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত কিশোর গল্প, শ্রেষ্ঠ কিশোর গল্প, কিশোর উপন্যাসসমগ্র (৪ খণ্ড), নির্বাচিত কিশোর গল্প প্রভৃতি।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য তিনি ২০১৯ সালে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০০৬ সালে কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ইউরো শিশুসাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

‘ঐতিহ্য আত্মস্থ করে কাব্যে নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন অসীম সাহা’

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
‘ঐতিহ্য আত্মস্থ করে কাব্যে নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন অসীম সাহা’
অসীম সাহা

বাংলা কবিতার ধ্রুপদী ঐতিহ্যকে আত্মস্থ করে কবিতায় নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন কবি অসীম সাহা। ব্যক্তি মানুষের আর্তি থেকে সমষ্টি মানুষের আর্তনাদ, শোষণমুক্ত জগৎ গড়ার অঙ্গীকার ভাস্বর হয়েছে তার কবিতার ছত্রে ছত্রে। 

প্রয়াত কবি অসীম সাহা স্মরণে বাংলা একাডেমির স্মরণ সভায় কবি অসীম সাহার সহযাত্রী কবিরা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। বিষণ্নচিত্তে তারা স্মরণ করেন অসীম সাহার কাব্যজীবনের নানা অধ্যায়। ব্যক্তিমানুষকে ছাপিয়ে অসীম সাহা কীভাবে কবি হিসেবে খ্যাতির চূড়ায় আরোহণ করেছিলেন, সেই গল্পও শোনান তাদের কেউ কেউ। 

সোমবার (১ জুলাই) একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে স্মরণসভার শুরুতে অসীম সাহা স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

আয়োজনের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘অসীম সাহা ছিলেন খাপ না খাওয়া মানুষ। তিনি নিজ বিশ্বাস ও অনুভবের কথা কবিতায় তো বটেই, ব্যক্তিগত উচ্চারণ ও আচরণেও সরাসরি প্রকাশ করতেন। এ ছিল তার সারল্য ও দৃঢ়তারই লক্ষণ। তিনি বাংলা কবিতার ধ্রুপদী ঐতিহ্যকে আত্মস্থ করে কবিতায় নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন। স্বচ্ছন্দ বিচরণ করেছেন সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে।’

সভাপতির বক্তব্যে শিল্পী হাশেম খান বলেন, ‘কবি অসীম সাহা ছিলেন বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময় ব্যক্তিত্ব। তিনি কবিতায় যেমন আমাদের মুগ্ধ করেছেন, তেমনি তার অনন্য জীবনসাধনায়ও সবাইকে আকৃষ্ট করেছেন। তার সৃষ্টিকে পাঠকের কাছে তুলে ধরতে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’ 

সূচনা বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি দিলারা হাফিজ, কবি ফারুক মাহমুদ, কবি আসাদ মান্নান, কবি ইউসুফ রেজা, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, প্রকাশক খান মাহবুব, কবি পিয়াস মজিদ প্রমুখ। অসীম সাহার কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী ও মাসুম আজিজুল বাশার। 

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন উদযাপিত

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:৫৩ এএম
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন উদযাপিত
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

নিতান্ত সাদামাটা আয়োজনে উদযাপিত হলো দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, লেখক, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন।

রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বাসায় তাকে শ্রদ্ধা-শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন তার ছাত্র, অনুরাগী এবং বামধারার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। 

তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হন  অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তার ব্যক্তিগত সহকারী মযহারুল ইসলাম বাবলা জানান, রবিবার (গতকাল) বিকেলে বাম নেতারা ধানমন্ডির বাসভবনে আসেন। স্যারের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন তারা। দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক হালহকিকত নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে বাম নেতাদের সঙ্গে।

রবিবার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানাতে যান সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এ ছাড়া বাসদ ও বাসদ-মার্কসবাদীর বেশ কজন নেতাও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

বাবলা জানান, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ২৯ জুন শনিবার বিকেল চারটায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শুভেচ্ছা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে তিনি ‘ফিরে দেখা’ নামে একটি আত্মজৈবনিক বক্তব্য দেবেন। 

