ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

আয় নেই, তারপরও পৌনে ৩ কোটি টাকার মালিক এমপিপত্নী

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৬ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৯ এএম
আয় নেই, তারপরও পৌনে ৩ কোটি টাকার মালিক এমপিপত্নী
রণজিত কুমার রায় ও তার স্ত্রী নিয়তী রানী। ছবি : সংগৃহীত

আয় না থাকলেও পৌনে তিন কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়ের স্ত্রী নিয়তী রানীর বিরুদ্ধে। তার আগেও আয় ছিল না, বর্তমানেও আয় নেই। তবুও তিনি প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকার সম্পদের মালিক। দেড় দশক আগে ২০০৮ সালে নিয়তীর সম্পদ ছিল ৮৫ হাজার টাকা। নৌকা থেকে বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা এমপি রণজিতের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এ সময়ের মধ্যে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন এমপি রণজিতও। ২০০৮ সালে নির্বাচন অফিসে দাখিল করা হলফনামায় তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪ লাখ ১০ হাজার টাকার। আর ২০২৩ সালে সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৮ টাকা। এর মধ্যে রণজিত রায় মাত্র এক লাখ টাকায় স্ত্রীর নামে কিনেছেন ১২ বিঘা জমি। সে হিসাবে প্রতি বিঘা জমির মূল্য দাঁড়ায় সাড়ে আট হাজার টাকা। অবিশ্বাস্য হলেও হলফনামাতে এ দাম উল্লেখ করেছেন তিনি।

বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা স্বতন্ত্র প্রার্থী এমপি রণজিতের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০৮ সালে রণজিত কুমার রায় উল্লেখ করেছিলেন, স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার স্ত্রী নিয়তী রানীর সম্পদের মূল্য ৮৫ হাজার টাকা। দেড় দশক পরে এবারের হলফনামায় তিনিই উল্লেখ করেছেন ২ কোটি ৭৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৯৮ টাকা। স্ত্রীর বর্তমানে রয়েছে ৫৫ লাখ টাকার একটি প্রাইভেটকার। স্ত্রীর বর্তমানে কোনো আয় নেই। আগেও ছিল না। ২০০৮ সালে রণজিতের বার্ষিক আয় ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। আর বর্তমানে তার আয় ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৩ টাকা।

এইচএসসি পাস রণজিতের আয়ের উৎস পারিতোষিক (উপহার), ব্যবসা, কৃষি ও ভাড়া আদায়। তিনি যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। এবার তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। 

২০০৮ সালে নির্বাচনে রণজিত রায় প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। টানা তিনবার সংসদ সদস্য থাকায় তার ভাগ্যবদল হয়েছে। তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ লাফিয়ে বেড়েছে। সঙ্গে তার স্ত্রী নিয়তী রানীও গড়েছেন অঢেল সম্পদ।

২০২৩ সালের হলফনামা বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, এমপি রণজিত কুমার রায় ২০০৮ সালে ৪ বিঘা কৃষি জমি  পৈতৃক সূত্রে পেলেও বর্তমানে ১২ বিঘা জমির মালিক তার স্ত্রী। ২০০৮ সালে কোনো জমি বা বাড়ি না থাকলেও বর্তমানে ৩টি বাড়ি রয়েছে। যার মূল্য হলফনামার তথ্য অনুযায়ী ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ২০০৮ সালে রণজিত কুমার রায়ের কাছে এক লাখ টাকা নগদ থাকলেও বতমানে ১ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। আগে তার স্ত্রীর কাছে ৭০ হাজার টাকা নগদ ছিল। বর্তমানে তা ৫১ লাখ ১৬ হাজার ৮৪০ টাকা রয়েছে। পূর্বে ব্যাংকিং সঞ্চয় ডিপিএস হিসেবে কোনো টাকা না থাকলেও বর্তমানে ২৭ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯২ টাকা আছে। তার কোনো দেনা নেই। সে হিসাবে প্রতি বিঘা জমির মূল্য দাঁড়ায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা। স্ত্রী ও নিজের সম্পত্তির তথ্য উল্লেখ করলেও হলফনামায় তার সন্তানদের তথ্য উল্লেখ করেননি। 

এ বিষয়ে বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান বলেন, হলফনামাতে রণজিত যা উল্লেখ করেছেন সব মিথ্যা। আমার ইউনিয়নে যত জমি কিনেছেন তার দামই কোটি টাকা। এ ছাড়া তিন মেয়াদে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়াতে কয়েক কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। 

