বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের খুনের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ এবং শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুললেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তার মতে, দেশ ও বাংলার অপরাধ জগৎ ভয়াবহ আকারে বেড়েছে। রাজনৈতিক ও আর্থিক সুবিধা পেতে শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা আন্তর্জাতিক অপরাধীদের সুযোগ করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তার। নিউটাউনে বসে আন্তর্জাতিক অপরাধ পরিচালনার বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন জবাব দেবেন না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
মহম্মদ সেলিম রবিবার (২৬ মে) কলকাতায় সিপিএমের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘দেশের এবং বাংলার অবস্থা কী তা বুঝতে পারছেন! একটা সময় দুবাইয়ের মতো জায়গায় বসে হত্যার পরিকল্পনা ও ছক কষা হতো। আর এখন দেশে বসেই খুনের পরিকল্পনা কষা হচ্ছে। আর বাংলাতে সেই খুন পরিকল্পনামাফিক করা হচ্ছে। ফলে বাংলা এবং বাংলার পুলিশের কী অবস্থা তা সহজেই অনুমেয়।’
এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশকে একহাত নিয়ে সেলিম বলেন, ‘এত দিন ধরে একজন সংসদ সদস্য নিখোঁজ রইলেন কলকাতা পুলিশ জানেই না। সব চুপচাপ রইলেন। বাংলাদেশে যখন খবর পৌঁছাল, ওখানে আটক করা হলো, ওখান থেকে যখন এখানে খবর পাঠানো হলো, তখনই জানতে পারল। ফলে অপরাধীদের কতটা হিম্মত বেড়ে গিয়েছে ভাবুন। দুই দেশের এই অপরাধ জগতের মধ্যে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে লেনদেন চলে। এই খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করা ছাড়া আর কী বলতে পারি। বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই, তারা এ দেশের বিরুদ্ধে কোনো রকম অভিযোগ করেননি।’
রাজ্যের শাসকদল রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে অপরাধ জগৎকে বাড়তে দিয়েছে বলে অভিযোগ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকের। তিনি বলেন, ‘নিউটাউন কেন আন্তরাজ্য-আন্তর্জাতিক অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হচ্ছে, তা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানতেই হবে। নিজের রাজনৈতিক-আর্থিক ফায়দা নেওয়ার জন্য এ ধরনের অপরাধীদের নিউটাউনসহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে জায়গা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনা তীব্র নিন্দার। কিন্তু আফসোসের বিষয়, এত বড় ঘটনা বাংলার পুলিশ ট্র্যাক করতে পারল না। বাংলাদেশের পুলিশ সেটাকে ট্র্যাক করছে।’