![কুমারখালীতে ১৪৪ ধারা নোটিশ দিতে গিয়ে মারধরের শিকার পুলিশ](uploads/2024/06/29/144-mamla-1719632669.jpg)
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জমিজমা সংক্রান্তে ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ দিতে গিয়ে বিবাদীর সঙ্গে পুলিশের দুই সদস্যের হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার চৌরঙ্গী বাজারসংলগ্ন ভালুকা ফকিরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার পুলিশের ওই এএসআইয়ের নাম মো. নিজাম এবং পুলিশ সদস্য হলেন মো. রাশেদুল ইসলাম। তারা উপজেলার পান্টি পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত।
আর অভিযুক্তরা হলেন- পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে মো. রফিকুল আলম (৫০) ও তার ছেলে মো. শাকিল (২০)। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই বাবা-ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার মো. শমসের আলীর ছেলে শাহীন আলমের সঙ্গে অভিযুক্ত রফিকুল আলমের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে শাহীন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিখিত নালিশ করেন। আদালত নালিশ আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২৬ জুন ১৪৪ ধারা জারি করেন। শুক্রবার রাতে এএসআই মো. নিজাম ও পুলিশ সদস্য রাশেদুল সেই ১৪৪ ধারার নোটিশ দিতে গেলে বিবাদী রফিকুল ও তার ছেলে শাকিলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে সরেজমিন গেলে রফিকুলের স্ত্রী শাহিদা খাতুন জানান, পুলিশ প্রথমে বাদীর বাড়িতে নোটিশ দেয়। এরপর সেখান থেকে টাকা খেয়ে এসে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তার ছেলেকে লাথি মারে ও ধস্তাধস্তি-হাতাহাতি হয়। তার ভাষ্য, তারা পুলিশকে মারেনি, শুধু আত্মরক্ষা করেছেন।
তবে ঘটনার পর থেকে হামলার শিকার ওই দুই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
চৌরঙ্গী তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. বসির উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম।
তবে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, আদালতের একটি ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ নিয়ে ওই এলাকায় গেলে বিবাদীপক্ষের কয়েকজন পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মিলন/জোবাইদা/অমিয়/