![ধর্মান্তরিত করে বিয়ের নামে প্রতারণা, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা](uploads/2024/06/15/nazrul-chairman-1718435869.jpg)
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী নারীকে ধর্মান্তরিত করার পর বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের নাম নজরুল ইসলাম প্রধান। তিনি উপজেলা চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে পঞ্চগড় আমলি আদালত ২-এ মামলা করেছেন ওই ভুক্তভোগী নারী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই ভুক্তভোগী নারী খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তার স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসারও ছিল। স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ হলে সুযোগ নেয় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার আশ্বাসে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান তিনি। একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে নিজের প্রেমের ফাঁদে ফেলেন এই চেয়ারম্যান। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করানো হয় ওই নারীকে। এরপর বিয়ে করে তারা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা দেবীগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ মে রাতে তাদের পারিবারিক কলহ হলে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম তাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন এবং বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমি তোর বৈধ স্বামী নই। আমাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়নি। যেখানে নিয়ে গিয়েছিলাম সেটি কোনো কাজী অফিস ছিল না। সেটি ওমরা, হজ, এয়ার ট্রাভেলস এবং ভিসা প্রসেসিংয়ের অফিস ছিল। বিয়ের কোনো ডকুমেন্টস নেই।’ এই প্রতারণার কারণ জানতে চাওয়ায় ভুক্তভোগীকে মারধর করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে ওই ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আমাকে প্ররোচনা দিয়ে আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে নজরুল চেয়ারম্যান। পরে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে দিনাজপুরে নিয়ে যান। সেখানে আরাফাত নামে এক হুজুরের মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হয়। এরপর থেকে দেবীগঞ্জে ভাড়া বাসায় আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকতে শুরু করি। তার সঙ্গে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে তার স্ত্রী হিসেবে গিয়েছি। এক সঙ্গে রাত যাপন করেছি। কিন্তু এখন আমাকে অস্বীকার করছে। ভাড়া বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি তার স্ত্রী হিসেবে থাকতে চাই। তার সঙ্গে ঘর-সংসার করতে চাই। ন্যায়বিচার পেতে আদালতে মামলা করেছি, এখন বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে আমাকে। আমার কিছু হলে নজরুল চেয়ারম্যান দায়ী থাকবে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবির ওসি অথবা পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার একজনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার পাবেন।
রনি মিয়াজী/অমিয়/