![চোরাই চিনি: প্রতিবাদ করায় কাউন্সিলরের বাসায় হামলা](uploads/2024/06/29/sylt-councilor-1719635638.jpg)
বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সিলেটের চিনি চোরাকারবারিরা। নগরীর টিলাঘর এলাকার সড়ক দিয়ে আসা ভারতের অবৈধ চিনি চোরাচালান ও ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এবার সিলেট সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলা চালিয়েছে চোরাকারবারিরা। এ ব্যাপারে মামলা করেছেন কাউন্সিলর।
কাউন্সিলর খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই টিলাঘর সড়ক দিয়ে সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট উপজেলা থেকে চিনি, মাদকসহ সব ধরনের পণ্য চোরাচালান হয়। তবে ইদানীং অন্য পণ্যের চেয়ে অবৈধ চিনি বেশি আসে। এই টিলাঘর আমার নির্বাচনি এলাকা। তাই এসবের বিষয়ে এলাকার মানুষজন আমার কাছে অভিযোগ করেন। এসব চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এর রেশ ধরেই এই চোরাকারবারি সিন্ডিকেট আমার বাসায় হামলা করেছে। এই হামলার মাধ্যমে তারা বুঝিয়েছে কতটা বেপরোয়া হয়েছে এই চোরাকারবার ও মাদক ব্যবসায়ীরা।’
কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ ওই ওয়ার্ডে টানা পাঁচবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। হামলার ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন কাউন্সিলর আজাদের ভাতিজা তাহমিদুর রহমান এবং অনুসারী হীরক রঞ্জন দে পাপলু, ফয়ছল ও মুতাছির।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে কাউন্সিলর আজাদের পৈতৃক ভিটায় হামলা চালান। পরে নগরীর পূর্ব শাপলাবাগ এলাকায় কাউন্সিলরের নিজ বাসভবনেও হামলা চালিয়ে বাসার জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়। একই সঙ্গে কাউন্সিলর আজাদের ঘনিষ্ঠ অনুসারী শমশের আলীর বাসায়ও হামলা হয়। খবর পেয়ে কাউন্সিলর আজাদের অনুসারীরা জড়ো হলে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন হামলাকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
কাউন্সিলর আজাদ বলেন, ‘এলাকায় বিভিন্ন চাঁদাবাজি, হামলা-দখলবাজি চালিয়ে আসছে একটি চিহ্নিত মাদকসেবী চক্র। তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। তারা চোরাই পথে চিনিও পাচার করে থাকে। সেসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান ছিল। ওই ক্ষোভ থেকেই তারা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এ বিষয়ে শাহপরাণ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, ‘হামলার ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি আমরা। হামলার পর থেকেই পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। হামলাকারীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’