![‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা বিটিআরসি’](uploads/2023/12/06/1701879879.Junayed_ahmed_polok.jpg)
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা বিটিআরসি- এমন মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার তথা স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট বাস্তবায়নেও বিটিআরসি অনবদ্য ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার প্রতিমন্ত্রীকে কমিশনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে শৃঙ্খলা রক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা, রাজস্ব অর্জনের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেলিযোগাযোগসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফিজিক্যাল সিকিউরিটি নিশ্চিতে অন্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে বিটিআরসি।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন, সবার কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া, ইলেকট্রনিক ডিভাইস উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হওয়া বিষয়গুলোতে বিটিআরসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিল। আমরা চাই আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিটিআরসি নতুন একটা উদাহরণ ও ইউনিক মডেল তৈরি করবে, যা পুরো বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে যাতে টেলিযোগাযোগের সেবা চলমান ও নিরাপদ থাকে তা বিটিআরসি নিশ্চিত করবে।’
সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, সরকার কর্তৃক গৃহীত নীতিমালা ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং বিটিআরসিকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। আগামীতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ কাজ করবে।
অ্যাসপায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী বলেন, টেলিযোগাযোগ সুবিধা প্রাপ্তিতে বিভাজন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমন্বয় জরুরি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে লাস্ট মাইল এবং লাস্ট পারসন কানেক্টিভিটি হবে মূল অবকাঠামো।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে টেলিযোগাযোগ খাতের শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখা এবং সাধারণ জনগণকে সেবা প্রদানের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান ও সাইবার নিরাপত্তায় কমিশনের কার্যক্রমসমূহ উপস্থাপনা করা হয়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত বিটিআরসি কর্তৃক গৃহীত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমসমূহ প্রতিমন্ত্রীকে অবগত করেন তিনি।
সভায় বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, বিটিআরসি রেগুলেটর হিসেবে নয়, ফেসিলিটেটর হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে এ খাতে বিনিয়োগ হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। কর্মসংস্থান হয়েছে ৩০ হাজার মানুষের। বার্ষিক মোবাইল উৎপাদন ক্যাপাসিটি ৩ কোটির ওপরে। বিটিআরসির অনেক কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তাই ওই বিভাগের সঙ্গে কমিশনের কার্যক্রমের নিবিড় সম্পর্ক ও সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ই কায়নাতসহ ওই বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।