ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট বন্ধ, বেড়েছে লোডশেডিং

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১১:৪৯ এএম
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট বন্ধ, বেড়েছে লোডশেডিং
ছবি: খবরের কাগজ

নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ফলে দক্ষিণ অঞ্চলে লোডশেডিং বেড়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) বিকেল থেকে প্রথম ইউনিটটি বন্ধ করা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এই ইউনিটটি আবারও চালু করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংশ্লিষ্টরা।
 
পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০২০ সাল থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে মোট দুটি ইইউনিট থেকে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে আসছে। 

তবে গত ২৪ জুন বিকেলে প্লান্টের প্রথম ইউনিটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তা বন্ধ করা হয়। ফলে বর্তমানে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্ল্যান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মাওলা খবরের কাগজকে বলেন, ‘নিয়মিত রক্ষাণাবেক্ষণের কাজটি সম্পন্ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই বন্ধ ইউনিটটিও চালু করা হবে। আশা করছি, আগামী ২ জুলাই পুরোদমে বন্ধ ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হবে।’ 

এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই ছন্দপতনের ফলে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলে লোডশেডিং বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলো।
 
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুম্মান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, এখন বিদ্যুতের ভোগান্তি সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচবার লোডশেডিং হচ্ছে এবং দীর্ঘসময় পর বিদ্যুৎ আসছে। এই দীর্ঘসময় তো জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয়। পর্যটকরা বিরক্ত হচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।

এর আগে কয়লা সংকটে ২০২৩ সালের ৫ জুন দেশের বৃহৎ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর ঠিক ২০ দিন পর আবার উৎপাদন শুরু হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি সচল রাখতে প্রতিদিন ১২ হাজার টনের বেশি কয়লার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যা পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে কয়।

হাসিবুর রহমান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

৩ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, সিলেটে আবারও বন্যা আতঙ্ক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম
৩ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, সিলেটে আবারও বন্যা আতঙ্ক
ফাইল ছবি

ভারতের চেরাপুঞ্জি ও সিলেটে চলমান বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার সব নদ-নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তিন নদীর চার পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে জেলায় তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, সোমবার (১ জুলাই) সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্ট বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার। আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬৫ মিলিমিটার। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৭ মিলিমিটার এবং বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৮৬ মিলিমিটার এবং গত শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত চেরাপুঞ্জিতে ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ফলে সিলেটের সবকটি নদ-নদীর পানি আবারও দ্রুতগতিতে বাড়তে শুরু করে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন জানান, দেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সিলেটে গতকাল বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণের কারণে সিলেটের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যা আতঙ্কে দিনযাপন করছে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ। দ্বিতীয় দফা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বাড়িতে ফিরেছিলেন তারা। কিন্তু তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কায় বাড়ি ছাড়ার আতঙ্কে আছেন।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস খবরের কাগজকে বলেন, ‘ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের কারণে আমাদের নদীগুলোতে ঢলের পরিমাণ বেড়েছে। এ ছাড়া সিলেটে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ইতোমধ্যে জেলার তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তাই সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবারের বন্যা আমাদের জন্য বিপজ্জনক হবে। কারণ নিম্নাঞ্চলে পানি নামার জায়গা নেই। দুই দফা বন্যায় সব হাওর-বাওর ও নদী ইতোমধ্যে পানিতে ভরে গেছে।’

শাকিলা ববি/সালমান/

‘৬ মাসের মধ্যেই কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে হবে’

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
‘৬ মাসের মধ্যেই কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে হবে’
ছবি : খবরের কাগজ

অর্থায়ন জটিলতা কেটে যাওয়ার মধ্য দিয়ে কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়নের কার্যক্রমে প্রত্যাশিত গতি এসেছে। এটা যেন বহাল থাকে। পাশাপাশি একনেকের অনুমোদন, দরপত্রসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী ছয় মাস অর্থাৎ চলতি বছরের মধ্যেই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করার দাবি জানায় বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ।

রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

এ সময় বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল মোমিন বলেন, কর্ণফুলী নদীর ওপর যে কালুরঘাট রেলসেতু আছে, সেটা প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো ও জরাজীর্ণ। ৮০-এর দশক থেকেই বারবার জোড়াতালি দিয়ে এ সেতুকে এখন পর্যন্ত ট্রেন ও যান চলাচলের জন্য কোনোভাবে ঠিক করে রাখা হয়েছে। এক বছর ধরে জোড়াতালির সংস্কার কাজের জন্য সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। বিকল্প উপায়ে ফেরি দিয়ে মানুষ পারাপার করতে গিয়ে ইতোমধ্যে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। 

তিনি বলেন, কালুরঘাট সেতুর দাবি সামনে আনার পর সরকারেরও বিষয়টির ওপর দৃষ্টি আসে। বিগত ১০ বছরে সেতুটি নির্মাণে অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা, নকশা প্রণয়ন এবং সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ ছিল। কিন্তু এরপরও সেতুর নির্মাণের বিষয়ে প্রক্রিয়াগত কার্যক্রম স্থবির ছিল। তবে সম্প্রতি কিছু অগ্রগতি হয়েছে। গত ২৭ জুন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরসহ সর্বশেষ যে অগ্রগতি সেটা গত এক দশকের ধারাবাহিক কর্মপ্রচেষ্টার ফলাফল, যার সঙ্গে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদসহ সর্বস্তরের মানুষের সংযুক্তি আছে।

বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুস্তফা নঈম বলেন, দক্ষিণ রাঙ্গুনীয়ার বসবাসকারী মানুষদের প্রায় ৬৪ মাইল ঘুরে চট্টগ্রামে আসতে হয়। কালুরঘাট সেতু হলে অন্তত ৪০ মাইল দূরত্ব কমবে। তাছাড়া কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন হলে বান্দরবানের সঙ্গেও ২০ কিলোমিটার রাস্তার দূরত্ব কমে আসবে। 

সংগঠনের সদস্য সচিব রমেন দাশগুপ্ত বলেন, ২০১৪ সালের শুরুতে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্য দিয়েই সেতুর দাবি প্রথম জনসম্মুখে আসে। চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে বহুল প্রত্যাশিত কালুরঘাট সেতু নির্মাণে চূড়ান্ত অগ্রগতি হয়েছে। পদ্মা সেতুর মতো এ সেতু নির্মাণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। 

সেতু বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, কালুরঘাট সেতু হলে শুধু বোয়ালখালী বা পটিয়াবাসী উপকার পাবে সেটা নয়, সেতু হলে পুরো চট্টগ্রামবাসী এর সুফল ভোগ করবে। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়কারী আলমগীর মোরশেদ বাবু, অমল কান্তি নাথ, উজ্জ্বল সরকার, সেহাব উদ্দিন সাইফু, নেছার আহমেদ খান, তপন দাশগুপ্ত, সাদেকুর রহমান সবুজ, সাংবাদিক নুরুল আবসার, রণজিৎ চৌধুরী বাচ্চু ও প্রকৌশলী সিঞ্চন ভৌমিক প্রমুখ। 

চট্টগ্রাম ব্যুরো/অমিয়/ 

টেকনাফে মাঠিচাপা দেওয়া অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
টেকনাফে মাঠিচাপা দেওয়া অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

টেকনাফের হ্নীলায় একটি লবণের মাঠ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মাটিচাপা দেওয়া গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

সোমবার (১ মে) সকালে হ্নীলা আলীখালী হাইওয়ে ব্রিজের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘সকালে স্থানীয়রা আমাদের জানান, মাঠিচাপা দেওয়া অবস্থায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়েছেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে লাশটি সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সনাক্তের কাজ চলছে।’

টেকনাফ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাহারুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশটি পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে’।

শাহীন/পপি/অমিয়/

যানজট কমাতে পে-পার্কিং চালু করল চসিক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৯ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
যানজট কমাতে পে-পার্কিং চালু করল চসিক
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় যানজট কমাতে পরীক্ষামূলকভাবে পে-পার্কিং চালু করেছে সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। 

রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে হোটেল আগ্রাবাদে মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর প্রথম পে-পার্কিং উদ্বোধন করেন। 

বি-ট্র্যাক সলিউশন নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে আগ্রাবাদে সিলভার স্পুনের সামনে এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সড়কে মোট ১৭৭টি গাড়ির পার্কিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাগরিকরা ইয়েস পার্কিং অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন এবং নগদ টাকা দুভাবেই পার্কিং এর জায়গা ভাড়া নিতে পারবেন।

মেয়র বলেন, নাগরিক সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল সলিউশন আনার চেষ্টা করছি। এর অংশ হিসেবে যানজট কমাতে আগ্রাবাদে পে-পার্কিং চালু করা হলো। এই পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে নগরীতে আরও পে-পার্কিং স্পট চালু করা হবে। ইতোমধ্যে নগরীর ঝুলন্ত তারের জঞ্জাল সরাতে ৩ ওয়ার্ডে ঝুলন্ত তারকে মাটির নিচে নেওয়া হচ্ছে। 

সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, নগরীতে গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা তা পে-পার্কিং এর মাধ্যমে লাঘব হবে বলে আশা করি। আধুনিক সিগন্যাল সিস্টেম চালু হলে যানজট কমবে। মেয়র সাহস করে হকার উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু হকার উচ্ছেদ করার পর দেখা যাচ্ছে আবার রাস্তা দখল হয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় একযোগে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ আহাম্মদ, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লাহ চৌধুরী, শাহীন আক্তার রোজী, রুমকি সেনগুপ্ত, সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম,  প্রধান প্রকৌশলী শাহীন শাহীন-উল-ইসলাম চৌধুরী, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, চসিকের পক্ষে পে-পার্কিং বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ শাফকাত আমিন, বি-ট্র্যাক সলিউশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম তানভীর সিদ্দিকী, প্রকল্পপ্রধান সাফায়েত আবদুল্লাহ, হেড অব সেলস সিরাজ উদ্দিন, ডেপুটি ম্যানেজার মো. শাহ ফারুক ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সরোয়ার হোসেন চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ তারিকুল ইসলামসহ চসিকের কর্মকর্তারা।

এস এম ইফতেখারুল/জোবাইদা/অমিয়/

গাইবান্ধায় নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
গাইবান্ধায় নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের (৩২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।

এর আগে উপজেলার ধাপেরহাট আখিরা নদীর ওপর জামদানী ঘাট এলাকায় ব্রিজের নিচ থেকে সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

রফিক খন্দকার/জোবাইদা/অমিয়/