ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

বিএনপি ১ জানুয়ারি থেকে আন্দোলন তীব্র করতে চায়

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
বিএনপি ১ জানুয়ারি থেকে আন্দোলন তীব্র করতে চায়

ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য চলতি ডিসেম্বর পর্যন্ত জনগণকে নিরুৎসাহিত করবে বিএনপিসহ তাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো। এরপর আগামী ১ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে গতি বাড়িয়ে আন্দোলন তীব্র করতে চায় তারা।

আন্দোলন সমন্বয় করার জন্য সারা দেশের জেলায় জেলায় বিএনপি ও জামায়াতের পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জোটে না থাকলেও বিএনপির সঙ্গে মিল রেখে আপাতত কর্মসূচি পালন করছে জামায়াত। এদিকে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আছে গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপি, ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটসহ মোট ৩৬টি দল। অন্যদিকে স্বতন্ত্র অবস্থানে থেকে আন্দোলন করছে এবি পার্টি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারবিরোধী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকলেও তারা এখনো বিএনপির সঙ্গে যোগ দেয়নি। তবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নির্বাচনের বাইরে থাকা দলগুলোকে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছে।

সর্বশেষ গত বুধবার রাতে ঢাকা বিভাগ বিএনপির এক ভার্চুয়াল সভায় ভোট বর্জনের আন্দোলনের বিষয়ে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বৈঠকে আলোচনা হয় যে, ভোট বর্জনের আন্দোলনের শতকরা ৬০ ভাগ সুবিধা আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই করে দিয়েছেন। কারণ তাদের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্ব, সংঘাত নির্বাচনের আগে সহিংসতায় রূপ নেবে বলে নেতারা মত প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এ কারণে ভয়ে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে এমনিতেই যাবেন না। আর বাদবাকিদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিরুৎসাহিত করার কাজ বিএনপির করতে হবে বলে উপস্থিত সিনিয়র নেতারা নির্দেশনা দেন।

তারা বলেন, মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমের মাধ্যমে আপাতত ভোটারদের নিরুৎসাহিত করার কাজ চালানো হবে। এরপর ১ জানুয়ারি থেকে ভোট বর্জনের পক্ষে মিছিল-মিটিং করা শুরু হবে। সারা দেশে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সমন্বয় করে মিছিল-মিটিং করবেন বলে জানা গেছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ছাড়াও ঢাকা বিভাগের নির্বাহী কমিটির সদস্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া এমপি প্রার্থী ও আগ্রহী প্রার্থীসহ শতাধিক নেতা ওই বৈঠকে অংশ নেন। আন্দোলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এর আগে অন্য সব কটি বিভাগীয় বৈঠকেও ভোট বর্জনের বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় যোগদানকারী ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী খবরের কাগজকে জানান, ভোট বর্জনের আন্দোলন এখন শেষ পর্যায়ে চলছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে এই আন্দোলন লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। 

বিএনপি ও তাদের রাজনৈতিক মিত্রদের ভোট বর্জনের মুখে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। মাঠের বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি ও তাদের সঙ্গে থাকা দলগুলোর আপাতত লক্ষ্য হচ্ছে আসন্ন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা; যাতে দেশে-বিদেশে ওই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা না পায়। এ জন্য যতটা সম্ভব কম ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় তারা।

অন্যদিকে নির্বাচনকে ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য করতে যতটা সম্ভব বেশিসংখ্যক ভোটারের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাইছে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলসহ ভোটে অংশ নেওয়া দলগুলো। অনেকের মতে, এই কৌশলের অংশ হিসেবেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দলের হাইকমান্ড থেকে উৎসাহিত করা হয়েছে। ফলে আসন্ন নির্বাচনে মোট ৩৮২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ক্ষমতাসীন দল ও তাদের মিত্ররা মনে করছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাই মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। অন্যদিকে সরকারের এই কৌশলকে ব্যর্থ করতেই বিএনপি এখন পাল্টা কৌশল নিয়ে মাঠে নামছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. আবদুল মঈন খান খবরের কাগজকে বলেন, “কখন বা কোন দিন আন্দোলন তীব্র হবে, সেটি দিনক্ষণ ঠিক করে বলা সম্ভব নয়। তবে বিএনপি ও সমমনারা যেহেতু নির্বাচন বর্জন করেছে, ফলে জনগণকে আমরা এই সাজানো ‘ডামি’ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। এটা আমাদের ঘোষিত শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলনের পাঁচটি প্রক্রিয়ার মূল একটি অঙ্গ।”

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন খান আরও বলেন, ‘এই প্রহসনের নির্বাচনের পরে কী হবে, সেটি এখনই বলার মতো কোনো অবস্থা সরকার সৃষ্টি করতে পেরেছে বলে আমি মনে করছি না। তবে এটা নিশ্চিত যে, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জনগণের এই চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ খবরের কাগজকে জানান, বিএনপি শান্তিপূর্ণ উপায়ে জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করছে। এখানে ভোট ঠেকানোর কোনো প্রশ্ন নেই। কারণ বিএনপি তো সর্বহারা পার্টি নয় যে, রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দুক নিয়ে যুদ্ধ করবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় হয়ে গেছে। কারণ কতটা দেউলিয়া হলে পরে আজ ভোটারদের কেন্দ্রে আনার জন্য তাদের টানাটানি করতে হচ্ছে!

আন্দোলনের গতি পর্যায়ক্রমে বাড়বে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। গতকাল বৃহস্পতিবার খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করে একতরফা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র থেকে দূরে রাখার পদক্ষেপ নেব।’ তার মতে, ‘জনগণ ভোটের পক্ষে নয়। কিন্তু এখন পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে একসঙ্গে চেষ্টা চালাবে। কিন্তু আমরা জনগণকে বোঝাব যে এই পাতানো ও একতরফা নির্বাচনে গিয়ে কোনো লাভ নেই।’

হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ
ছবি : সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বরগুনা জেলার স্থানীয় পর্যায়ে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। 

বুধবার (৩ জুলাই) বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে তারা সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র এবি এস গোলাম কবীর ও পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সালমান/

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে হাসপাতালে রুহুল কবির রিজভী

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সরকারপ্রধানের নির্দেশেই এই বর্বরোচিত আক্রমণটা করা হয়েছে বাচ্চুর ওপর। কারণ বিএনপি নেতাদের রক্ত দেখলেই সরকারপ্রধান আনন্দিত ও খুশি হন। এই কারণেই একটি দোয়ার অনুষ্ঠান এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। এই হামলা শুধু ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত নয়, আওয়ামী লীগ যে একটি বর্বর সংগঠন সেটির বহিঃপ্রকাশ।’

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন গুরুতর জখম নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু একজন বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। যাকে গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষ সজ্জন হিসেবেই চেনেন। জেলার একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এমনকি জেলার তিনি প্রধান নেতা। তার গায়ে আদিম বন্য হিংস্রতায় এভাবে আক্রমণ করে তার হাত, পা, শরীর ক্ষতবিক্ষত করেছে। আজকে তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়ে কী আনন্দ পেলেন সেখানকার আওয়ামী লীগ এবং এমপি শিমুল সাহেব?’ শহীদুল ইসলাম বাচ্চুর সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাটোর জেলা বিএনপির সমাবেশ ঘিরে হামলায় গুরুতর জখম হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু। 

মিজানুর রহমান/সালমান/

 

দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না
ছবি : খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতকে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? আপনি তো ট্রানজিট দেননি, দিয়েছেন তো করিডোর। তাদের দেশ থেকে ট্রেন ঢুকবে, সেই ট্রেন আবার তাদের দেশে যাবে। সেখানে কী থাকবে আমরা জানি না।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ‘সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশি হামলার ১৪ বছরেও বিচার না হওয়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে’ এ প্রতিবাদ সভা হয়। 

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার কিছু কিছু মানুষকে হঠাৎ করে সামনে আনেন। খুব রসিকতা করে, হাসি-ঠাট্টা করে তাকে সর্বোচ্চ দায়িত্ব দিয়ে দেন। আজ রাষ্ট্রের প্রধান, এক নম্বর ব্যক্তি রসিকতা করতে করতে খুনিদের মুক্তির সনদে স্বাক্ষর করে দেন। রসিকতা করতে করতে তাদের আত্মীয়স্বজনদের আরও প্রমোশন দিয়ে দেন। এরা জালিম সরকার, প্রতারক সরকার।’

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।’ কিন্তু তিনি বেনজীর আহমেদ, আজিজ আহমেদ, মতিউরসহ তাদের প্রথম দেখেছেন? আজিজের ভাইদের তিনি প্রথম দেখেছেন? তাকে তিনি প্রমোশন দেননি, প্রশ্রয় দেননি আর আমাদের ডেপুটি স্পিকারের ছেলে ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছে। এ নিয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে পরিবার থেকে বলা হয়েছে, বেড়াতে গেছে। এই ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকির মামলা কি আছে? এই নিয়ে কোনো মামলা হয়েছে কি? এই নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম নিউজও করেছে। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন, ‘এরা আমাদের দলের কেউ নয়’।”

মান্না বলেন, ‘পুলিশের একটি সিপাহি পদে চাকরি দিতে গেলে আগে তার পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে। তার পরিবারের কেউ, দূর সম্পর্কের কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে থাকলে তার চাকরি হয় না। কিন্তু সরকার একজন মানুষকে সামরিক বাহিনী থেকে ধীরে ধীরে বাহিনীপ্রধান বানিয়ে দিলেন, তার পরিবারের খোঁজ নেননি। তার আপন ভাই জেলে আছে এটা জানতেন না?’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমার-আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। কিন্তু কোর্টকে দিয়ে কোটা তুলে দিতে পারে। কোর্টকে দিয়ে এমন এমন কাজ করে যাতে জনগণের অধিকার খর্ব হয়। জনগণের অধিকার খর্ব করতে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, ‘এই সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না। এই সরকার জিনিসের দাম কমাতে পারে না, জনগণের ভরণপোষণ দিতে পারে না, ভোট দিতে দেয় না, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় না, মানুষের ওপর অত্যাচার করে, নির্যাতন করে, এখন পর্যন্ত জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার বিচার করা হয়নি। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে। ভরসা রাখেন, আজ হোক, কাল হোক এর বিরুদ্ধে সেরকম আন্দোলনই গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’ 

