![ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, চবি অধ্যাপকের একাডেমিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা](uploads/2024/02/01/1706801533.CU.jpg)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনেছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তরের থিসিস করছেন। ঘটনার প্রতিবাদে এরই মধ্যে বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিচার চেয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। বিষয়টি পর্যালোচনায় নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষণচেষ্টার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কার ও বিচার দাবি করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বোনকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে আমরা আজ আন্দোলনে নেমেছি। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কার চাই, যাতে এমন নিকৃষ্ট কাজ ভবিষ্যতে না ঘটে। আমাদের বিভাগের শিক্ষকরা আমাদের অবস্থানে সংহতি জানিয়েছেন। আমরা এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আছি। সুষ্ঠু বিচার না পেলে আরও কঠোর অবস্থানে যাব।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সজীব ঘোষ বলেন, ‘এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন সেলে তোলা হবে। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন আর কারও সঙ্গে না ঘটে সেই বিষয়ে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তোমাদের আন্দোলনের বার্তা নিয়ে আমরা প্রশাসনকে অবহিত করব।’
এদিকে বিষয়টি পর্যালোচনায় এনে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চবি উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) সৈয়দ ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত আদেশপত্রে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
আদেশপত্রে বলা হয়, ‘রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত রসায়ন বিভাগের একাডেমিক কমিটির সুপারিশের আলোকে আপনাকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত রসায়ন বিভাগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে আদেশক্রমে বিরত রাখা হলো।’
চবি প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমরা একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এরপরেই আমি ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যাই। পরে উপাচার্য অভিযোগটি নির্দিষ্ট কমিটিতে তোলেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ওই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিটি থেকে শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা না করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি দ্রুত কমিটির পরবর্তী সিদ্ধান্ত পেয়ে যাব।’