ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

চরম অর্থসংকটে ইয়েমেন

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
আপডেট: ১৮ জুন ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
চরম অর্থসংকটে ইয়েমেন
ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহী ও সরকারের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে অর্থসংকট তীব্র হচ্ছে। 

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, প্রায় এক দশকের চলমান এই যুদ্ধের কারণে ইয়েমেনের ধসে যাওয়া অর্থনীতির জন্য আরও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চল ও রাজধানী হুতিদের নিয়ন্ত্রণে। অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দুই অঞ্চলে ভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি মুদ্রাও ভিন্ন।

ক্রমবর্ধমান অর্থ বিভাজনের কারণে ইয়েমেনের মুদ্রা, রিয়ালের মূল্য হ্রাস পাওয়ায় ইদুল আজহার আগে রবিবার পোশাক ও মাংসের দাম বৃদ্ধি পায়।

অন্যদিকে হুথি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্যিক এবং সরকারি ব্যাংকগুলোতে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে তারল্য সংকটে অ্যাকাউন্ট থেকে ইয়েমেনিরা অর্থ তুলতে পারেনি। এতে করে তারা ব্যাংকের সামনের বিক্ষোভ করে। পরে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

২০১৫ সালে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা সানা এবং ইয়েমেনের উত্তর ও কেন্দ্রের বেশিরভাগ অংশ দখল করার পর থেকে ইয়েমেন গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। আর আরব আমিরাত, দক্ষিণ বন্দর শহর এডেন, দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চল শাসন করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় অপারেশন পরিচালক এডেম ওসোর্নু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এই সমস্ত কারণে দারিদ্রতা আরও বাড়বে, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও অপুষ্টি আরও বৃদ্ধি পাবে। গৃহযুদ্ধটি এমন এক পর্যায়ে যাচ্ছে যা বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলবে।’

২০১৬ সালে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এডেনে স্থানান্তরিত করে নতুন নোট চালু করে। যা হুতিরা নিষিদ্ধ করে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ সদর দপ্তর দক্ষিণ শহরে স্থানান্তরিত করার জন্য ৬০ দিন সময় দিয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের একজন উম আহমেদ বলেন, ‘আমার ছেলেকে স্কুটার কিনে দেওয়ার জন্য টাকা তুলব কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা তুলতে দিচ্ছে না। আমি ৩৫ বছর শিক্ষক হিসেবে এই দেশের সেবা করেছি। আমার টাকা ব্যাংকে জমা রেখেছি, কিন্তু তারা সব নিয়ে গেছে। এই টাকা আমার স্বামী, আমার এবং আমাদের সন্তানদের জন্য।’ সুত্র: আরব নিউজ

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহত ১০৭

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম
উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহত ১০৭
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে অন্তত ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জেলার সিকান্দ্রা রাউ এলাকায় বিশেষভাবে স্থাপিত তাঁবুতে এক ধর্মপ্রচারক তার অনুসারীদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বের হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
 
এ পর্যন্ত ১০৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশের তথ্যানুসারে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ধর্মীয় সভায় উপস্থিত লোকজন প্রচণ্ড গরমের মধ্য়ে সমস্যায় পড়েন। এরপর দৌড়াদৌড়ি শুরু করলে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানের সময় প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্রতা ছিল। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ‘এটি ছিল ধর্ম প্রচারক ভোলে বাবার সৎসঙ্গ সভা। মঙ্গলবার বিকেলে এটাহ ও হাথরাস জেলার সীমান্তে এই ধর্মীয় সভায় জমায়েত হওয়ার জন্য সাময়িক অনুমতি দেওয়া হয়।’

হাথরসের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিস কুমার বলেন, জেলা প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে। আহতদের উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চলছে। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থাকা এক ব্যক্তি জানান, ঘটনাস্থলে ওই ধর্মীয় প্রচারকের অনুগামীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেরিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় ছিল না। সবাই একসঙ্গে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। আমি যখন বের হওয়ার চেষ্টা করি, তখন বাইরে মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে থাকায় আমার পথ আটকে যায়। অনেকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

উত্তর প্রদেশের এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদি মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তর প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ। মোদি হতাহতদের সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, প্রশাসন উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। 

এ ছাড়া তিনি প্রত্যেক নিহতের স্বজনদের জন্য ২ লাখ রুপি ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ হাথরাস জেলা ও এর আশপাশের কর্মকর্তাদের উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পুলিশকে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভারতে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে দক্ষিণ ভারতের কেরালায় একটি মন্দিরে হিন্দু নববর্ষ উদযাপনের সময় আতশবাজির ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া মধ্যপ্রদেশে ২০১৩ সালে একটি মন্দিরের কাছে সেতুতে পদদলিত হয়ে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই সময় সেখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল। ২০০৮ সালেও রাজস্থানের যোধপুরে পদদলিত হয়ে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, আনন্দবাজার পত্রিকা, টাইমস অব ইন্ডিয়া

কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৩৯, আহত ৩৬১

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০২:২০ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৩৯, আহত ৩৬১
ছবি: সংগৃহীত

কেনিয়ায় গত এক সপ্তাহে কর (ট্যাক্স) বাড়ানোর প্রতিবাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ৩৬১ জন।

সোমবার (১ জুলাই) দেশটির মানবাধিকার সংস্থা কেনিয়া ন্যাশনাল কমিশন অন হিউম্যান রাইটস (কেএনসিএইচআর) এ তথ্য জানায়।

কেএনসিএইচআর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের রেকর্ড থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ১৮ জুন থেকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে বিক্ষোভে অন্তত ৩৯ জন নিহত এবং ৩৬১ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২টি মামলা হয়েছে এবং ৬২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে বিক্ষোভকারী, চিকিৎসাকর্মী, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বলপ্রয়োগ, হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সের মতো নিরাপদ স্থানগুলোতে সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কেএনসিএইচআর।

পার্লামেন্ট ভবন এবং অন্যান্য সরকারি ভবনে কিছু বিক্ষোভকারীর ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের মতো সহিংতামূলক কাজের তীব্র নিন্দাও করেছে সংস্থাটি।  

গেল মঙ্গলবার (২৫ জুন) কেনিয়ার পার্লামেন্টে প্রায় সব ধরনের পণ্যে কর বাড়ানোর একটি প্রস্তাব পাস হয়। প্রস্তাবটি পাসের সঙ্গে সঙ্গেই পার্লামেন্ট চত্বরসহ পুরো নাইরোবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। 

আন্দোলনকারীরা পার্লামেন্ট চত্বরের একটি পুলিশবক্সে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় পুলিশ।

আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি, প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগ।

উইলিয়াম রুটো ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন। সেই নির্বাচনের পর থেকেই কেনিয়ায় দিন দিন রাজনৈতিক বিভক্তি তীব্র হয়ে ওঠছে।

রবিবার (৩০ জুন) উইলিয়াম রুটো কেনিয়ার সরকারি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছিলেন, ‘আন্দোলনে এ পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন।’

তবে তাদের মৃত্যুর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়ী নয় বলে মৃত্যুর তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।

ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার কর বৃদ্ধি সম্বলিত বিলটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট রুটো। 

কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা নতুন দফায় কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেন। 

কেনিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ‘সব জায়গা দখল কর’, ‘বাজেট দুর্নীতিবাজদের বাতিল কর’, ‘রুটোর বিদায় চাই’ প্রভৃতি হ্যাশট্যাগে ভরে ওঠেছে। সূত্র: এনডিটিভি

পপি/অমিয়/

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ কারাগারে নির্যাতনের শিকার ফিলিস্তিনিরা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
কারাগারে নির্যাতনের শিকার ফিলিস্তিনিরা
কথা বলছেন গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পরিচারলক মুহাম্মাদ আবু সালমিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের দিনরাত নির্যাতন করা হয় বলে জানিয়েছেন গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পরিচারলক মুহাম্মাদ আবু সালমিয়া। ইসরায়েলে আট মাস বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

আবু সালমিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি সেনাদের নির্যাতন সম্পর্কে নানা তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, অনেক ফিলিস্তিনিরই জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষে মৃত্যু হয়। ইসরায়েলি ডাক্তার ও নার্সরাও আটকদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং এমনভাবে তাদের শরীরকে ব্যবহার করে যেন তারা জড়বস্তু।

ইসরায়েলি বন্দিদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না। ইসরায়েলের কারাগারে থাকে প্রতিটি বন্দির প্রায় ৩০ কেজি করে ওজন কমেছে। কোনো অভিযোগ ছাড়াই বিচার পরিচালনা করা হয় বলেও অভিযোগ তুলেন আবু সালমিয়া।

সালমিয়া বলেন, দখলদাররা আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি, কিন্তু তারপরও তিনবার আমাকে বিচারের মুখোমুখি করেছে। তার অর্থ হচ্ছে, তারা আমাকে রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার করেছিল।

তিনি আরও বলেন, আমরা আইনজীবী পাইনি, কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাও আমাদের দেখতে আসেনি। প্রায় দুই মাস কোনো বন্দিই দিনে এক টুকরার চেয়ে বেশি রুটি পাননি। 

