![কনস্টেবল মনিরুল হত্যায় ৭ দিনের রিমান্ডে কাওসার](uploads/2024/06/09/Kawsar_Ali-1717947829.jpg)
পুলিশের কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার কনস্টেবল কাওসার আলীকে রবিবার (৯ জুন) আদালতে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদ।
এর আগে মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তার ভাই মাহাবুবুল হক গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় কাওসার আলীকে আসামি করা হয়। রবিবার মামলার এজাহার আদালতে আসে। এজাহার গ্রহণ করে আদালত এই নির্দেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন জানান, রাজধানীর বারিধারায় ডিপ্লোম্যাটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে ডিউটিরত কনস্টেবল মনিরুল হকের সঙ্গে কনস্টেবল কাওসার আলীর বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে কনস্টেবল কাওসার সহকর্মী মনিরুলকে ৯ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি করেন। এতেই ঘটনাস্থলেই মারা যান কনস্টেবল মনিরুল।
এদিকে ঘটনার পরপরই পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, কাওসার আলী পুলিশ সদস্য হয়ে কেন আরেক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছেন, সেটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাজ্জাদ হোসেনের দেহে ৩টি গুলি লেগেছে।
জানা যায়, পুলিশের দুজনই ফিলিস্তিন দূতাবাসের বাইরে অবস্থিত পুলিশ বক্সে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নিহত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনায়। তিনি ২০১৮ সালে পুলিশে যোগ দেন। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন ও অজ্ঞাত এক সাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।