রাজনৈতিক নেতারা জানান, সাংসদ রণজিত রায়ের পছন্দের বাইরে গত ১৫ বছরে বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তিনি ও তার স্ত্রী নিয়তী রানী পর্যায়ক্রমে দুই উপজেলার অন্তত ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পুরোটা সময়জুড়ে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় একাধিকবার শিরোনাম হয়েছেন দুজনই। নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, রণজিত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নিয়োগ বাণিজ্যে পুনর্বাসিত করেছেন জামায়াত-বিএনপিদের। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত রাজাকারদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজ দলের নেতা-কর্মীকে নানাভাবে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে উপজেলা নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ফলে দুই উপজেলা ও তৃণমূল নেতা-কর্মীর সঙ্গে বিরোধ প্রকাশ্যে। এসব কারণে সমালোচিত রণজিতকে মনোনয়ন দেয়নি বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।

বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী বলেন, উপজেলার নিয়োগে চাকরি দিয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতের লোকজনদের। তিনি আমজাদ রাজাকারের পরিবারকে সমর্থন দিয়েছেন। নানা কাজে সমালোচিত হওয়ার কারণে দল তাকে মনোনয়ন দেয়নি। তিনি তো জামায়াত-বিএনপিদের পৃষ্ঠপোষক। তাদের ভোট নেওয়ার জন্য তিনি দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দলের কোনো নেতা-কর্মীরা তার সঙ্গে নেই। 

সার্বিক বিষয়ে এমপি রণজিত কুমার রায় বলেন, আমার আয় বহির্ভূত কোনো সম্পদ নেই। আয়কর ফাইল অনুযায়ী হলফনামায় তথ্য দিয়েছি। আর আমি কোনো অবৈধভাবে সম্পদ গড়েনি। নিয়োগ বাণিজ্য ও নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়নের অভিযোগ সঠিক নয়।

এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল বিএনপি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত

এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। মূলত তরুণদের কাছে দলের বার্তা, দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার রাত ১২টার দিকে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির টিকটক অ্যাকাউন্টে ফলো দিয়ে সঙ্গে থাকুন।’

বিএনপির এই টিকটক অ্যাকাউন্টটি দলের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর পরিচালনা করবে।

জানা গেছে, বিএনপির মিডিয়া সেলেরও একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘টিকটকের বেশি ভিউয়ার হচ্ছে দেশের তরুণ ও টিএনজাররা। তাদের কাছে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ অ্যাকাউন্টটা করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশ এবং বিদেশে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের কাছে দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও ব্যবহার করছে দলটি।’ 

হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ
ছবি : সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বরগুনা জেলার স্থানীয় পর্যায়ে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। 

বুধবার (৩ জুলাই) বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে তারা সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র এবি এস গোলাম কবীর ও পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সালমান/

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে হাসপাতালে রুহুল কবির রিজভী

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সরকারপ্রধানের নির্দেশেই এই বর্বরোচিত আক্রমণটা করা হয়েছে বাচ্চুর ওপর। কারণ বিএনপি নেতাদের রক্ত দেখলেই সরকারপ্রধান আনন্দিত ও খুশি হন। এই কারণেই একটি দোয়ার অনুষ্ঠান এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। এই হামলা শুধু ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত নয়, আওয়ামী লীগ যে একটি বর্বর সংগঠন সেটির বহিঃপ্রকাশ।’

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন গুরুতর জখম নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু একজন বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। যাকে গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষ সজ্জন হিসেবেই চেনেন। জেলার একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এমনকি জেলার তিনি প্রধান নেতা। তার গায়ে আদিম বন্য হিংস্রতায় এভাবে আক্রমণ করে তার হাত, পা, শরীর ক্ষতবিক্ষত করেছে। আজকে তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়ে কী আনন্দ পেলেন সেখানকার আওয়ামী লীগ এবং এমপি শিমুল সাহেব?’ শহীদুল ইসলাম বাচ্চুর সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাটোর জেলা বিএনপির সমাবেশ ঘিরে হামলায় গুরুতর জখম হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু। 

মিজানুর রহমান/সালমান/

 

দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না
ছবি : খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতকে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? আপনি তো ট্রানজিট দেননি, দিয়েছেন তো করিডোর। তাদের দেশ থেকে ট্রেন ঢুকবে, সেই ট্রেন আবার তাদের দেশে যাবে। সেখানে কী থাকবে আমরা জানি না।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ‘সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশি হামলার ১৪ বছরেও বিচার না হওয়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে’ এ প্রতিবাদ সভা হয়। 

