![১২ দলের সভায় জামায়াতের আব্দুল হালিম, বিব্রত গণতন্ত্র মঞ্চ](uploads/2024/02/06/1707236456.6556kk.jpg)
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ১২ দলীয় জোটের আলোচনা সভায় যোগ দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম। একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ তিন নেতা নাগরিক ঐক্য'র সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। কিন্তু হঠাৎ করে মঞ্চে জামায়াত নেতা চলে আসায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের কয়েক নেতা।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের দাবি, তাদেরকে আগে থেকে জানানো হয়নি কারা উপস্থিত থাকবেন। ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে তাদের দাওয়াত দিয়েছেন জাগপার রাশেদ প্রধান। জামায়াতের নেতারা থাকলে তারা অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন না।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্প্রতি ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেনের কারামুক্তি উপলক্ষ্যে ‘কারামুক্তি আন্দোলনের শক্তি ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট। আমন্ত্রিত হয়ে অনুষ্ঠানে আরও যোগ দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপসল পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণঅধিকার পরিষদের আরেক অংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামান, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
জানতে চাইলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক খবরের কাগজকে বলেন, আমরা জানতাম না আলোচনা সভায় জামায়াত থাকবে। হঠাৎ জামায়াতের নেতা যোগ দেওয়ায় আমরা কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যাই। কিছুটা অস্বস্তিতের মধ্যে পড়ে যাই। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমরা কখনও জামায়াতের সঙ্গে কোনো কর্মসূচি বা আলোচনা সভায় যোগ দিই না। একটা মিস কমিনেকশন হয়েছে। পরে আমাদের বক্তব্য শেষ করে চলে আসি।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, যুগপৎ ধারায় কমবেশি সব দলকে আমরা দাওয়াত দিয়েছে। কমবেশি সবাই যোগ দিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে প্রোগ্রাম শেষ হয়েছে। দৃষ্টিকটু কোনো কিছু চোখে পড়েনি। জামায়াত ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা অনুষ্ঠান শেষ করেই বের হয়ে গেছেন।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর জাতিকে বিভক্ত করতে ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের উপরে হাসি কিন্তু ভেতরে লজ্জা। এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। যা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মতো বরেণ্য ব্যক্তিরা।
তিনি বলেন, দেশের যেকোনো ধরনের বিভক্তি ঠেকাতে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এসময় বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, মিয়া গোলাম পরওয়ার, রফিকুল ইসলাম খানসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, এক দফা দাবিতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছে গণতন্ত্রমঞ্চ। অপরদিকে, বিএনপির সঙ্গে মিল রেখে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সফিক/এমএ/