![মায়ানমারের রাজধানী নেপিদোয় ড্রোন হামলা](uploads/2024/04/04/1712238559.Drone_Attack.jpg)
মায়ানমারের রাজধানী নেপিদোয় সামরিক জান্তার ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। জান্তাবিরোধী জোটের গঠিত ছায়া সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্মেন্ট (এনইউজে) ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় ও একটি বিমানবাহিনীর ঘাঁটি ছিল হামলার লক্ষ্যবস্তু- এমনটি জানালেও এনইউজে হামলার পরিধি ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিজিমা জানিয়েছে, মোট ১৬টি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি আঘাত হেনেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে থাকা সামরিক ঘাঁটিতে ও তিনটি আঘাত হেনেছে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সামরিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের বরাতে বিবিসি বার্মিজ জানিয়েছে, যে বিমান ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে, তা বেসামরিক বিমানবন্দরের সঙ্গেও যুক্ত। সেখানকার রানওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে রয়টার্সের পক্ষে এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি এবং জান্তার সঙ্গেও এই ইস্যুতে যোগাযোগ করা যায়নি। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলোও এই বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। যদি এ ঘটনা সত্য হয়, তবে সামরিক বাহিনীর জন্য তা বড় ধরনের আঘাত। কারণ বিভিন্ন প্রদেশে যুদ্ধ চললেও নেপিদোয় জান্তা কর্তৃপক্ষ নিরাপদ হিসেবেই বিবেচনা করে।
এদিকে রাখাইন রাজ্যে আরও চাপে পড়েছে জান্তা বাহিনী। মায়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যান শহরতলির পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে থাকা জান্তা সেনাসদস্যরা এরই মধ্যে পালাতে শুরু করেছেন। পালানোর সময় ম্যাগওয়ে অঞ্চলে ছয় সেনাকে আটক করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী পিপলস রেভল্যুউশন অ্যালায়েন্সের (পিআরএ) সদস্যরা।
পিআরএ গত বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড হেডকোয়ার্টার থেকে পালানোর সময় ৩৪৬ হালকা পদাতিক ব্যাটালিয়নের চার সদস্যকে গত ১ এপ্রিল এবং নবম পদাতিক ব্যাটালিয়নের দুই সদস্যকে ২ এপ্রিল আটক করা হয়। সূত্র : রয়টার্স/নারিনজারা