![বুয়েটে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় বসেনি কোনো শিক্ষার্থী](uploads/2024/04/18/1713450207.BUET.jpg)
ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসসহ পাঁচ দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আসছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ১৩ দিনের ছুটি শেষে বুয়েটে একাডেমিক কার্যক্রম চালু হলেও একাডেমিক কার্যক্রমে ফেরেনি শিক্ষার্থীরা। গতকালের মতো বৃহস্পতিবারও (১৮ এপ্রিল) পরীক্ষায় অংশ নেয়নি তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বুয়েট ২২ ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পূর্ব নির্ধারিত। এই ব্যাচে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৩০৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ পরীক্ষায় অংশ নেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী খবরের কাগজকে বলেন, ‘যদিও বুয়েটে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ। পূর্ব নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী আজকে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। এতে কেউই অংশ নেয়নি। এখন আগামীতে পরীক্ষায় সবাই অংশ নেবে কি না তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’
জানা যায়, একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ৮ মে পর্যন্ত পরীক্ষার রুটিন রয়েছে। এ ছাড়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বুয়েটে এখন ক্লাস নেই, এ সময় জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাচের পরীক্ষার শিডিউল।
এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি গণমাধ্যমকে। ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে এখনো অনড় অবস্থানে রয়েছে। তাদের দাবি মেনে নিলেই একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরবেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়। গত ১ এপ্রিল এক রিট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ ২০১৯ সালে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধে কর্তৃপক্ষের জারি করা সেই প্রজ্ঞাপন স্থগিত করে উচ্চ আদালত। এদিকে আদালতের আদেশ হাতে পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বলে জানিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ২৮ মার্চ রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ তুলে ছয় দফা দাবি তুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেয় শিক্ষার্থীরা। গত ৩০ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনকারীরা, যা এখনো বলবৎ রয়েছে।