গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, ‘ডামি নির্বাচনের ডামি সরকারের অধীনে দেশের মানুষের ভোট ও জীবন-জীবিকা যেমন বিপন্ন, তেমনি জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। যেকোনোভাবে ক্ষমতায় থাকার বিনিময়ে জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিকিয়ে দিতেও তারা দ্বিধা করছে না। সীমান্তে বাংলাদেশিরা মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ নিজেদের জানমাল নিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে যাচ্ছে।’ সরকার মানুষের ন্যূনতম নিরাপত্তা দিতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ‘ডামি’ নির্বাচনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের পক্ষে আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম ও হাবিবুর রহমান রিজু এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘৭ জানুয়ারির পাতানো ডামি নির্বাচন দেশ পরিচালনায় সরকার ও সরকারি দলকে কোনো রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা দেয়নি। বিরোধী দলগুলোর ডাকে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনি তামাশা প্রত্যাখ্যান ও বর্জনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ আরও একবার সরকার ও সরকারি দলের প্রতি নজিরবিহীন গণঅনাস্থা ব্যক্ত করেছে। সম্পূর্ণ অহিংসভাবে দেশের মানুষ সরকারের নির্বাচনি প্রহসন ও জবরদস্তির ক্ষমতাকে না বলে দিয়েছে।’
নেতারা বলেন, ‘সামাজিক নৈরাজ্যের বিস্তার ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজের বিভিন্ন অংশে ধর্ষক, নিপীড়ক, দুর্বৃত্ত ও দখলদারদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি দল ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এসব রোমহর্ষক ঘটনা ঘটছে।’
তারা বলেন, ‘দেশের মানুষের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই নির্বাচন গ্রহণ করেনি। তাদের কূটনৈতিক সাক্ষাৎ ও সৌজন্যমূলক কথাবার্তা অনির্দিষ্টকাল সরকারের ক্ষমতায় থাকার লাইসেন্স হিসেবেও বিবেচনা করার অবকাশ নেই। বলা হয়, গত এক মাসে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়েছে। মুনাফাখোর সিন্ডিকেটগুলো এখন আরও বেপরোয়া। ব্যাংকসহ আর্থিকখাতের পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। টাকা ছাপিয়ে এখন শেষ রক্ষার চেষ্টা চলছে।’
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘জনম্যান্ডেটহীন এই ডামি সরকারকে বিদায় দেওয়া ছাড়া ভোটের অধিকার ও জননিরাপত্তাসহ কোনো কিছুই নিশ্চিত করা যাবে না।’ দেশ ও জনগণকে রক্ষায় গণআন্দোলন জোরদার ও বেগবান করার ডাক দেন তারা।
