![নির্বাচন নির্ভর করে জনগণের রায়ের ওপর : মেয়র তাপস](uploads/2023/12/16/1702724659.DSCC-Mayor-taposh.jpg)
অনুকূল-প্রতিকূল পরিবেশের ওপর নয়, জনগণের আস্থা-সমর্থন থাকলে জনরায়ের মাধ্যমে চরম প্রতিকূল পরিবেশেও নির্বাচনে জয়লাভ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগর ভবনের সম্মুখ প্লাজায় বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদের উদ্দেশে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আজকে যারা বিভিন্ন অযুহাতে নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদেরকে একটু স্মরণ করিয়ে দিই। তারা বলেন, নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই সেজন্য আমরা নির্বাচনে আসব না। তাদের বলতে চাই, ৭০-এর নির্বাচনে সবকিছুই যখন পাকিস্তানি প্রশাসনের অধীন তখনও বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি নির্বাচনে যাবো। সেই প্রতিকূল পরিবেশেও আওয়ামী লীগ ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। ২০১৮ সালের নির্বাচনও আওয়ামী লীগের জন্য অনুকূল পরিবেশ ছিল না। পুরো প্রশাসন ছিল বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে কিন্তু সেই সত্তরের মতোই আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৩টি আসন নিয়ে এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।’
তিনি বলেন, ‘সুতরাং নির্বাচন কোনো অনুকূল পরিবেশ, প্রতিকূল পরিবেশের ওপর নির্ভর করে না। যদি জনগণের ওপর আস্থা থাকে, জনগণের সমর্থন থাকে তাহলে চরম প্রতিকূল পরিবেশেও নির্বাচনে জয়লাভ করা সম্ভব।’
বিএনপি কেন নির্বাচনে আসতে চায় না তার কারণ ব্যাখ্যায় শেখ তাপস বলেন, ‘আসল কথা হলো, বিএনপি-জামায়াতের জনগণের ওপর আস্থা নেই এবং এটা প্রমাণিত হয়েছে, তাদের কোনো জনসমর্থন নেই। তারা যদি মনে করতো যে, জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করার কিছুটা হলেও সুযোগ আছে তাহলে তারা নির্বাচনে আসতো কিন্তু তারা জানে জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জানে যে, নির্বাচনে আসলে তাদেরকে সর্বোচ্চ ২৯-৩০টি আসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। তাদের সরকার গঠন করার কোনো সুযোগ নেই। এজন্যই ছলে-বলে-কৌশলে তারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়।’
কোনো দল ভোটে অংশ না নিলে নির্বাচন থেমে থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালিত হয় সংবিধানের অধীনে। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেই গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। এর ব্যত্যয় করার কোনো সুযোগ নাই। তাই এই বিজয়কে ধরে রাখার জন্য, এই বিজয়কে নতুন প্রজন্মের বিজয় হিসেবে নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় নির্বাচনের ব্যত্যয়ের কোনো সুযোগ নেই। জাতীয় নির্বাচনে ব্যত্যয় মানেই হলো গণতন্ত্র ও সংবিধানকে ভুলুঠিত করা এবং সেই অসাংবিধানিক শক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। তাই আগামী নির্বাচনে আমাদেরকে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গীত শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন৷
জয়ন্ত সাহা/অমিয়/