মিজানুর রহমান/সালমান/

বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর
ছবি : সংগৃহীত

বিতর্কিত কারিকুলাম ও পাঠ্যসিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। 

তিনি বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম ১০০ শতাংশ কারিগরিনির্ভর হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু তাই নয়, এই কারিকুলামের পাঠ্যসিলেবাস লজ্জাহীন প্রজন্ম উপহার দিতে চলেছে।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার লাকসামে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চরমোনাই পীর।

রেজাউল করীম বলেন, ‘ধর্মীয় ও ইসলামী শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ ও উঠতি বয়সীদের কিশোর গ্যাংসহ ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।’

চরমোনাই পীর বলেন, “৯ম শ্রেণির ‘জীবন- জীবিকা’ বইয়ে ‘নারীরূপী পুরুষের অন্তর্বাসে ভরপুর ছবি সম্বলিত কিউআর কোড ব্যবহার’ করে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইচ্ছাকৃতভাবেই এসব করা হলেও কর্তৃপক্ষ বেখবর। প্রয়োজনে এসব পাঠ্যপুস্তক বাতিল করে আবারও অভিজ্ঞ, দক্ষ, রুচিশীল স্কলারদের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। যেন ধর্মীয় চেতনায় বেড়ে উঠা আমাদের সন্তানরা চরিত্রহীন হয়ে না যায়।”

তিনি বলেন, ‘সমাজ ও রাষ্ট্রে ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জালিমদের কবল থেকে আলেমদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ওলামায়ে কেরামকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ 

জেলা সভাপতি মুফতি শাসছুদ্দোহা আশরাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াসের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীশ আবরার, কেন্দ্রীয় নেতা ও কুমিল্লা জেলা উত্তর সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফী।

এনাম আবেদীন/সালমান/

আ.লীগের রাজনীতির পুঁজি নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ও রসিকতা : আলাল

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
আ.লীগের রাজনীতির পুঁজি নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ও রসিকতা : আলাল
প্রতিবাদ সভায় কথা বলছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ও রসিকতা আওয়ামী লীগের রাজনীতির পুঁজি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি। 

জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে ২০১১ সালের ৬ জুলাই সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশি হামলার ১৪ বছরেও দোষীদের বিচার না হওয়ায় তাদের বিচারের দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম (জিসফ)।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, “আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা অকৃতজ্ঞ। ২০০৭ সালে সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে বিদেশ পাঠিয়ে দিয়েছিল। খালেদা জিয়াকেও দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়া দৃঢ়কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘দেশের ১৬ কোটি মানুষ আমার সন্তান। আমি এই মাটি ছেড়ে কোথাও যাব না।’ এমনকি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার সুযোগ দিতে তিনি সেসময় বিবৃতি দিয়েছিলেন। তাকে আটকে রাখা অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক। সুতরাং আজ খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ তো দূরের কথা শেখ হাসিনা তাকে জেলে রেখে তার সাধারণ সম্পাদক দিয়ে খেলা হবে, খেলা হবে বলছেন।” 

তিনি বলেন, ‘সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে যারা অমানবিকভাবে টানাহেঁচড়া করেছেন তারা আসলে পুলিশের লোক নয়, তারা পুলিশ লীগের লোক। এই লীগ করতে করতে আজকে দেশটাকে খেলাধুলার ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আবারও নাকি খেলা হবে। তাদের এতই খেলাধুলার ইচ্ছা যে সংসার টিকে না। চলে যায়। তাদেরকে নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করতে হয়। আমি বলব, খেলার ইচ্ছা থাকলেই রাষ্ট্রকে নিয়ে খেলবেন না। সাধারণ মানুষের জীবনকে নিয়ে বারবার খেলবেন না।’

আলাল আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে। সব প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ করেছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামীতে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি আসবে। আপনারা সবাই সেই আন্দোলনে আগের মতো শামিল হবেন। কারণ আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে না পারলে দেশের সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চাই না। তবে ট্রানজিট ও করিডোরের নামে তাদের গোলামিও করব না।’ এ সময় তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসা দেওয়ার আহ্বান জানান।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মনজুর রহমান ভুইয়ার সভাপতিত্বে ও ফোরামের নেতা সোহেল রানা ও এইচএম স্বপন রানার পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/