![ইমো হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ, দুজনের ১০ বছর কারাদণ্ড](uploads/2024/06/12/saiber-tribunal-1718168416.jpg)
প্রবাসীর ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ আত্মসাতের দায়ে দুই যুবককে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে একই মামলার সাতজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তারা হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের হৃদয় আলী (২১) ও নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বিরোপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা বেগম জানান, ঢাকার সবুজবাগের আবদুল মালেক নামে এক ব্যক্তি এই মামলার বাদী। ২০২৩ সালের ২ মার্চ নাটোরের লালপুর থানায় তিনি এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার বোনজামাই জাকির হোসেন সৌদি আরব প্রবাসী। স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইমোতে যোগাযোগ করতেন। ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা জাকির হোসেনের ইমো হ্যাক করে ফাতেমাকে তার বিপদের কথা জানায়। এরপর ফাতেমার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। আবদুল মালেক অনেক খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, যে বিকাশ নম্বরে টাকা নেওয়া হয়েছে তা রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে নিবন্ধন করা। তাই বিষয়টি তিনি র্যাবকে জানালে প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে পাঁচজনকে আটক করে। এরপর মালেক বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা বেগম আরও বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি ধারায় আসামিদের পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডেরও আদেশ দেন বিচারক।
একই মামলার অন্য একটি ধারায় এই দুই আসামিকে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাজা একটার পর অন্যটা কার্যকর হবে বলেও রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালতের বিচারক।
এনায়েত করিম/জোবাইদা/অমিয়/