![গাইবান্ধায় আবারও বাড়ছে তিস্তার পানি](uploads/2024/06/29/Tista-1719645583.jpg)
গাইবান্ধায় রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি আর উজানের ঢলে ফের তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে জেলার অন্য নদ-নদীর পানি কমছে। এক সপ্তাহ আগে জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। তবে এখন বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার (২৯ জুন) গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার কমেছে।
গতকাল শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক মুঠোফোনে খবরের কাগজকে বলেন, ‘উজানের ঢলে ও বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার নদীর পানি বেড়েছে। তবে করতোয়া, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করেছে। জেলার সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে। নদীবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে হাজারও মানুষ পানিবন্দি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’
এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রফিক খন্দকার/ইসরাত চৈতী/অমিয়/