ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

টার্গেটে  ছিলেন বিএনপির সাবেক ৬১ এমপি-নেতা

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২৬ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:১২ এএম
টার্গেটে  ছিলেন বিএনপির সাবেক ৬১ এমপি-নেতা

বিএনপির ক্ষুব্ধ ও বঞ্চিত নেতাদের বড় একটি অংশের এবার নির্বাচনে যাওয়ার গুঞ্জন ছিল প্রথম থেকেই। এমনকি বিএনপি ভেঙে যাবে কি না, এমন প্রশ্নও জনমনে ঘুরপাক খেয়েছে। খোদ সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিষয়টি ব্যাপক জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু বিএনপির পাল্টা তৎপরতাসহ নানা হিসাব-নিকাশের কারণে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের ওই উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হয়নি।

অনেকের মতে, একমাত্র ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচনে নেওয়া ছাড়া সরকার বড় ধরনের কোনো চমক দেখাতে পারেনি। 

যদিও দলটির বেশ কয়েকজন সাবেক এমপি ও নেতা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, কিন্তু যাদের টার্গেট করা হয়েছিল, তাদের বেশির ভাগই নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত যাননি। কারও কারও মতে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এমনকি বিএনপির সঙ্গে থাকা ইসলামপন্থি দলগুলোর কাছ থেকেও প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া পায়নি সরকারি দল।

নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানাচ্ছে, তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএম নামে দুটি দল গঠন করে বিএনপির নেতাদের নানা প্রলোভন ও চাপ দিয়ে নির্বাচনে আনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু গতকাল বিএনএমের ৮২ জন প্রার্থীর তালিকায় শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরসহ বিএনপির ৩ জন সাবেক এমপির নাম দেখা গেছে। বাকি দুজন হলেন বরগুনা-২ আসনের আবদুর রহমান ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনের দেওয়ান শামসুল আবেদীন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী বিভিন্ন সময় বলেছেন, বিএনপি না এলেও দলটির অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন। সর্বশেষ গত ২৮ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যারা নেতা হিসেবে মানতে পারছেন না, তারা নির্বাচনে আসবেন বলে আমার কাছে তথ্য  আছে। কিন্তু গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত খুব আলোচিত বা হেভিওয়েট কোনো নেতাকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেখা যায়নি। তবে শেষ পর্যন্ত কারা কারা মনোনয়নপত্র জমা দেন, এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর ব্যাপক কৌতূহল ছিল  জনমনে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সাবেক ও বর্তমান যেসব নেতাকে নির্বাচনে নেওয়ার টার্গেট করা হয়েছে, এমন নেতাদের তালিকা হাতে পেয়ে তারেক রহমান লন্ডন থেকে নিজেই প্রত্যেকের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। এ ছাড়া তৎপর নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করার পাশাপাশি কথা বলার জন্য তিনি একটি টিম গঠন করে দেন। স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য ছাড়াও তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ কয়েক নেতা ওই টিমের সদস্য বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ওই টিমের সদস্যরা প্রত্যেকের বাসায় গিয়ে তাদের নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেন ও উদ্বুদ্ধ করেন। বিশেষ করে বঞ্চিত হয়েছেন এমন নেতাদের সঠিক জায়গায় পদায়নের আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দেন তারেক রহমান। এ ছাড়া বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতা এবং দেশে বাম ও ডানপন্থি দলগুলোর নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি কী দাঁড়াতে পারে, সে বিষয়ে নেতাদের সতর্ক করে দেন তারা।
 
তবে সংশ্লিষ্ট মহলের চাপ বেশি থাকায় দলের হাইকমান্ডের পরামর্শে কেউ কেউ  ঢাকার বাইরে চলে যান বলেও খবর পাওয়া গেছে। কারাগারে থাকা বিএনপি নেতাদের ওপরও নানামুখী চাপ রয়েছে বলে দলটির মধ্যে আলোচনা আছে। বাসে আগুন দেওয়া মামলায় গত বুধবার জামিন লাভ করে পরের দিন বৃহস্পতিবারই নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা তারই অংশ কি না, এ নিয়েও নানা আলোচনা ও কৌতূহল তৈরি হয়েছে জনমনে।

বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সাবেক এক মহিলা এমপি নিলোফার চৌধুরী মনি গতকাল খবরের কাগজকে বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে এমন চাপ ছিল যে তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। ফলে ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত পালিয়ে বাইরে থাকতে হয়েছে।’ তার মতো আরও অনেককে আত্মগোপনে থেকে নির্বাচনে যাওয়ার চাপ সামলাতে হয়েছে বলে জানান তিনি।  মনি গতকাল বিকেলে ঢাকায়  ফিরেছেন বলে জানা গেছে। 

নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে জোর গুঞ্জন ছিল সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ (ভোলা-৩) ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে (চাঁদপুর-১) কেন্দ্র করে। এরা দুজনই বিএনপির পদবঞ্চিত নেতা। খবরের কাগজের সঙ্গে আলাপে এরা দুজনেই স্বীকার করেছেন যে, নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নে তারা বেশ চাপে ছিলেন। কিন্তু তারেক রহমানের পরামর্শে তারা কেউ শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাননি।

হাফিজ খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে দলের প্রতি আনুগত্য রয়েছে, এটা এবার আবার প্রমাণ হলো।’
 
এহসানুল হক মিলনের মতে, উত্তপ্ত কড়াই থেকে কেউ আগুনে ঝাঁপ দিতে চায় না। বিএনপির প্রতি রাগ-অভিমান অনেকের থাকতে পারে। কিন্তু বেইমানি করে আরেক দলের সঙ্গে আঁতাত করে কী লাভ, এটা সবাই চিন্তা করে দেখেছে। তিনি বলেন, ‘আমিসহ অনেকের ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল। কিন্তু তারেক রহমান শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালোভাবে ‌হ্যান্ডল করতে পেরেছেন।’

সরকারের টার্গেটে আরও যারা ছিলেন 

মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন ও এহসানুল হক মিলন ছাড়াও বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কুমিল্লা-৯ আসনের সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) এম আনোয়ারুল আজিম নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে বেশ চাপে ছিলেন। অভিযোগ আছে, ওই আসনে চৈতি গ্রুপের মালিক ব্যবসায়ী আবুল কালামের পরামর্শ অনুযায়ী দলের সকল পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কারণে দলের ওপরে তার ক্ষোভ রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তারেক রহমানের পরামর্শে নেতারা তাকে নির্বাচনে যাওয়া থেকে নিরস্ত করেন।
   
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং রাজবাড়ী-১ (সদর-গোয়ালন্দ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, খুলনার নজরুল ইসলাম মঞ্জু, কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, পাবনার সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরদার, কুমিল্লার আনোয়ারুল আজিম, মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, রাঙামাটির দীপেন দেওয়ান, টাঙ্গাইলের লুৎফর রহমান খান আজাদ, লুৎফুর মতিন, নারায়ণগঞ্জের কাজী মনির, নেত্রকোনার আশরাফউদ্দিন খান, নওগাঁর আনোয়ার হোসেন বুলু, বরিশালের মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, আব্দুস সাত্তার খান, বরগুনার নুরুল ইসলাম মনিসহ আরও অনেকে সরকারের টার্গেটে ছিলেন বলে জানা যায়। তবে এদের মধ্যে অনেকই ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এ ছাড়া বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এম এ লতিফ খান (নওগাঁ-৫), সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ (মেহেরপুর-১), গাজী শাহজাহান জুয়েল (চট্টগ্রাম-১২), বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মনসুর আলী সরকার (দিনাজপুর-৫), ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল ইসলাম (কক্সবাজার-৩) এবং টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন বলে গতকাল পর্যন্ত  গুঞ্জন ছিল। কিন্তু গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা অতিক্রম করার পর এসব গুঞ্জনেরও অবসান ঘটেছে।

টার্গেট পূরণ হলো যাদের নিয়ে

আগে থেকে গুঞ্জন ছিল গুরুত্বপূর্ণ এমন মাত্র একজন জোটসঙ্গীকে নির্বাচনে টেনে নেওয়া গেছে। তিনি হলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক মেজর জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তবে কারাগারে থাকার কারণে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের নাম আলোচনায় ছিল না। তিনি অবশ্য বিএনএম, তৃণমূল বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নন, সরাসরি নৌকা প্রতীকেই নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া শমসের  মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ছিলেন। শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে গত ২৮ নভেম্বর বহিষ্কার করা হলেও তিনি নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। 

