![চবিতে ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ : তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা](uploads/2024/02/14/1707895775.CU.jpg)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলের প্রধান ও চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বরাবর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি।
অন্যদিকে লাগাতার আন্দোলন করছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে এই ক্যাম্পাসের আঙিনায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই, দুই একটা মতিন ধর, ধরে ধরে জেলে ভর, ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার ও বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করার দুই দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে রসায়ন শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলেন, ‘আমাদের বিভাগের সিনিয়র আপুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আমরা লাগাতার আন্দোলন করছি। আমরা ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য আজ ১০ম দিনের মতো আন্দোলন করছি। অভিযুক্ত শিক্ষকের যথাযথ শাস্তি দেওয়ার গড়িমসি করলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।’
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী জান্নাত নুর বলেন, ‘দুটি দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদী হয়ে তার নামে মামলা করতে হবে। আমরা ওনার (মাহবুবুল মতিন) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই যেন আর কেউ এমন জঘন্য কাজ করতে সাহস না পায়। চূড়ান্ত শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া অবধি আমরা ক্লাস বর্জন করবো।’
এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. জরিন আখতারকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলে ঘটনার তদন্তের কাজ।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলের প্রধান ও চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জরিন আখতার।
তিনি বলেন, ‘যৌন নিপীড়ন সেলের প্রধান উপাচার্য বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনের ফলাফল সম্পর্কে আমরা কিছু বলতে পারবো না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানাবেন।’
এ বিষয়ে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে। এখনো পড়ে দেখিনি। শুক্রবার আমাদের একটা মিটিং বসবে। তখন ফলাফল এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও পাওয়া যায়নি।
গত ৩১ জানুয়ারি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে উপাচার্য বরাবর যৌন হয়রানি, যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার জন্য লিখিতভাবে অভিযোগ করেন একই বিভাগের ও অভিযুক্ত শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তর থিসিস করা এক ছাত্রী।
মাহফুজ শুভ্র/ইসরাত চৈতি/