![ভোট বয়কট করে জনগণই সরকারকে অপকর্মের জবাব দেবে : গণতন্ত্র মঞ্চ](uploads/2024/01/02/1704200079.gmkk.jpg)
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনাররা বলছেন নির্বাচন সুষ্ঠু দেখাতে না পারলে সারা দুনিয়া থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হবে। ৭ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচন ইতোমধ্যেই একটা তামাশার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু দেখানোর চেষ্টা করে কোন লাভ নেই। এটা ইতোমধ্যেই মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার একটি নাটক হিসেবে জনগণের কাছে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রতিভাত। কাজেই এই নির্বাচন বন্ধ করে সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে, রাজনৈতিক সংকট সমাধান করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হবে। সে কাজ করতে না পারলে জনগণের আদালতে আপনাদের জবাবদিহিতা করতে হবে। ভোট বয়কট করে জনগণই সরকারকে অপকর্মের জবাব দেবে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে এগারোটায় ‘একতরফা ভোট বয়কট করুন’ এই আহ্বান নিয়ে কাকরাইল মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সমাবেশ বক্তারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চ একটি মিছিল সহযোগে কাকরাইল মোড় থেকে শান্তিনগর, মালিবাগ হয়ে মালিবাগ রেলগেট এলাকায় গণসংযোগ করে।
গণসংযোগপূর্ব এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন। সভা পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।
সমাবেশে পুলিশ মাইক ব্যবহার বন্ধ করে দিতে চাইলে তার নিন্দা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, মাইক ব্যবহারের সাংবিধানিক অধিকার আমাদের রয়েছে। এই একতরফা তামাশা নির্বাচন বর্জন করা জনগণের অধিকার এবং সেটা জনগণকে আহ্বান জানানোও সাংবিধানিক অধিকার। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশে আইন সকলের জন্য সমান নয়। সরকারপক্ষীয় ও আওয়ামী লীগের ছায়াতলে থাকা লোকজনের জন্য আইন একভাবে কাজ করে আর বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জন্য দেশে আইন আরেকরকম। দেশে এখন বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় দেওয়া হচ্ছে। এমনকি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও দণ্ড দেওয়া হলো। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নিষিদ্ধ করারও নাকি চিন্তা করছে! নেতৃবৃন্দ সাবধান করে দিয়ে বলেন অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে নিজেরও সেই গর্তে পড়া সম্ভব না থাকে। এইসব ফ্যাসিস্ট চিন্তা বাদ দিয়ে দেশে একতরফা নির্বাচন পরিহার করে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে এগুতে হলে দরকার একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, দরকার একটি নতুন গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত। সেই পথেই এগানোর জন্য সরকারের প্রতি আমরা পুনরায় আহ্বান জানাই।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারের ডামি নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে এক নৌকা চারভাগে বিভক্ত। এই যে এতজন মিলে ভাগাভাগি। এই ভাগাভাগির মধ্যেও সহিংসতা থামাতে পারছেন না। সেজন্য আমরা সরকারকে বলছি, আমাদের সমাবেশ মিছিল থামানোর দরকার নাই। আমাদের বুঝেশুনে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করছি। আপনরা পুলিশ বাহিনীকে বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ নিজেরা সহিংসতা করছে সেখানে যান।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি’র সহ-সভাপতি এডভোকেট কে এম জাবের, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাকখারুল ইসলাম নবাব প্রমুখ।
আগামীকাল ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে সকাল সাড়ে ১১টায় সমাবেশ ও গণসংযোগ-মিছিল
৩ জানুয়ারি ২০২৪, ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে, সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে সমাবেশ ও গণসংযোগ-মিছিল করব গণতন্ত্র মঞ্চে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি