![অস্ট্রেলিয়ায় সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে পারবে বিদেশিরাও](uploads/2024/06/05/Australia-1717555693.jpg)
অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স (এডিএফ) বিদেশিদেরকেও নিজ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করবে। মূলত সেনা অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সমস্যার মধ্যে রয়েছে দেশটি। সে ঘাটতিই পূরণ করতে চাইছে তারা।
আইডিএফ জানিয়েছে, জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসকারী নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন। আগামী বছর নাগাদ এ পরিসর বাড়ানো হবে। তখন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নাগরিকরাও যোগ দিতে পারবেন।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লস বলেছেন, পরবর্তী দশকে ও তার পরের সময়ে রাষ্ট্রের সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ সামাল দেওয়ার জন্য যোগদানের শর্তে পরিবর্তন আনা জরুরি ছিল।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের পাশাপাশি কাজ করার রেকর্ড রয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে দুই দেশ একত্রে লড়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০২১ সালে অকাস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে তারা। মূলত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের সামরিক পরিসর বৃদ্ধি ঠেকানোর লক্ষ্যেই ওই চুক্তি করেছে দেশগুলো।
এ ছাড়া ফাইভ আইস নামে এক গোয়েন্দা জোটের অধীনেও অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
প্রথমে এই দেশগুলো প্রাধান্য পেলেও ১ জানুয়ারি থেকে যেকোনো স্থায়ীভাবে বসবাসকরী যোগ্য বাসিন্দা যোগ দিতে পারবেন বলে উল্লেখ করেছে সেনা বিষয়ক মন্ত্রী ম্যাট কিওঘ।
নতুন যোগ্যতার শর্তে রয়েছে, যারা অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে চায়, তাদের দেশটিতে অন্তত এক বছর স্থায়ীভাবে বাসের রেকর্ড থাকতে হবে এবং যোগদানের আগের দুই বছরে অন্য কোনো দেশের সামরিক বাহিনীর হয়ে কাজ করার রেকর্ড থাকতে পারবে না। এ ছাড়া তাদের অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্বের জন্যও যোগ্য হতে হবে। সেবায় যোগদানের ৯০ দিনের মধ্যে তাদের সেটি দেওয়া হতে পারে বা প্রত্যাশা করা হতে পারে যে তিনি নাগরিকত্ব নেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থাকা বিরোধীদলীয় মুখপাত্র সাইমন বার্মিংহাম জানিয়েছেন, তারা এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন না। তবে সরকার যে কৌশল হাতে নিয়েছে, তা সামরিক বাহিনীতে আত্মবিশ্বাস ও মনোবলের ঘাটতি তৈরি করবে।
বার্মিংহাম আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা আদর্শিকভাবেই দেখতে চাই যে অস্ট্রেলিয়ানরাই অস্ট্রেলিয়ার পোশাক পরবে।’ সূত্র: বিবিসি