![পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট বন্ধ, বেড়েছে লোডশেডিং](uploads/2024/06/29/Payra-Power-Plant---(1)-1719640068.jpg)
নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ফলে দক্ষিণ অঞ্চলে লোডশেডিং বেড়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) বিকেল থেকে প্রথম ইউনিটটি বন্ধ করা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এই ইউনিটটি আবারও চালু করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংশ্লিষ্টরা।
পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০২০ সাল থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে মোট দুটি ইইউনিট থেকে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে আসছে।
তবে গত ২৪ জুন বিকেলে প্লান্টের প্রথম ইউনিটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তা বন্ধ করা হয়। ফলে বর্তমানে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্ল্যান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মাওলা খবরের কাগজকে বলেন, ‘নিয়মিত রক্ষাণাবেক্ষণের কাজটি সম্পন্ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই বন্ধ ইউনিটটিও চালু করা হবে। আশা করছি, আগামী ২ জুলাই পুরোদমে বন্ধ ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হবে।’
এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই ছন্দপতনের ফলে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলে লোডশেডিং বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলো।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুম্মান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, এখন বিদ্যুতের ভোগান্তি সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচবার লোডশেডিং হচ্ছে এবং দীর্ঘসময় পর বিদ্যুৎ আসছে। এই দীর্ঘসময় তো জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয়। পর্যটকরা বিরক্ত হচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।
এর আগে কয়লা সংকটে ২০২৩ সালের ৫ জুন দেশের বৃহৎ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর ঠিক ২০ দিন পর আবার উৎপাদন শুরু হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি সচল রাখতে প্রতিদিন ১২ হাজার টনের বেশি কয়লার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যা পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে কয়।
হাসিবুর রহমান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/