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্য বেনি গান্টজ আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক আবু সালমিয়াকে আটক অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তিই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবর বলছে, কারাগার পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সালমিয়াসহ ৫৫ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে গান্টজ নেতানিয়াহুকে কিছু সরকারি দপ্তর খালি করে জায়গা ও বন্দিদের জন্য বাজেট বের করার আহ্বান জানান। 

এদিকে, গাজায় এখনো হামলা ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার সিটির শুজাইয়াতে আবারও তীব্র লড়াই হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে। লড়াইয়ের মধ্যে আটকা পড়েছিলেন অনেক বেসামরিক বাসিন্দা।

আল-জাজিরার হাতে আসা বিশেষ ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনি বন্দিদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে গাজায় বিস্ফোরক খুঁজে বেড়াচ্ছেন। 

লেবাননের সঙ্গেও ইসরায়েলের উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তাদের ১৮ জন সেনা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। লেবানন সীমান্তের গোলান মালভূমিতে অবস্থান করার সময় ওই ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ করে হামলা হয়, এতে তারা আহত হন। 

গাজার যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৭ হাজার ৮৭৭ জন মারা গেছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধের মতো বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৯৬৯ জন। আরও বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে, গাজার ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে তাদের মরদেহ। ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে গোটা গাজাই পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। সূত্র: রয়টার্স 

নির্বাচনের প্রথম দফায় অতি ডানপন্থিদের জয়

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩১ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩১ এএম
নির্বাচনের প্রথম দফায় অতি ডানপন্থিদের জয়
ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় অতি ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালি বিজয়ী হয়েছে। এ বিজয়কে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনো সব চূড়ান্ত নয়। পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে আগামী সপ্তাহের রান-অফ ভোটের আগে জোট গঠনের ওপর।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ফলাফলের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, আরএন ও মিত্ররা ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বামপন্থি জোট পেয়েছে ২৮ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর মধ্যপন্থি দল পেয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ ভোট। এ ফলাফলকে মাখোঁর জন্য বড় ধরনের ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

আরএন আদৌ সরকার গঠন করতে পারবে কি না, তা নির্ভর করছে আগামী সপ্তাহের চূড়ান্ত ভোটের ওপর। এবারই প্রথম ক্ষমতার এত কাছে এল আরএন। অতি ডানপন্থি রাজনীতিবিদ মারি লো পেন দলটির বর্ণ ও ইহুদিবিদ্বেষী রূপ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন। আর এ কৌশল কাজেও দিয়েছে। এমন একটি সময়ে জনমতে এ পরিবর্তন এসেছে, যখন জনসাধারণ জীবনযাপনের ব্যাপক খরচ ও অভিবাসন নিয়ে মাখোঁর প্রতি ক্ষুব্ধ। 

আরএন নেতৃত্বের সরকার আসলে ফ্রান্সের অনেক কিছুতেই পরিবর্তন চোখে পড়বে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রশ্নে। আরএন ইইউয়ের সঙ্গে আরও বেশি জড়ানোর বিপক্ষে।

আরএন আইনপ্রণেতারা গতকাল সোমবার নির্বাচনে ৭ শতাংশের চেয়ে কম ভোট পাওয়ার অতি ডানপন্থি রাজনীতিবিদদের সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। আরএনের আইনপ্রণেতা লরে লাভালেতে বলেন, ‘যদি তারা জেনে যান যে জিতবেন না, সেক্ষেত্রে আমি তাদের সরে দাঁড়াতে ও রাষ্ট্রপক্ষকে জিততে দিতে বলব।’ 

প্রথম পর্বে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা দ্বিতীয় ধাপে যাবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাদের হাতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স 

উত্তর কোরিয়ার দুই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
উত্তর কোরিয়ার দুই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ
ছবি: সংগৃহীত

নতুন করে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের পরিচালিত নতুন সামরিক মহড়ার আক্রমণাত্মক ও অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার এক দিনের মাথাতেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল পিয়ংইয়ং। তবে নিক্ষেপ করা দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি বিধ্বস্ত হয়ে তাদের মাটিতেই পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ১০ মিনিটের ব্যবধানে উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাঙ্গিয়ন শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। 

সামরিক বাহিনী বলেছে, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬০০ কিলোমিটার ও দ্বিতীয়টি ১২০ কিলোমিটার উড়ে ছিল। তবে এগুলো কোথায় অবতরণ করেছে তা জানায়নি তারা। উত্তর কোরিয়া সাধারণত তার পূর্ব জলসীমার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। 

জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের মুখপাত্র লি সুং-জুন পরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটিতে ত্রুটি ছিল। এটি বিস্ফোরিত হয়ে সম্ভবত এর ধ্বংসাবশেষ মাটিতে ছড়িয়ে পড়েছে।’ সূত্র: আল-জাজিরা