ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

বুয়েটে অনড় সাধারণ শিক্ষার্থীরা, প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৯ এএম
আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৩ এএম
বুয়েটে অনড় সাধারণ শিক্ষার্থীরা, প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি
ছবি : সংগৃহীত

বুয়েটকে স্মার্ট বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির মডেল থেকে শুরু করে আধুনিক, যুগোপযোগী, বৈচিত্র্যময়-সৃষ্টিশীল, জ্ঞান-যুক্তি-তথ্য-তত্ত্বনির্ভর নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ছাত্রলীগ। তবে ছাত্রলীগের এমন প্রতিশ্রুতিতে মন গলেনি আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের। দাবি পূরণ ও রাজনীতিমুক্ত বুয়েট গড়ার দাবিতে অনড় এসব শিক্ষার্থী। এদিকে বুয়েটকে ছাত্ররাজনীতি মুক্ত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বুয়েটের ড. এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এক খোলা চিঠিতে এই দাবি জানান তারা। 

‘দেশের সর্বোচ্চ অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি জানানো’ ওই খোলা চিঠিতে শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতির নেতিবাচক দিক উল্লেখ করে বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে আমরা বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির নামে ক্ষমতার নেতিবাচক দিকগুলোই প্রত্যক্ষ করেছি। ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের মাঝে সূচনা ঘটেছে আধিপত্য, দাপট, র‍্যাগিং, শিক্ষকদের অপমান, চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থী নিপীড়ন, খুনোখুনিতে মেতে ওঠার মতো ঘটনা এবং এর ব্যাপ্তি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে এর চরমতম মূল্য হিসেবে কেমিকৌশল ৯৯ ব্যাচের সাবেকুন্নাহার সনি, যন্ত্রকৌশল ৯ ব্যাচের আরিফ রায়হান দ্বীপ এবং সর্বশেষ তড়িৎকৌশল ১৭ ব্যাচের আবরার ফাহাদের মতো মেধাবীদের হারিয়েছি।’

শিক্ষার্থীরা র‍্যাগিং-মারধরের ঘটনায় ছাত্ররাজনীতির দিকে অভিযোগের তীর তুলে আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডই নয়, এর আগেও অসংখ্য শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিং কিংবা ছাত্ররাজনৈতিক দাপটের মাধ্যমে অমানুষিকভাবে নিপীড়িত হওয়ার ঘটনা রয়েছে। যা বুয়েটের র‍্যাগিং স্টোরি আর্কাইভে সারি সারি আকারে লিপিবদ্ধ আছে। বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার শাহরিয়ারকে স্ট্যাম্প দিয়ে রাতভর বেধড়ক মারধর করা হয়। ১৭ ব্যাচের মেহজাদ গালিবকে নগ্ন করে সোহরাওয়ার্দী হলের ছাদে তুলে স্ট্যাম্প দিয়ে সারারাত মারা হয়। ১৫ ব্যাচের সামিউত তৌসিফকে মেরে হাত পা ভেঙে দেয়। মারতে মারতে তিনটা স্ট্যাম্প ভেঙে ফেলা হয়। এই সামিউত তৌসিফ ছিল এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, তার চাচা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে শহিদ। তার লিগামেন্ট ছিঁড়ে পায়ে ফ্র‍্যাকচার হয়ে যায়। সালাম না দেওয়াতে সাখাওয়াত অভির হাত ভেঙে ফেলে আবরার ফাহাদের হত্যাকারী অমিত সাহা। সৌমিত্র লাহিড়ী থাপ্পড় দিয়ে কানের পর্দা ফাটিয়ে ফেলে একজনের। এরকম আরও অসংখ্য কাহিনি রয়েছে।’

ছাত্ররাজনীতিবিহীন বুয়েটের পরিবেশ ছিল সর্বোচ্চ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব। মৌলবাদী শক্তিকেও রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন ওই শিক্ষার্থীরা। 

এ ছাড়া এতে দেশ-বিদেশে বুয়েটের বিভিন্ন সাফল্যের গল্প উল্লেখ করার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুয়েট শিক্ষার্থী মনে-প্রাণে ধারণের কথা বলা হয়। শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয় মূল্যবোধ, দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আমাদের সবার জন্যই প্রযোজ্য এবং একান্ত পালনীয়। আমরা সাংগঠনিক রাজনীতির ঊর্ধ্বে এসেই এই সচেতনতা রাখি। অথচ অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কতিপয় ব্যক্তি বা গণমাধ্যমের তৎপরতায় ছাত্ররাজনীতিবিহীন বুয়েট ক্যাম্পাসকে জাতীয় চেতনার বিরোধী মতাদর্শের স্থান হিসেবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিষয়টিতে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত।’