এ ছাড়া কমিটিতে জায়গা না পাওয়াসহ নানাভাবে বঞ্চিত নেতাদের মধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ কে একরামুজ্জামান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১)। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি একরামুজ্জামান নানামুখী চাপে ছিলেন বলে মনে করা হয়। সংস্কারপন্থি বলে পরিচিত (বগুড়া-৪) আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মোল্লা বিএনপির কোনো পদেই ছিলেন না। তাকে থানা, ইউনিয়ন, এমনকি গ্রামের কমিটিতেও রাখা হয়নি বলে গতকাল খবরের কাগজের কাছে অভিযোগ করেন।

এ ছাড়া সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য শাহ মো. আবু জাফর (ফরিদপুর-১), গাজীপুরের বাসন থানা বিএনপির সহসভাপতি জব্বার সরকার (গাজীপুর-১), ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোজাফফর আহমেদ (ঠাকুরগাঁও-২) এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি আব্দুল কাদির তালুকদার (চাঁদপুর-৪) আসন থেকে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ বিএনএম, কেউ তৃণমূল বিএনপি এবং অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল বিএনপি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত

এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। মূলত তরুণদের কাছে দলের বার্তা, দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার রাত ১২টার দিকে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির টিকটক অ্যাকাউন্টে ফলো দিয়ে সঙ্গে থাকুন।’

বিএনপির এই টিকটক অ্যাকাউন্টটি দলের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর পরিচালনা করবে।

জানা গেছে, বিএনপির মিডিয়া সেলেরও একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘টিকটকের বেশি ভিউয়ার হচ্ছে দেশের তরুণ ও টিএনজাররা। তাদের কাছে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ অ্যাকাউন্টটা করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশ এবং বিদেশে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের কাছে দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও ব্যবহার করছে দলটি।’ 

হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ
ছবি : সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বরগুনা জেলার স্থানীয় পর্যায়ে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। 

বুধবার (৩ জুলাই) বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে তারা সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র এবি এস গোলাম কবীর ও পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সালমান/

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে হাসপাতালে রুহুল কবির রিজভী

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সরকারপ্রধানের নির্দেশেই এই বর্বরোচিত আক্রমণটা করা হয়েছে বাচ্চুর ওপর। কারণ বিএনপি নেতাদের রক্ত দেখলেই সরকারপ্রধান আনন্দিত ও খুশি হন। এই কারণেই একটি দোয়ার অনুষ্ঠান এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। এই হামলা শুধু ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত নয়, আওয়ামী লীগ যে একটি বর্বর সংগঠন সেটির বহিঃপ্রকাশ।’

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন গুরুতর জখম নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু একজন বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। যাকে গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষ সজ্জন হিসেবেই চেনেন। জেলার একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এমনকি জেলার তিনি প্রধান নেতা। তার গায়ে আদিম বন্য হিংস্রতায় এভাবে আক্রমণ করে তার হাত, পা, শরীর ক্ষতবিক্ষত করেছে। আজকে তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়ে কী আনন্দ পেলেন সেখানকার আওয়ামী লীগ এবং এমপি শিমুল সাহেব?’ শহীদুল ইসলাম বাচ্চুর সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাটোর জেলা বিএনপির সমাবেশ ঘিরে হামলায় গুরুতর জখম হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু। 

মিজানুর রহমান/সালমান/

 

দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না
ছবি : খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতকে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? আপনি তো ট্রানজিট দেননি, দিয়েছেন তো করিডোর। তাদের দেশ থেকে ট্রেন ঢুকবে, সেই ট্রেন আবার তাদের দেশে যাবে। সেখানে কী থাকবে আমরা জানি না।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ‘সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশি হামলার ১৪ বছরেও বিচার না হওয়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে’ এ প্রতিবাদ সভা হয়। 