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার কিছু কিছু মানুষকে হঠাৎ করে সামনে আনেন। খুব রসিকতা করে, হাসি-ঠাট্টা করে তাকে সর্বোচ্চ দায়িত্ব দিয়ে দেন। আজ রাষ্ট্রের প্রধান, এক নম্বর ব্যক্তি রসিকতা করতে করতে খুনিদের মুক্তির সনদে স্বাক্ষর করে দেন। রসিকতা করতে করতে তাদের আত্মীয়স্বজনদের আরও প্রমোশন দিয়ে দেন। এরা জালিম সরকার, প্রতারক সরকার।’

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।’ কিন্তু তিনি বেনজীর আহমেদ, আজিজ আহমেদ, মতিউরসহ তাদের প্রথম দেখেছেন? আজিজের ভাইদের তিনি প্রথম দেখেছেন? তাকে তিনি প্রমোশন দেননি, প্রশ্রয় দেননি আর আমাদের ডেপুটি স্পিকারের ছেলে ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছে। এ নিয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে পরিবার থেকে বলা হয়েছে, বেড়াতে গেছে। এই ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকির মামলা কি আছে? এই নিয়ে কোনো মামলা হয়েছে কি? এই নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম নিউজও করেছে। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন, ‘এরা আমাদের দলের কেউ নয়’।”

মান্না বলেন, ‘পুলিশের একটি সিপাহি পদে চাকরি দিতে গেলে আগে তার পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে। তার পরিবারের কেউ, দূর সম্পর্কের কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে থাকলে তার চাকরি হয় না। কিন্তু সরকার একজন মানুষকে সামরিক বাহিনী থেকে ধীরে ধীরে বাহিনীপ্রধান বানিয়ে দিলেন, তার পরিবারের খোঁজ নেননি। তার আপন ভাই জেলে আছে এটা জানতেন না?’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমার-আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। কিন্তু কোর্টকে দিয়ে কোটা তুলে দিতে পারে। কোর্টকে দিয়ে এমন এমন কাজ করে যাতে জনগণের অধিকার খর্ব হয়। জনগণের অধিকার খর্ব করতে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, ‘এই সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না। এই সরকার জিনিসের দাম কমাতে পারে না, জনগণের ভরণপোষণ দিতে পারে না, ভোট দিতে দেয় না, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় না, মানুষের ওপর অত্যাচার করে, নির্যাতন করে, এখন পর্যন্ত জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার বিচার করা হয়নি। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে। ভরসা রাখেন, আজ হোক, কাল হোক এর বিরুদ্ধে সেরকম আন্দোলনই গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’ 

মিজানুর রহমান/সালমান/

বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর
ছবি : সংগৃহীত

বিতর্কিত কারিকুলাম ও পাঠ্যসিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। 

তিনি বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম ১০০ শতাংশ কারিগরিনির্ভর হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু তাই নয়, এই কারিকুলামের পাঠ্যসিলেবাস লজ্জাহীন প্রজন্ম উপহার দিতে চলেছে।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার লাকসামে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চরমোনাই পীর।

রেজাউল করীম বলেন, ‘ধর্মীয় ও ইসলামী শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ ও উঠতি বয়সীদের কিশোর গ্যাংসহ ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।’

চরমোনাই পীর বলেন, “৯ম শ্রেণির ‘জীবন- জীবিকা’ বইয়ে ‘নারীরূপী পুরুষের অন্তর্বাসে ভরপুর ছবি সম্বলিত কিউআর কোড ব্যবহার’ করে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইচ্ছাকৃতভাবেই এসব করা হলেও কর্তৃপক্ষ বেখবর। প্রয়োজনে এসব পাঠ্যপুস্তক বাতিল করে আবারও অভিজ্ঞ, দক্ষ, রুচিশীল স্কলারদের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। যেন ধর্মীয় চেতনায় বেড়ে উঠা আমাদের সন্তানরা চরিত্রহীন হয়ে না যায়।”

তিনি বলেন, ‘সমাজ ও রাষ্ট্রে ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জালিমদের কবল থেকে আলেমদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ওলামায়ে কেরামকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ 

জেলা সভাপতি মুফতি শাসছুদ্দোহা আশরাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াসের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীশ আবরার, কেন্দ্রীয় নেতা ও কুমিল্লা জেলা উত্তর সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফী।

এনাম আবেদীন/সালমান/