![দ্রুত শপথ নিয়ে সরকার গঠনেও কাজ হবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ](uploads/2024/01/12/1705072406.8978787kk.jpg)
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, দেশের মানুষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে, গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি। সেই ভয়ে এত দ্রুত এমপি-মন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন। তাদের ভয়, কখন গণেশ উল্টে যায়। কিন্তু এই শপথ নেওয়া কিংবা দ্রুত সরকার গঠনেও কাজ হবে না। কারণ জনগণ এই সরকারকে মেনে নেবে না। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। এ সময় ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলও করা হয়।
নেতারা বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল বিরানভূমি। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই ভোট বর্জন করেছে। ৫-৭ শতাংশ ভোট পড়েছে কি না সন্দেহ। সিইসি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাকে জাগিয়ে ৪১ শতাংশ ভোটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যে দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তারা নিজেরাই সাক্ষ্য দিচ্ছে ৭ তারিখে কোনো নির্বাচন হয়নি। সরকারি দলের জোট সঙ্গীরা, এমনকি তাদের নিজেদের কেন্দ্রীয় লোকেরাই এখন সাক্ষ্য দিচ্ছে, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে তারা তিনবার তামাশা করেছে।
তারা বলেন, ৭ তারিখের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সরকারের সিন্ডিকেট হাজার কোটি টাকা লুট করে এখন দেশে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অচিরেই নতুন গণশক্তি রাজপথে অবস্থান নেবে।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ৭ জানুয়ারি মানুষ ভোট বর্জন করে নৈতিক যে শক্তি দেখিয়েছে, এটা গণতন্ত্রের শক্তি, মানবিক মর্যাদার শক্তি, ন্যায়বিচারের শক্তি। এটা নতুন গণপ্রতিরোধের সূচনা। এর ওপর দাঁড়িয়েই চলমান আন্দোলন নতুন শক্তিতে বলীয়ান হবে। জনগণের আন্দোলনের মুখেই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লা কায়সারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম এবং জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব।
এমএ/