![জয়পুরহাট-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আত্মহত্যার হুমকি](uploads/2023/12/19/1702961539.joypurhat-photo.jpg)
জয়পুরহাটে পোস্টার টানানো নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার বিচার চেয়েছেন জয়পুরহাট-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যপ্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর। যদি বিচার না পান, তা হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
ঘটনা ঘটে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে কালাই উপজেলার মাত্রাই বাজারে।
পোস্টার টাঙানো নিয়ে নৌকার প্রার্থী জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের কর্মীরা হামলা চালায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর। এতে কাঁচি মার্কার আট জন কর্মী-সমর্থক আহত হন।
প্রতিবাদে ওই দিনই রাত ১১টার দিকে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন মাহফুজ চৌধুরী। এ সময় বিচার না পেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন তিনি।
খবর পেয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী সেখানে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তার আশ্বাসে অবস্থানরত কর্মী-সমর্থকরা কর্মসূচি মুলতবি করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিক, আক্কেলপুর উপজেলা যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাজা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, মাত্রাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নানসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা।
হামলার শিকার লজিক বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পর মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করতেই নৌকার কর্মী-সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে মাহফুজ চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারপিট করেন। আমরা চাই যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাল, আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করল, আট জন নেতাকর্মী আহত হলো, তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক।’
মাহফুজ চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা করছিলাম। এর মধ্যে আমি শুনতে পাই লজিককে হত্যার উদ্দেশ্যে নৌকার প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের নির্দেশে হামলা করা হয়। কর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে তাকে রক্ষা করলেও আমাদের আট জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন। এরপর সব কর্মসূচি স্থগিত করে ঘটনাস্থল মাত্রাইয়ে যাই। এসে দেখলাম আমার নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নেই, আমার নিরাপত্তা নেই। সেই কারণে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের নিয়ে অবস্থান নিয়েছি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাদের আশস্ত করেছেন তিনি লেভেল প্লেয়িংফিল্ড ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। যদি সুবিচার না পাই, তবে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকব। এমনকী আমার কর্মীদের ও সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে, ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দেব।’
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শফিউল বারী/জোবাইদা/অমিয়/