টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। ধর্ষণের অভিযোগে লায়লা আক্তার ফারহাদের করা মামলায় গ্রেপ্তার এই আসামিকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) ধর্ষণ ও জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান এদিন সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে প্রিন্স মামুনকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় বাদী লায়লা আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে প্রিন্স মামুনের আইনজীবী আনোয়ার শাহাদাত শাওন রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করেন এবং জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালতে বাদী লায়লার পক্ষে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত উভয় আবেদন (রিমান্ড ও জামিন) নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় রবিবার (৯ জন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন লায়লা। পর দিন সোমবার (১০ জুন) কুমিল্লা পুলিশ মামুনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলায় লায়লা অভিযোগ করেন, তিন বছর আগে ফেসবুকে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মামুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে মামুন জানান, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্কের ভিত্তিতে মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই লায়লা তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন। মামুন ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওই দিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই রুমে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতে শুরু করেন। মামুন লায়লার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতেন। মামুনকে একাধিকবার বিয়ের তাগিদ দিলেও তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ গত ১৪ মার্চ মামুন আবার লায়লাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে মামুনকে বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং গালিগালাজ করেন।