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্ম মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরের বাড়ৈখালিতে। শৈশব কেটেছে রাজশাহীতে ও কলকাতায় বাবার চাকরি সূত্রে। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল, নটর ডেম কলেজ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করেন তিনি। যুক্তরাজ্যের লিডস ও লেস্টার ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে উচ্চতর গবেষণাও করেছেন। 

পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ১৯৫৭ সালে। শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালেখিতে সমান সক্রিয় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। প্রবন্ধ, অনুবাদ, কলাম ও কথাসাহিত্য মিলিয়ে তার রচিত বই প্রায় ১১০টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় তিনি ‘মাসিক পরিক্রমা’ (১৯৬০-৬২), ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা’ (১৯৭২), ‘ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্র’ (১৯৮৪) সম্পাদনা করেছেন। ‘নতুন দিগন্ত’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনা করছেন এখনো। ১৯৯৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সাহিত্যকর্মে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বাংলা একাডেমি স্বর্ণপদক’, ‘বিচারপতি ইব্রাহিম পুরস্কার’, ‘অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার’, ‘বেগম জেবুন্নেসা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ ফাউন্ডেশন পুরস্কার’সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা তিনি পেয়েছেন।

আবৃত্তিশিল্পী মাসুদুজ্জামানের সাতরঙ্গ দুপুরের কাব্য

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৪, ০১:১০ এএম
আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪, ০১:১০ এএম
আবৃত্তিশিল্পী মাসুদুজ্জামানের সাতরঙ্গ দুপুরের কাব্য
ছবি: সংগৃহীত

আবৃত্তিশিল্পী মাসুদুজ্জামানের একক আবৃত্তি পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডের নাটক সরণির বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তন ছিল দর্শক-শ্রোতায় পরিপূর্ণ। 

মাসুদুজ্জামান একে একে ২৭টি কবিতা আবৃত্তি করলেন দর্শকপূর্ণ মিলনায়তনে। মঞ্চসজ্জা, আলোক সম্পাত, শব্দ প্রক্ষেপণ ও আবহ সংগীত এ কবিতাসন্ধ্যাকে প্রাণময় করে তোলে। একেকটি কবিতা মাসুদুজ্জামানের আবৃত্তির মধ্য দিয়ে দর্শক-শ্রোতার মনকে উদ্বেলিত করেছে। দিয়েছে মুগ্ধতার পরশ। 

আবৃত্তিকার মাসুদুজ্জামান স্রোত আবৃত্তি সংসদের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য। দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে তিনি আবৃত্তিচর্চায় যুক্ত আছেন এই সংগঠনে।

সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরসহ দেশের গুণী আবৃত্তিশিল্পী ও সাংস্কৃতিকজনরা এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মোংলায় রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
আপডেট: ২১ জুন ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
মোংলায় রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ছবি: খবরের কাগজ

মোংলায় নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৩৩তম মৃত্যবার্ষিকী।

এ উপলক্ষে শুক্রবার (২১ জুন) সকালে রুদ্র স্মৃতি সংসদের আয়োজনে একটি শোক র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি কবির গ্রামের বাড়ি উপজেলার মিঠাখালী বাজার প্রদক্ষিণ করে তার কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে কবির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এ সময় কবির কবরের পাশে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনসহ দোয়া করা হয়। এ ছাড়া মসজিদে কোরআন খতম ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যায় মোংলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও রুদ্রের গড়া সংগঠন অন্তর বাজাও-এর শিল্পীরা রুদ্রের গানের আয়োজন করেছে।

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর স্মরণসভায় রুদ্র স্মৃতি সংসদের রুদ্রের অনুজ সুমেল সারাফাতের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল, মোংলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মোংলা শাখার সভাপতি নূর আলম শেখ, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

স্মরণসভা শেষে রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশিত হয়।

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস মোংলার সাহেবের মেঠ গ্রামে। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি। এ বছর তিনি একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত হন। শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি-স্বীকৃতি।

মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুর দিয়েছেন। 

পরবর্তী সময়ে এ গানটির জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি তাকে ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা দেন। 

‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দুইবার ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার’ পান। 

রিফাত আল মাহামুদ/সাদিয়া নাহার/