দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল পরিবর্তনের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সংবিধানে একটি সময়সীমা আছে। সেই সময়সীমা অতিক্রম করে তফসিল পরিবর্তন আমরা কখনো সমর্থন করব না। সময়সীমাকে অতিক্রম করবে এমন কোনো পদক্ষেপ, এমন কোনো পরিবর্তন আমরা সমর্থন করব না।’
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটি পক্ষ নিজেরাই নির্বাচনের বাইরে আছে। কেউ তাদের বাইরে রাখেনি। আমরা বারবার বলে যাচ্ছি, আমরা চাই না কেউ নির্বাচনের বাইরে থাকুক।’
১৪ দলের শরিকদের আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলের শরিকদের আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে শরিক হলেই তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার যোগ্য প্রার্থী না হলে শুধু শরিক বলেই কাউকে মনোনয়ন দেবে না আওয়ামী লীগ। একাধিক পরাশক্তির ভূমিকার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকে বাধা দিতে হরতাল, অবরোধ, নাশকতা চালানোর পর তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে কেউ কথা বলছে না। তারা যা করছে এটা কি আন্দোলন? এটা তো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা। নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসার কথা। এসব যে চলছে, এ ব্যাপারে কারও কোনো কথা নেই, সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ অনেক বিষয়ে কথা বলে, কিন্তু এখানে নীরব কেন?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলে, বাংলাদেশের সুশাসনের কথা বলে, যারা ফ্রি ফেয়ার নির্বাচনের কথা বড় গলায় বলে, তারা আজকে একটা পক্ষের এসব অপকর্ম, গণতন্ত্র ও সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে নীরব কেন? এটা নিয়ে তো কেউ কিছু বলছে না। নির্বাচনকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, যারা বাধা দিচ্ছে, তাদের ব্যাপারে তারা কেন নীরব? আমাদের দেশে যারা সুশীল সমাজ যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন।’
বিএনপি অবরোধ কার বিরুদ্ধে করছে, প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা হরতাল ডাকছে কার বিরুদ্ধে, এটা তো নির্বাচনের বিরুদ্ধে, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে এসব কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছিলাম আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে এমন কোনো কর্মকাণ্ড হলে, সেটা নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ড বলে বিবেচিত হওয়ার কথা। এখন তো সবাই নীরব। এখন কেউ কিছু বলে না। ইউরোপও কিছু বলে না, আমেরিকাও কিছু বলে না।’