![জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ](uploads/2024/01/03/1704283390.Gonotrontro_Moncho.jpg)
৭ জানুয়ারি জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের শব্দ সন্ত্রাস দিয়ে কাজ হবে না। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। ভোটকেন্দ্রে লোক আনার জন্য সরকার এতটাই মরিয়া যে তারা হাইকোর্টে রিট করেছে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য। যারা সরকারি সুবিধা ভোগ করেন তাদের ভোট দিতে বাধ্য করার জন্য আদালতে এ রিট আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ‘একতরফা ভোট বয়কট করুন’-এ আহ্বানে রাজধানীর ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের মোড়ে সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশ শেষে গ্রিন রোড, সাইন্স ল্যাবরেটরি মোড় হয়ে নীলক্ষেত মোড়ে গণসংযোগ করেন তারা।
গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন। সভা পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান।
নেতারা বলেন, ‘সমাবেশ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আওয়ামী লীগ শব্দ সন্ত্রাস দিয়ে সমাবেশ পণ্ড করার পাঁয়তারা করে। সমাবেশের ঠিক পাশেই নির্বাচনি প্রচারে মাইকের উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে সমাবেশের কাজ বাধাগ্রস্ত করে এবং আশপাশে সন্ত্রাসী বাহিনী জমায়েত করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। শুধু তাই নয়, প্রচার মিছিল শুরু হলে ট্রাকের ওপর রাখা লাউড স্পিকারে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে মিছিলের পিছু নেয় এবং বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়।’
তারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখানোর জন্য নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী নামিয়েছে। এই স্বতন্ত্ররা নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্য নিজেরা খুনোখুনি করেছে এবং এর দায় বিরোধীদের ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্র চলছে।’
সমাবেশে নেতারা বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিকভাবে ভিক্ষুকে পরিণত করে তাদের সহযোগী দলে ঢুকিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দাসে পরিণত হওয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা টাকা-পয়সার ভাগ-বাটোয়ারা না পেয়ে গণহারে সরে যাচ্ছে সাজানো নির্বাচন থেকে।’
নেতারা আরও বলেন, ‘নোবেলজয়ী অর্থনীতিবীদ ড. ইউনূসকে আইনি ব্যবস্থার দোহাই দিয়ে তড়িঘড়ি করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে তাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। সরকার আইনি ব্যবস্থাকে বোবা-কালা-অন্ধ বানিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের তড়িঘড়ি করে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে শাস্তি ঘোষণা করছে। এই ফাঁদে একসময় আওয়ামী লীগকেও পড়তে হবে।’
এনাম/সালমান/