![চবিতে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ৩০](uploads/2024/02/16/1708097915.5456556cukk.jpg)
পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সামনেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারের (সিএফসি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন পুলিশসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ নিয়ে দুই দিনে চার দফায় শাখা ছাত্রলীগের তিন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় সংঘর্ষের সূত্রপাত। সন্ধ্যার পর উভয় পক্ষ দফায় দফায় এক অন্যের ওপর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও হামলা চালায়। এ সময় সিক্সটি নাইন গ্রুপ শাহজালাল হলে এবং সিএফসি শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়িসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে। শুক্রবার রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সিএফসির এক কর্মীকে মারধর করেন সিক্সটি নাইনের কর্মীরা। এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন রাতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। পরে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি। সংঘর্ষের সময় প্রক্টরিয়াল বডি ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি এবং সাংবাদিকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসেন সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এরপর গতকাল ফের সংঘর্ষে জড়ায় চবি ছাত্রলীগের এ দুটি উপগ্রুপ।
সহকারী প্রক্টর রোকন উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে আমাদের। হার্ডলাইনে যাওয়া ছাড়া মনে হচ্ছে উপায় নেই। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমাদের কাছে অতিরিক্ত পুলিশ নেই। র্যাব মোতায়েন করার জন্য আমরা জোর চেষ্টা চালাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে আছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা ছাড়া আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না।’
এর আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে ও পরদিন দুপুরে দুই দফায় সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও বিজয়। এর পর থেকে সিক্সটি নাইন ও সিএফসি গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।