![চরম অর্থসংকটে ইয়েমেন](uploads/2024/06/18/yemen-1718703707.jpg)
ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহী ও সরকারের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে অর্থসংকট তীব্র হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, প্রায় এক দশকের চলমান এই যুদ্ধের কারণে ইয়েমেনের ধসে যাওয়া অর্থনীতির জন্য আরও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চল ও রাজধানী হুতিদের নিয়ন্ত্রণে। অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দুই অঞ্চলে ভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি মুদ্রাও ভিন্ন।
ক্রমবর্ধমান অর্থ বিভাজনের কারণে ইয়েমেনের মুদ্রা, রিয়ালের মূল্য হ্রাস পাওয়ায় ইদুল আজহার আগে রবিবার পোশাক ও মাংসের দাম বৃদ্ধি পায়।
অন্যদিকে হুথি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্যিক এবং সরকারি ব্যাংকগুলোতে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে তারল্য সংকটে অ্যাকাউন্ট থেকে ইয়েমেনিরা অর্থ তুলতে পারেনি। এতে করে তারা ব্যাংকের সামনের বিক্ষোভ করে। পরে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
২০১৫ সালে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা সানা এবং ইয়েমেনের উত্তর ও কেন্দ্রের বেশিরভাগ অংশ দখল করার পর থেকে ইয়েমেন গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। আর আরব আমিরাত, দক্ষিণ বন্দর শহর এডেন, দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চল শাসন করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় অপারেশন পরিচালক এডেম ওসোর্নু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এই সমস্ত কারণে দারিদ্রতা আরও বাড়বে, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও অপুষ্টি আরও বৃদ্ধি পাবে। গৃহযুদ্ধটি এমন এক পর্যায়ে যাচ্ছে যা বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলবে।’
২০১৬ সালে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এডেনে স্থানান্তরিত করে নতুন নোট চালু করে। যা হুতিরা নিষিদ্ধ করে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ সদর দপ্তর দক্ষিণ শহরে স্থানান্তরিত করার জন্য ৬০ দিন সময় দিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের একজন উম আহমেদ বলেন, ‘আমার ছেলেকে স্কুটার কিনে দেওয়ার জন্য টাকা তুলব কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা তুলতে দিচ্ছে না। আমি ৩৫ বছর শিক্ষক হিসেবে এই দেশের সেবা করেছি। আমার টাকা ব্যাংকে জমা রেখেছি, কিন্তু তারা সব নিয়ে গেছে। এই টাকা আমার স্বামী, আমার এবং আমাদের সন্তানদের জন্য।’ সুত্র: আরব নিউজ
সাদিয়া নাহার/অমিয়/