![কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক!](uploads/2024/03/23/1711168002.cumilla-uv.jpg)
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ অনুষদের ডিন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগ নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। এর আগে গত ১৪ মার্চ এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সভায় এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ডিন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সদস্য থেকে পদত্যাগও করেছেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদে ডিন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আহসান উল্যাহকে। কিন্তু ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হকের দাবি, বিভাগীয় ক্রম অনুযায়ী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে তাকে ডিন করা যৌক্তিক ছিল। কিন্তু প্রশাসন সেই নিয়ম মানেনি। প্রশাসন তাকে শিক্ষা ছুটি শেষে যোগদান করতে না দিয়ে পদবঞ্চিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ছুটি নীতিমালায় আছে, যদি কোনো শিক্ষক তার ডিগ্রি অসম্পূর্ণ রেখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসে, তাহলে একই ডিগ্রির জন্য সেই শিক্ষক পরবর্তী সময় কোনো শিক্ষা ছুটি পাবে না।
চলতি বছরের ৩ মার্চ ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক কাজে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেন। এরপর রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। এর আগে ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর পিএইচডির জন্য ছুটি নেন সহযোগী অধ্যাপক এমদাদ।
এ ব্যাপারে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ছুটির নীতিমালা অনুযায়ী আমি গত ৩ মার্চ ২০২৪ শিক্ষা ছুটি শেষে বিভাগে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করি। কিন্তু আইন বহির্ভূতভাবে আমার যোগদানপত্র কার্যকর না করে জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।’
এ ছাড়া বিজ্ঞান অনুষদে বিভাগের ডিন নিয়োগের ক্ষেত্রে গণিত বিভাগের পর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ডিন আসার কথা থাকলেও এ ক্ষেত্রে ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রদীপ দেবনাথকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমনটাই দাবি করছেন শিক্ষক সমিতি। এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান রাজু বলেন, ‘বিভাগের ক্রম অনুসারে অনুষদে ডিন নিয়োগ দেওয়ার কথা। বিভাগের ক্রম অনুসারে গণিত বিভাগের পর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিজ্ঞান অনুষদের এবং মার্কেটিং বিভাগের পর ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং থেকে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন নিয়োগ হওয়ার কথা। সে ক্রম উপেক্ষা করে ফার্মেসি এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ থেকে ডিন নিয়োগ দেওয়া হয়।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘সকল ডিন আইন মেনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সিন্ডিকেটে আলোচ্য সূচির কোনো পরিবর্তন হয়নি।’