দাবি পূরণ ও ছাত্ররাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস দাবিতে চলমান আন্দোলন দুর্দিন আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনার কাছে সবিনয়ে অনুরোধ, আপনি আমাদের পাশে দাঁড়ান। আপনি সব সময় শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছেন, আমরা জানি এই দুর্দিনে আপনি আমাদের ছেড়ে যাবেন না।’

বুয়েটের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাতের একটি বক্তব্য এতে তুলে ধরা হয়। ওই বক্তব্যে বলা হয়, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন অধ্যাদেশ করে শিক্ষকদের রাজনীতি, রাজনৈতিক কার্যকলাপ ইত্যাদির অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের জন্য অধ্যাদেশের খসড়া যখন বঙ্গবন্ধুর সামনে উপস্থাপন করা হয়, তখন তিনি বলেছিলেন যে এই দুটো বিশ্ববিদ্যালয় নষ্ট করা চলবে না। খসড়া অর্ডিন্যান্স বঙ্গবন্ধু ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বুয়েটের শিক্ষকরা তার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন। এই এজেন্ডাতে তিনি দেখা করতে রাজি হননি। তখন শিক্ষকরা কথা বলতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ইউসুফ আলীর সঙ্গে।’

প্রধানমন্ত্রী প্রতি আবেদন জানিয়ে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করা ওই খোলা চিঠিতে বলেন ‘আপনার প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, বুয়েটকে নিয়ে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে পলিসি গ্রহণ করেছিলেন, তার বাস্তবায়ন করুন। বুয়েটকে ছাত্র রাজনীতির বাইরে রাখুন, প্রয়োজনে আইন সংস্কার করে হলেও। কারণ সুবিচারের জন্যই আইনের সৃষ্টি। আমাদের অনুরোধ, আপনি দয়া করে আমাদের ক্যাম্পাসে আসুন; ছাত্ররাজনীতিহীন বুয়েট গত কয়েকবছর ধরে শিক্ষার্থীদের জন্য যে আদর্শ ক্যাম্পাস হয়ে উঠেছে, সেটা আমরা আপনাকে দেখাতে চাই। আমরা আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা প্রযুক্তিবিদ্যায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পেছনে ফেলে দিব শিগগিরই।’

আগামী ৫-৬ বছরের ভেতরে বুয়েট র‍্যাংকিং ৫০ এর মধ্যে চলে আসবে বুয়েট উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, ‘শেষ কয়েকবছর এই প্রত্যয় নিয়েই প্রতিটি প্রকৌশল বিভাগে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছি, ইতোমধ্যে যার ফলও পেতে শুরু করেছি। আমাদের এই পথচলা আপনিই নির্বিঘ্ন রাখতে পারেন। সেই আশাতেই এই চিঠি। আমরা, আপনার হাজারও সন্তান আপনার সহযোগিতার প্রতীক্ষায় আছি।’

চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

বুয়েট শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের পঞ্চম দিন পার হতে চলছে। অন্যদিকে দাবি পূরণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের চতুর্থ দিনেও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনে ছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তবে ওই দিন কোনো ব্যাচের পরীক্ষা না থাকলেও ক্লাস বর্জনে ছিলেন শিক্ষার্থীরা। যদিও অন্যান্য দিনের মতো প্রশাসনিক কার্যক্রম যথারীতিতে চালু ছিল। 

আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবারে একটি পরীক্ষা রয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলো ঈদের পর অনুষ্ঠিত হবে। তবে বুধবারের ক্লাস-পরীক্ষাতে অংশ নিবেন কি না এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী খবরের কাগজকে জানিয়েছেন, অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে ক্লাস-পরীক্ষাগুলো বিগত দিনের মতই বর্জন থাকবে।

হ্যাশট্যাগ আন্দোলন

এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বুয়েটে রাজনীতি না চেয়ে ‘হ্যাশট্যাগ’ আন্দোলন শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেখানে বর্তমান থেকে শুরু করে সাবেক শিক্ষার্থীরা হ্যাশট্যাগে- ‘নো স্টুডেন্টস পলিটিক্স ইন বুয়েট’ লিখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ছাড়া নাম পরিচয়, বিভাগ ব্যাচ উল্লেখ করে স্ট্যাটাসগুলোতে বলা হয়েছে, ‘একজন প্রাক্তন ছাত্র এবং এলামনাই হিসেবে, আমি বুয়েটে সব প্রকার সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে। বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমি একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং তাদের সফলতা কামনা করছি।’ 

রাবিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
রাবিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
ছবি: খবরের কাগজ

সরকারি চাকরিতে বর্তমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা কোটা পুনর্বহাল বাতিল, সব কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে কমিয়ে আনা এবং কোটা সুবিধা ভোগকারীদের জীবনে যেকোনো ক্ষেত্রে কেবল একবার কোটার সুবিধা ভোগ করারসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

