![মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনেও জয় মুইজ্জুর দলের](uploads/2024/04/22/1713773737.malbip.jpg)
মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় জয় পেল প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)।
রবিবার (২১ এপ্রিল) মালদ্বীপের সংসদের ৯৩ আসনে ভোট গ্রহণ হয়।
রবিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৮৬ আসনের ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। সেই ৮৬ আসনের মধ্যে ৬৬ আসনেই জয় পেয়েছে মুইজ্জুর দল। নির্বাচনে মুইজ্জুর দলের সঙ্গে মূলত লড়াই ছিল মলডিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি)।
গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সে দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন মুইজ্জু। কিন্তু পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখে সোলির দল এমডিপি। ফলে পার্লামেন্টের ‘বাধায়’ বহু সিদ্ধান্তই কার্যকর করতে পারেনি মুইজ্জুর সরকার। তাই এই ভোটে জিতে তারা মালদ্বীপের পার্লামেন্টেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখতে চেয়েছিল।
কূটনৈতিক মহলের কথায়, এই নির্বাচন মূলত দুটি কারণে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। মুইজ্জুর ‘ভারতবিরোধী অবস্থান’ এবং ‘চীনঘেঁষা নীতি’ মালদ্বীপের মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য তা পরখ করার একটা পরিসর তৈরি করেছিল এই নির্বাচন।
ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপ সরকারের সম্পর্ক ক্রমেই অবনতি ঘটেছে এই কয়েক মাসে। মুইজ্জু চীনপন্থি এবং ভারতবিরোধী হিসেবে পরিচিত। তিনি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল মুইজ্জুর তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তারপর ভারতের সমাজমাধ্যমে মালদ্বীপ বয়কটের ডাক ওঠে। অনেকেই মালদ্বীপে যাওয়ার টিকিট বাতিল করে দেন। যার ফলে দেশটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ইতোমধ্যে চীনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন মুইজ্জু। এমনকি মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর নির্দেশও দেন তিনি, যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। শেষ পর্যন্ত ভারত সরকার মালদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। এই আবহেই এসে পড়ে সে দেশের পার্লামেন্ট নির্বাচন। মালদ্বীপের বিরোধী দলগুলো মুইজ্জু সরকারের ভারতবিরোধী অবস্থানের বিরোধিতা করে প্রচারও করে। কিন্তু কোনো কিছুই মইজ্জুর দলের পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে বাধা হতে পারেনি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস