![গবেষণায় নতুন ধাপে খুবি সামাজিক সমস্যা ও প্রতিকারে গুরুত্ব](uploads/2024/03/22/1711081721.khulna-university.jpg)
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় ও সমস্যাভিত্তিক ক্ষেত্র নিয়ে গবেষণায় সাফল্য পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)। এর মধ্যে চিংড়ির ভাইরাস, সুন্দরবনের টপডাইং রোগ (সুন্দরী গাছের একটি রোগ), লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু ফসল ও বৃক্ষরাজির জাত উদ্ভাবন, দেশীয় মাছের প্রজাতির সংরক্ষণ ও বংশ বৃদ্ধি, পানির আর্সেনিক মুক্তকরণের মতো বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। গবেষণা কার্যক্রমের অনেক ক্ষেত্রেই এরই মধ্যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এ ছাড়া সুন্দরবনসহ এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর গবেষণার কয়েকটি ক্ষেত্রে গবেষকরা সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার সূত্র জানায়, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব গবেষণা তহবিল ‘রিসার্চ ইনডোমেন্ট ফান্ড’ গঠন করা হয়েছে। প্রণয়ন করা হয়েছে নিজস্ব রিসার্চ স্ট্র্যাটেজি প্ল্যান। গত এক বছরে ১ হাজার ২৬৬টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। বর্তমান প্রশাসনের সময়ে মোট ১২টি আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলন হয়েছে, যার মধ্যে গত ছয় মাসে হয়েছে পাঁচটি। এক বছরে পিএইচডি প্রোগ্রামে রেকর্ডসংখ্যক ৮৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি। কেন্দ্রীয় গবেষণাগার এবং প্রত্যেক ডিসিপ্লিনের গবেষণাগারে আন্তর্জাতিকমানের যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি-ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে কোলাবরেশন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন-প্রবীণ গবেষকদের গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে অনুদান বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০০০-০১ অর্থবছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে গবেষণা বরাদ্দ ছিল ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে গবেষণা বরাদ্দ পায় ২ কোটি টাকারও বেশি। যার ধারাবাহিকতায় গত দুই অর্থবছরে এর পরিমাণ আশানুরূপ হারে বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই বরাদ্দ ৫.৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এরমধ্য থেকে এবারই প্রথম মাঠ গবেষণার জন্য ৫টি ডিসিপ্লিনকে ৫৫ লাখ ৫ হাজার টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার অগ্রযাত্রায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। তারা গবেষণামুখী হওয়ায় বরাদ্দ বেড়েছে। পাশাপাশি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি রিসার্চ ফোকাসড ও স্মার্ট ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে গবেষণায় আরও উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ইন্টারন্যাশনাল হাই ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে গবেষণা নিবন্ধন প্রকাশনায় রেজিস্ট্রেশন ফিস প্রদান ও আর্টিকেল পাবলিকেশনের জন্য প্রসেসিং ফিস প্রদান। জীববিজ্ঞান স্কুলের জন্য একটি গ্রিনহাউস স্থাপন ও নেটহাউস নির্মাণ।