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার কিছু কিছু মানুষকে হঠাৎ করে সামনে আনেন। খুব রসিকতা করে, হাসি-ঠাট্টা করে তাকে সর্বোচ্চ দায়িত্ব দিয়ে দেন। আজ রাষ্ট্রের প্রধান, এক নম্বর ব্যক্তি রসিকতা করতে করতে খুনিদের মুক্তির সনদে স্বাক্ষর করে দেন। রসিকতা করতে করতে তাদের আত্মীয়স্বজনদের আরও প্রমোশন দিয়ে দেন। এরা জালিম সরকার, প্রতারক সরকার।’

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।’ কিন্তু তিনি বেনজীর আহমেদ, আজিজ আহমেদ, মতিউরসহ তাদের প্রথম দেখেছেন? আজিজের ভাইদের তিনি প্রথম দেখেছেন? তাকে তিনি প্রমোশন দেননি, প্রশ্রয় দেননি আর আমাদের ডেপুটি স্পিকারের ছেলে ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছে। এ নিয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে পরিবার থেকে বলা হয়েছে, বেড়াতে গেছে। এই ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকির মামলা কি আছে? এই নিয়ে কোনো মামলা হয়েছে কি? এই নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম নিউজও করেছে। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন, ‘এরা আমাদের দলের কেউ নয়’।”

মান্না বলেন, ‘পুলিশের একটি সিপাহি পদে চাকরি দিতে গেলে আগে তার পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে। তার পরিবারের কেউ, দূর সম্পর্কের কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে থাকলে তার চাকরি হয় না। কিন্তু সরকার একজন মানুষকে সামরিক বাহিনী থেকে ধীরে ধীরে বাহিনীপ্রধান বানিয়ে দিলেন, তার পরিবারের খোঁজ নেননি। তার আপন ভাই জেলে আছে এটা জানতেন না?’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমার-আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। কিন্তু কোর্টকে দিয়ে কোটা তুলে দিতে পারে। কোর্টকে দিয়ে এমন এমন কাজ করে যাতে জনগণের অধিকার খর্ব হয়। জনগণের অধিকার খর্ব করতে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, ‘এই সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না। এই সরকার জিনিসের দাম কমাতে পারে না, জনগণের ভরণপোষণ দিতে পারে না, ভোট দিতে দেয় না, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় না, মানুষের ওপর অত্যাচার করে, নির্যাতন করে, এখন পর্যন্ত জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার বিচার করা হয়নি। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে। ভরসা রাখেন, আজ হোক, কাল হোক এর বিরুদ্ধে সেরকম আন্দোলনই গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’ 

মিজানুর রহমান/সালমান/

বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর
ছবি : সংগৃহীত

বিতর্কিত কারিকুলাম ও পাঠ্যসিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। 

তিনি বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম ১০০ শতাংশ কারিগরিনির্ভর হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু তাই নয়, এই কারিকুলামের পাঠ্যসিলেবাস লজ্জাহীন প্রজন্ম উপহার দিতে চলেছে।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার লাকসামে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চরমোনাই পীর।

রেজাউল করীম বলেন, ‘ধর্মীয় ও ইসলামী শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ ও উঠতি বয়সীদের কিশোর গ্যাংসহ ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।’

চরমোনাই পীর বলেন, “৯ম শ্রেণির ‘জীবন- জীবিকা’ বইয়ে ‘নারীরূপী পুরুষের অন্তর্বাসে ভরপুর ছবি সম্বলিত কিউআর কোড ব্যবহার’ করে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইচ্ছাকৃতভাবেই এসব করা হলেও কর্তৃপক্ষ বেখবর। প্রয়োজনে এসব পাঠ্যপুস্তক বাতিল করে আবারও অভিজ্ঞ, দক্ষ, রুচিশীল স্কলারদের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। যেন ধর্মীয় চেতনায় বেড়ে উঠা আমাদের সন্তানরা চরিত্রহীন হয়ে না যায়।”

তিনি বলেন, ‘সমাজ ও রাষ্ট্রে ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জালিমদের কবল থেকে আলেমদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ওলামায়ে কেরামকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ 

জেলা সভাপতি মুফতি শাসছুদ্দোহা আশরাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াসের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীশ আবরার, কেন্দ্রীয় নেতা ও কুমিল্লা জেলা উত্তর সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফী।

এনাম আবেদীন/সালমান/