এ সময় পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ খান বলেন, ‘কোটা থাকা কোনো দেশের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। কিন্তু আমাদের দেশটা যারা রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছেন সাংবিধানিকভাবেই তাদেরকে সেটার প্রতিদান দেওয়া হয়েছে এবং সেটার ফল তাদের বর্তমান প্রজন্মও এখন অবধি ভোগ করছে। কিন্তু সেই প্রতিদানের পরিমাণই বা কতটুকু হওয়া দরকার ছিল। তারা সংখ্যায় দেশের মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশেরও কম এবং তাদের জন্য কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৬ শতাংশ। যেটা একেবারেই অযৌক্তিক। রেলওয়েতে তাদের জন্য কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮২ শতাংশ। যেটা বলা যায়, সম্পূর্ণ কোটার দখলেই। আমরা কোটা বাতিল চাই না, কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাই। আমাদের দাবি, এই কোটা শতাংশের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ করা হোক। সেইসঙ্গে কোটা সুবিধা ভোগকারীদের জীবনে যেকোনো ক্ষেত্রে একবার কোটার সুবিধা নিতে পারবেন, তা করা হোক।’ 

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী সজীব বলেন, ‘আমাদের পূর্বসূরীরাও এই কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। তারপর সংসদে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার আবারও সেটা প্রবর্তন করা হলো। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে সাম্য, ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসেও সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমাদের দেশের কোটা পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থী কোটা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পরবর্তীতে আবার এই কোটা ব্যবহার করছে। তারা এক জীবদ্দশায় কয়েকবার ব্যবহার করে। এই পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় একবারই কোটা ব্যবহার করতে পারবে এমন নিয়ম করা হোক।’

সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই কৃষক-শ্রমিকের সন্তান। তবে এ ছাড়া বাকি যারা আসেন তারা সবাই প্রায় প্রতিষ্ঠিত পরিবার থেকেই আসেন। দেখা যায়, কোটার সুবিধাও কিন্তু তারা পেয়ে থাকেন। একজন কৃষক হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে তার সন্তানকে পড়াশোনা করান কিন্তু তারা কোটা সুবিধা পান না। অন্যদিকে যাদের বাবা-মা সরকারি চাকরি করেন, প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান তারা ঠিকই কোটার সুবিধা লুফে নিচ্ছেন। কোটা থাকলে তো কৃষকের সন্তানের জন্য থাকা দরকার ছিল, মজুর শ্রমিকের সন্তানদের জন্যও থাকা দরকার ছিল। কিন্তু সেটা না হয়ে যারা সুবিধা পাচ্ছেন, তারা আরও বেশি পাচ্ছেন। আর যারা পাচ্ছেন না, তারা মোটেই পাচ্ছেন না।’

আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল্লাহ মহিবের সঞ্চালনায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ আন্দোলনে অংশ নেন।

সুমন/পপি/অমিয়/

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা
ছবি: খবরের কাগজ

নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের জন্য সম্প্রতি চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) দেশের ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। ফলে বন্ধ থাকছে একাডেমিক কার্যক্রম।

রবিবার (৩০ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা।

এ সময় ফেডারেশনের সভাপতি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘দেশ ও জাতির প্রয়োজনে সবাইকে এক হতে হবে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের আহ্বান জানাব, তারা যেন দল-মত নির্বিশেষে এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের অব্যাহত থাকবে।’

দেশের ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়ে সংগঠনটির মহাসচিব এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘দেশের ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটির সঙ্গে আজকেও যোগাযোগ হয়েছে। রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, হাজী দানেশসহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। একযোগে তারাও এই কর্মসূচি পালন করবে। এটি আমাদের আত্মমর্যাদার লড়াই। আমরা বিভিন্নভাবে সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করেছি বিষয়টি সুরাহা করার জন্য কিন্তু আমরা আশানুরূপ সাড়া পাইনি।’

এদিকে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাবির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ঘোষিত এ সর্বাত্মক আন্দোলনে আপনারা সবাই আমাদের সংগ্রামের সারথি। আপনাদের বিপুল সমর্থন ও ম্যানডেট নিয়ে শিক্ষক সমিতি এ সর্বাত্মক আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়ন করেছে। আমাদের এ আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন।

বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা ৯টি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেগুলো হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে; অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাস, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে; সব পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ রাখবেন। একাডেমিক কমিটি, সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি, প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে না; অনুষদের ডিনরা ডিন অফিস, ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কর্যক্রম বন্ধ রাখবেন। নবীনবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি নেওয়া যাবে না। কোনো সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না।

বিভিন্ন ইন্সটিটিউটের পরিচালকরা ইন্সস্টিটিউটের অফিস, ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখবেন। সান্ধ্যকালীন, শুক্রবার ও শনিবারের ক্লাস বন্ধ থাকবে; বিভিন্ন গবেষণাধর্মী সেন্টারের পরিচালকরা কোনো সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকবেন; বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষরা অফিস বন্ধ রাখবেন; প্রধান গ্রন্থাগারিক কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বন্ধ রাখবেন।

এর আগে গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যে সব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ১ জুলাই তারিখের পর যোগদান করবেন তাদের জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না।

আরিফ জাওয়াদ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

জবির ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ১ জুলাই থেকে

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
জবির ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ১ জুলাই থেকে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে সোমবার (১ জুলাই) থেকে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি। 

রবিবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান এ তথ্য জানান।
 
মাশরিক হাসান বলেন, ‘আমরা আগেই নোটিশ দিয়ে জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবি আজ পর্যন্ত না মানা হলে আগামীকাল (সোমবার) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব আমরা। আগামীকাল থেকে সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। কোনো কাজ কেও করবে না। বিভাগগুলোকেও আমরা জানিয়ে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাসও বন্ধ থাকবে। সব পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল পরীক্ষা কিছু অনুষ্ঠিত হবে না। কোনো দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কাজ করবেন না।’

মুজাহিদ/পপি/অমিয়/

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথে স্কলারশিপ

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথে স্কলারশিপ

ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথ যুক্তরাজ্যের সেরা ১০টি নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। টাইমস হায়ার এডুকেশন ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টি রয়েছে গত ৫০ বছরের মধ্যে স্থাপিত বিশ্বের সেরা ১৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়ও। রিসার্চ এক্সেলেন্স ফ্রেমওয়ার্ক (আরইএফ) ২০২১ অনুসারে, ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথ সেরা তিনটি গবেষণা শক্তির মধ্যেও একটি।

দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে ২ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশের। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে শতকরা ৯৪ ভাগ হয় চাকরিজীবনে প্রবেশ করেছেন, নয়তো উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চালু আছে ভাইস চ্যান্সেলর’স গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ। যে বৃত্তির অধীনে একজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিশ্চিতভাবে আড়াই হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড পাবেন। আরও আছে চ্যান্সেলর’স গ্লোবাল একাডেমিক মেরিট স্কলারশিপ। যার অধীনে একজন শিক্ষার্থী পাবেন ৫ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড। তাছাড়া নির্দিষ্ট কোর্সগুলোয় রয়েছে শতকরা ৫০ ভাগ বৃত্তি পাওয়ার সুবিধা।

ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, পোস্টগ্র্যাজুয়েট এবং পিএইচডি লেভেলে যেসব কোর্সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যায়, সেগুলোর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্টিং, ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিন্যান্স, আর্কিটেকচার, প্রোপার্টি অ্যান্ড সার্ভেয়িং, বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড মেডিকেল বায়োটেকনোলজি, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিস, ক্রিমিনোলজি, ডেটা সায়েন্স অ্যান্ড ডেটা এনালিটিক্স, ফ্যাশন অ্যান্ড টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিক, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড গ্যাস ইঞ্জিনিয়ারিং), অ্যানভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, হেলথ সায়েন্সেস, ইনোভেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স অ্যান্ড পলিটিক্স, লজিস্টিক্স অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং (ডিজিটাল মার্কেটিং, মার্কেটিং অ্যানালিটিক্স), মিডিয়া স্টাডিজ, ফার্মেসি অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেস, স্পোর্টস সায়েন্সেস। বৃত্তিগুলো এবং ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথে ভর্তি সম্পর্কিত বিস্তারিত জানা যাবে www.port.ac.uk/study/international-students/your-country/bangladesh এই ওয়েবসাইট থেকে।

 কলি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ১ জুলাই

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ১ জুলাই

১০৪তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হবে আগামীকাল (১ জুলাই)। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এদিন সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পায়রা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। এদিন নির্দিষ্ট সময় ক্লাস ও সড়কে চলাচল বন্ধ থাকবে।

কর্মসূচি অনুযায়ী, এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রাসহকারে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সমবেত হবেন। পরে ৯টা ৪৫ মিনিটে উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে পায়রা চত্বরে গমন করবেন।

সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে পায়রা চত্বরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোর পতাকা উত্তোলন, পায়রা, বেলুন ও ফেস্টুন ওড়ানো, কেক কাটা এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সং ও উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’ নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে প্রকাশিত ‘স্মরণিকা’ ও ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করবেন অতিথিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নীলক্ষেত ও ফুলার রোড থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে।

দিবসটি উপলক্ষে উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সড়কে আলোকসজ্জা করা হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথে তোরণ নির্মাণ এবং রোড ডিভাইডার ও আইল্যান্ডে সাজসজ্জা করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে এদিন ক্লাসগুলো সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।

কলি